
ছিনতাই খুন লুটে ভয়ার্ত মানুষ— সমকাল পত্রিকার প্রধান শিরনাম। এই প্রতিবেদনে বাংলাদেশের বর্তমান ভঙ্গুর আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিকে তুলে ধরা হয়েছে।
বলা হচ্ছে, ‘ডেভিল হান্ট’ নামক বিশেষ অভিযানের মধ্যেও খুনোখুনি, চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই, ধর্ষণ, মব ভায়োলেন্স– এমন কোনও অপরাধ নেই, যা বাংলাদেশে এই মুহূর্তে ঘটছে না।
যেমন: মহাসড়কে বাসের ভেতরে অস্ত্র ঠেকিয়ে ধর্ষণ, মধ্যরাতে ব্যবসায়ীকে গুলি করে সোনাদানা ছিনতাই, দিনদুপুরে রাজধানী ঢাকাতেও চলন্ত বাসে অস্ত্র ঠেকিয়ে লুটতরাজ।
এসব অপরাধের নানা ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ায় নিরাপত্তা নিয়ে জনমনে দেখা দিয়েছে ভীতি।
আরো পড়ুন
https://www.kalerkantho.com/online/national/2025/02/25/1485303
অপরাধ বিশ্লেষকরা বলেছেন, ‘ডেভিল হান্ট’ অভিযানটি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে বেশি পরিচালিত হচ্ছে। সংঘবদ্ধ অপরাধে যারা জড়িত, তাদের মধ্যে ধারণা জন্মেছে– তারা অভিযানের ফোকাসে নেই। এ কারণে অভিযানের পূর্ণ ফল আসেনি।
পুলিশের পরিসংখ্যান অনুযায়ী এখানে বলা হয়েছে, সাম্প্রতিক কালে ডাকাতি ও দস্যুতার (ছিনতাই) ঘটনায় মামলা বেড়েছে।
গত জানুয়ারিতে দেশে ডাকাতি ও দস্যুতার ঘটনায় মামলা হয়েছে ২৪২টি, যা গত বছরের একই মাসের তুলনায় ৯৯টি বেশি (৬৯ শতাংশ)।
ডাকাতি ও দস্যুতার ঘটনায় গত ডিসেম্বরে মামলা হয়েছে ২৩০টি, যা গত বছরের একই মাসের তুলনায় ৯৫টি (৭০ শতাংশ) বেশি।
সব মিলিয়ে গত আগস্ট থেকে জানুয়ারি পর্যন্ত ছয় মাসে ডাকাতি ও দস্যুতার ঘটনায় মামলা হয়েছে এক হাজার ১৪৫টি, যা ২০২৩ সালের আগস্ট থেকে ২০২৪ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত সময়ের তুলনায় ৩৮২টি বেশি (৫০ শতাংশ)।

অপরাধীরা বেপরোয়া, আতংকে মানুষ। প্রথম আলোর শিরোনাম
এখানে বলা হয়েছে, দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে গতকাল সোমবার সন্ধ্যা থেকে ঢাকায় যৌথবাহিনীর অভিযান শুরু হয়েছে।
এ ব্যাপারে গতকাল আইনশৃঙ্খলাসংক্রান্ত কোর কমিটির সভা শেষে সাংবাদিকদেরকে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব:) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়নে সোমবার সন্ধ্যার পর থেকে অপারেশন আরও জোরদার করা হচ্ছে।
“আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়নে সংশ্লিষ্ট বাহিনীগুলোকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। সন্ধ্যার পর থেকে অপারেশন আরো জোরদার করা হবে।
অপরাধপ্রবণ এলাকাগুলোতে আরো টহল বাড়ানো হবে, চেকপোস্ট বসিয়ে তল্লাশি করা হবে,” জানান স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা। বিবিসি