০৩:৫৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২২ জুন ২০২৫

তিস্তা নদী রক্ষা আন্দোলন: ‘এই নদী বাঁচলে উত্তরাঞ্চলের কৃষক বাঁচবে’

  • আপডেট সময়: ০৮:৪১:৩৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
  • 82

নদীক বাঁচপার জন্যে হামার দুলু ভাই ডাক দিছে। হামরা আছি দুলু ভাইয়ের সঙ্গে।

তিস্তা নদীর পানির ন্যায্য হিস্যা আদায় ও মহাপরিকল্পনা অবিলম্বে বাস্তবায়নের দাবিতে গণপদযাত্রা কর্মসূচি পালিত হয়েছে। এতে অংশ নিয়েছেন নদী অববাহিকার হাজারো মানুষ।

মঙ্গলবার সকাল ১০টায় লালমনিরহাট সদরের তিস্তা সেতু থেকে শুরু হয়ে পদযাত্রাটি রংপুরের কাউনিয়া অভিমুখে রওনা হয়। পরে কাউনিয়া থেকে পদযাত্রাটি আবার তিস্তা সেতুতে এসেই শেষ হয়।

প্রায় পৌনে ২ ঘণ্টা এ কর্মসূচি চলে। পদযাত্রা শেষে আন্দোলনকারীরা বেলা ১২টায় তিস্তা নদীর পানিতে নেমে প্ল্যাকার্ড প্রদর্শন করেন।

‘জাগো বাহে তিস্তা বাঁচাই’- স্লোগানে সোমবার সকাল থেকে ৪৮ ঘণ্টার অবস্থান কর্মসূচির ডাক দেয় ‘তিস্তা নদী রক্ষা আন্দোলন’ নামের একটি সংগঠন।

এদিন কর্মসূচির উদ্বোধন করেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিস্তা নদীবেষ্টিত পাঁচটি জেলার ১১টি স্থানে একসঙ্গে অবস্থান কর্মসূচি পালিত হয়। বিএনপির কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতা-কর্মীদের পাশাপাশি তিস্তা নদীপারের হাজারো বাসিন্দা কর্মসূচিতে অংশ নেন।

মঙ্গলবার পদযাত্রা শুরুর আগে তিস্তা নদী রক্ষা আন্দোলনের প্রধান বিএনপির কার্যনির্বাহী কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক সাবেক উপমন্ত্রী আসাদুল হাবীব দুলু বলেন, “তিস্তা নদী আমাদের প্রাণ। এই নদী বাঁচলে উত্তরাঞ্চলের কৃষক বাঁচবে, অর্থনীতি বাঁচবে।

“আমরা তিস্তার পানির ন্যায্য হিস্যার দাবি জানাচ্ছি এবং মহাপরিকল্পনার দ্রুত বাস্তবায়ন চাই।”

তিস্তা পাড়ে দিনভর মানুষের ঢল, আগে ছিল আশীর্বাদ, এখন অভিশাপ

দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে তিস্তা পানি বণ্টন চুক্তি নিয়ে আলোচনা চললেও এখনও তা বাস্তবায়িত হয়নি।

নদী অববাহিকার বাসিন্দারা বলছেন, তিস্তা নদীর পানির প্রবাহ কমে যাওয়ায় উত্তরাঞ্চলের কৃষি, জীববৈচিত্র্য ও সাধারণ মানুষের জীবিকা মারাত্মক হুমকির মুখে পড়েছে। বিশেষ করে শুষ্ক মৌসুমে পানির অভাবে চাষাবাদ ব্যাহত হচ্ছে।

তিস্তা এলাকার কৃষক ওয়াহেদুল ইসলাম বলেন, “তিস্তা নদী হামার জীবনটাক ওলোট-পালট করি দিছে। তিস্তা নদীক বাঁচপার জন্যে হামার দুলু ভাই ডাক দিছে। হামরা আছি দুলু ভাইয়ের সঙ্গে।”

পদযাত্রায় অংশ নেওয়া আদিতমারী উপজেলা যুবদলের সদস্য সচিব একেএম হাসানুল বান্না বলেন, “তিস্তা আমাদের জীবনের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই তিস্তাকে ঘিরেই নদী পাড়ের মানুষের জীবনযাত্রা। সেই তিস্তাকে বাঁচাতে আমাদের নেতা আসাদুল হাবীব দুলুর নেতৃত্বে জেলার মানুষ ঐক্যবদ্ধ হয়ে আন্দোলনে নেমেছে। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন চলতেই থাকবে।”

‘জাগো বাহে, তিস্তা বাঁচাই’-কর্মসূচির শেষ দিন মঙ্গলবার তিস্তা নদীর ১১টি পয়েন্টে কর্মসূচিতে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ভার্চুয়ালি যোগ দেওয়ার কথা রয়েছে। লালমনিরহাট প্রতিনিধি

বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম

 

