
দেশ ছাড়ছে জামিনে মুক্ত শীর্ষ সন্ত্রাসীরা— দেশ রূপান্তরের দ্বিতীয় প্রধান শিরোনাম এটি।
খবরে বলা হয়েছে, পাঁচই অগাস্ট শেখ হাসিনা সরকারের ক্ষমতাচ্যূতির পর একে একে কারাগার থেকে বেরিয়েছেন ঢাকার শীর্ষ সন্ত্রাসী হিসেবে পরিচিত বেশ কয়েকজন সন্ত্রাসী। আবার পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার সুযোগে বিদেশে পলাতক শীর্ষ সন্ত্রাসীদেরও কেউ কেউ দেশে ফিরে আসছে।
কারাগার থেকে বেরিয়ে এসব সন্ত্রাসী ফের অপরাধ কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়ে। এলাকার আধিপত্য নিতে একাধিক ঘটনা ঘটিয়েছে।
তাদের কর্মকাণ্ড নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কঠোর অবস্থানে যাওয়ার ঘোষণা দেয়। চলমান ডেভিল হান্ট অপারেশনে সন্ত্রাসীদের বাসাবাড়ি বা আস্তানায় হানা দিলেও কাউকে পাওয়া যাচ্ছে না। তাদের ধরতে পুরস্কারের ঘোষণাও আসতে পারে বলে পুলিশ সূত্র জানিয়েছে।
পুলিশ সূত্র জানায়, পুলিশের কড়াকড়ি করায় কারামুক্ত সন্ত্রাসীরা দেশ ছেড়ে পালানোর চেষ্টা করছে। নানাভাবে তারা তদবির করছে। এ নিয়ে নিশ্চিত হয়ে বিমানবন্দরসহ দেশের সব কটি সীমান্ত এলাকায় সন্ত্রাসীদের বিষয়ে সতর্কবার্তা পাঠিয়েছে।
ইতোমধ্যে দুয়েকজন শীর্ষ সন্ত্রাসী দেশে ছেড়েছেন বলেও প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।
আরও পড়তে পারেন:
বিএনপি ও জামায়াতের মধ্যে বিবাদ বাড়ছে যেসব ইস্যুতে১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
সংস্কারের বিষয়ে ঐকমত্যের ভিত্তিতে তৈরি হবে ‘জুলাই চার্টার’১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
ঐকমত্য কমিশনের যাত্রা শুরু, কী অবস্থান নিচ্ছে বিএনপি ও অন্যান্য দল১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
খবরে বলা হচ্ছে, ২০১৮ সালের নির্বাচনটি ‘রাতের ভোট’ হিসেবে দেশে-বিদেশে পরিচিত। সম্প্রতি নির্বাচন সংস্কার কমিশনের সঙ্গে বৈঠকে ওই নির্বাচনের রিটার্নিং ও সহকারী কর্মকর্তারা অনিয়মের জন্য পুলিশকে দায়ী করেন।
পুলিশের দায়িত্বশীল সূত্রগুলো বলছে, রাতের ভোটের কারিগর হিসেবে ওই সময় পুলিশ কর্মকর্তাদের বেশ পদক দেয়া হয়।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ওই বছরে ৩৪৯ জন পুলিশ সদস্য পদক পেয়েছেন। এত বেশি সংখ্যক পুলিশ পদক তখন পর্যন্ত ছিল ইতিহাসে সর্বোচ্চ।
পদক তালিকা বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, পরের বছরই (২০১৯) পুলিশ পদকের সংখ্যা নেমে আসে এক-তৃতীয়াংশে ১১৮ জন। এর পরের তিন বছরও চিত্র একই রকম; ২০২০, ২০২১ ও ২০২২ সালে পুলিশ পদক পান ১১৫ জন করে।
পরের বছরের পদক দেয়া হয় ২০২৪ সালে। পদক পান ৪০০ জন। বাংলাদেশ পুলিশের ইতিহাসে এই সংখ্যা সর্বোচ্চ। ওই বছরের ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হয়েছিল দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন। দেশে-বিদেশে তা ডামি নির্বাচন হিসেবে পরিচিতি পায়।
সংশ্লিষ্টদের ভাষ্য, বেশিরভাগ কর্মকর্তা নির্বাচনে বিশেষ ভূমিকা রাখার পুরস্কার হিসেবে এই পদক পেয়েছেন। নির্বাচনের আগে-পরে প্রতিপক্ষ রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীকে দমনপীড়নের স্বীকৃতি ছিল ওই পদক।
নাহিদ আহ্বায়ক, সদস্যসচিব পদে আলোচনায় তিনজন— প্রথম আলোর দ্বিতীয় প্রধান শিরোনাম এটি।
জুলাই গণঅভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেয়া বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটির দল গঠন এবং নেতৃত্বে কারা আসছেন এ নিয়ে প্রথম আলোর পাশাপাশি ইংরেজি দৈনিক দ্য ডেইলি স্টারও গুরুত্ব দিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।
প্রথম আলোর খবরে বলা হয়েছে, চলতি মাসের শেষ সপ্তাহে আনুষ্ঠানিকভাবে আত্মপ্রকাশ ঘটতে যাচ্ছে নয়া এ রাজনৈতিক দলটির। ছাত্রনেতা ও তথ্য উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম সরকার থেকে পদত্যাগ করে দলটির দায়িত্ব নিতে যাচ্ছেন।
দলের দ্বিতীয় শীর্ষ পদ সদস্যসচিব কে হচ্ছেন, তা এখনও চূড়ান্ত হয়নি। এই পদের জন্য আলোচনায় আছেন জাতীয় নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক নাসীরুদ্দিন পাটওয়ারী, সদস্যসচিব আখতার হোসেন ও মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম।
জাতীয় নাগরিক কমিটির দু’জন নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে প্রথম আলোকে বলেছেন, উপদেষ্টার পদ ছেড়ে নাহিদ ইসলাম নতুন দলের দায়িত্ব নিতে যাচ্ছেন। চলতি সপ্তাহে বা পরের সপ্তাহে তিনি পদত্যাগ করতে পারেন। তবে শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধি হিসেবে সরকারে থাকছেন মাহফুজ আলম ও আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। তারা এখনই নতুন দলে যোগ দিচ্ছেন না।
ফেব্রুয়ারির তৃতীয় সপ্তাহের মধ্যে দলের নামসহ অন্যান্য বিষয় চূড়ান্ত করা হবে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
অভ্যুত্থানের শক্তি অটুঁট রাখার তাগিদ ইউনূসের— আজকের পত্রিকার প্রধান শিরোনাম এটি।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নতুন বাংলাদেশ গড়ার পথে অভ্যুত্থানের শক্তিগুলোকে ঐক্যবদ্ধ থাকার তাগিদ দিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ।
তিনি বলেছেন, ‘আমাদের সবাইকে শক্ত থাকতে হবে, মজবুত থাকতে হবে। আমরা যেগুলো আলাপ করছি, সেগুলোতে মতভেদ থাকবে; কিন্তু এর অর্থ এই নয়, আমরা একত্র নই। আমরা একত্রে থাকব।’
গতকাল শনিবার রাজধানীতে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের প্রথম বৈঠকের সূচনা বক্তব্যে প্রধান উপদেষ্টা এসব কথা বলেন। এতে ২৭টি দল ও জোটের ১০০ জনের মতো নেতা অংশ নেন। আওয়ামী লীগের জোটে থাকা কোনো দল ও জাতীয় পার্টিকে এ বৈঠকে ডাকা হয়নি।
বৈঠক শেষে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের ভাইস চেয়ারম্যান অধ্যাপক আলী রীয়াজ সাংবাদিকদের বলেন, জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের প্রক্রিয়া কী হবে, সে বিষয়ে আলোচনা করাই ছিল বৈঠকের উদ্দেশ্য। প্রতিটি রাজনৈতিক দলের বক্তব্যে যেটি স্পষ্ট হয়েছে সেটা হলো, তারা মনে করে জাতীয় ঐক্য রক্ষার কোনো বিকল্প নেই।
বিএনপি জানিয়েছে, আগে জাতীয় নির্বাচন, তারপরে স্থানীয় সরকার নির্বাচন দেয়ার কথা বলেছে বৈঠকে।
জামায়াত বলছে, সরকারের সব ইতিবাচক সিদ্ধান্তে সমর্থন জানাবে দলটি।
নাগরিক কমিটি ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগের বিচার চেয়েছে। গণপরিষদ ও জাতীয় নির্বাচন এবং সংস্কার একসঙ্গে চলতে পারে বলে মনে করেন তারা। বিবিসি