 

উত্তরাধুনিক

Writer, Singer & Environmentalist

তিস্তা নদী রক্ষা আন্দোলন: ‘এই নদী বাঁচলে উত্তরাঞ্চলের কৃষক বাঁচবে’

আপডেট সময়: ০৮:৪১:৩৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

নদীক বাঁচপার জন্যে হামার দুলু ভাই ডাক দিছে। হামরা আছি দুলু ভাইয়ের সঙ্গে।

তিস্তা নদীর পানির ন্যায্য হিস্যা আদায় ও মহাপরিকল্পনা অবিলম্বে বাস্তবায়নের দাবিতে গণপদযাত্রা কর্মসূচি পালিত হয়েছে। এতে অংশ নিয়েছেন নদী অববাহিকার হাজারো মানুষ।

মঙ্গলবার সকাল ১০টায় লালমনিরহাট সদরের তিস্তা সেতু থেকে শুরু হয়ে পদযাত্রাটি রংপুরের কাউনিয়া অভিমুখে রওনা হয়। পরে কাউনিয়া থেকে পদযাত্রাটি আবার তিস্তা সেতুতে এসেই শেষ হয়।

প্রায় পৌনে ২ ঘণ্টা এ কর্মসূচি চলে। পদযাত্রা শেষে আন্দোলনকারীরা বেলা ১২টায় তিস্তা নদীর পানিতে নেমে প্ল্যাকার্ড প্রদর্শন করেন।

‘জাগো বাহে তিস্তা বাঁচাই’- স্লোগানে সোমবার সকাল থেকে ৪৮ ঘণ্টার অবস্থান কর্মসূচির ডাক দেয় ‘তিস্তা নদী রক্ষা আন্দোলন’ নামের একটি সংগঠন।

এদিন কর্মসূচির উদ্বোধন করেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিস্তা নদীবেষ্টিত পাঁচটি জেলার ১১টি স্থানে একসঙ্গে অবস্থান কর্মসূচি পালিত হয়। বিএনপির কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতা-কর্মীদের পাশাপাশি তিস্তা নদীপারের হাজারো বাসিন্দা কর্মসূচিতে অংশ নেন।

মঙ্গলবার পদযাত্রা শুরুর আগে তিস্তা নদী রক্ষা আন্দোলনের প্রধান বিএনপির কার্যনির্বাহী কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক সাবেক উপমন্ত্রী আসাদুল হাবীব দুলু বলেন, “তিস্তা নদী আমাদের প্রাণ। এই নদী বাঁচলে উত্তরাঞ্চলের কৃষক বাঁচবে, অর্থনীতি বাঁচবে।

“আমরা তিস্তার পানির ন্যায্য হিস্যার দাবি জানাচ্ছি এবং মহাপরিকল্পনার দ্রুত বাস্তবায়ন চাই।”

তিস্তা পাড়ে দিনভর মানুষের ঢল, আগে ছিল আশীর্বাদ, এখন অভিশাপ

দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে তিস্তা পানি বণ্টন চুক্তি নিয়ে আলোচনা চললেও এখনও তা বাস্তবায়িত হয়নি।

নদী অববাহিকার বাসিন্দারা বলছেন, তিস্তা নদীর পানির প্রবাহ কমে যাওয়ায় উত্তরাঞ্চলের কৃষি, জীববৈচিত্র্য ও সাধারণ মানুষের জীবিকা মারাত্মক হুমকির মুখে পড়েছে। বিশেষ করে শুষ্ক মৌসুমে পানির অভাবে চাষাবাদ ব্যাহত হচ্ছে।

তিস্তা এলাকার কৃষক ওয়াহেদুল ইসলাম বলেন, “তিস্তা নদী হামার জীবনটাক ওলোট-পালট করি দিছে। তিস্তা নদীক বাঁচপার জন্যে হামার দুলু ভাই ডাক দিছে। হামরা আছি দুলু ভাইয়ের সঙ্গে।”

পদযাত্রায় অংশ নেওয়া আদিতমারী উপজেলা যুবদলের সদস্য সচিব একেএম হাসানুল বান্না বলেন, “তিস্তা আমাদের জীবনের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই তিস্তাকে ঘিরেই নদী পাড়ের মানুষের জীবনযাত্রা। সেই তিস্তাকে বাঁচাতে আমাদের নেতা আসাদুল হাবীব দুলুর নেতৃত্বে জেলার মানুষ ঐক্যবদ্ধ হয়ে আন্দোলনে নেমেছে। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন চলতেই থাকবে।”

‘জাগো বাহে, তিস্তা বাঁচাই’-কর্মসূচির শেষ দিন মঙ্গলবার তিস্তা নদীর ১১টি পয়েন্টে কর্মসূচিতে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ভার্চুয়ালি যোগ দেওয়ার কথা রয়েছে। লালমনিরহাট প্রতিনিধি

বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম