নিয়ামুর রশিদ শিহাব
বন্য প্রাণী ও পাখি বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শকুনের জাত রক্ষা করা না গেলে কয়েক বছরের মধ্যে প্রকৃতি থেকে হারিয়ে যাবে শকুন। বাস্তবে নয় তখন বইয়ে ছবি দেখে স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদের চেনাতে হবে। প্রকৃতির সঙ্গে যুদ্ধ করে এখনো কোনোভাবে টিকে আছে সরু ঠোঁট প্রজাতির শকুন।
জানা গেছে, ৮০’র দশকে পটুয়াখালী জেলা ও গলাচিপা উপজেলাসহ দক্ষিনাঞ্চলে বিস্তীর্ণ এলাকাগুলোর নদ-নদীর চরে দল বেঁধে ঘুরত শকুনের ঝাঁক। এছাড়া ১৯৭১ সালের বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন নদে ভেসে আসা লাশের ওপর বসত ধূসর শকুন। গরু মহালের আকাশে ছায়া ফেলে চক্কর দিত শকুন-শকুনিরা।
শকুন অশুভ তো নয়ই, হিংস্রও নয়। চিল, ঈগল বা বাজপাখির মতো শিকারিও নয়। এটা আমাদের পরিবেশের পরম বন্ধু। মৃত পশু খেয়ে শকুন আমাদের পরিবেশের ভারসাম্য বজায় রাখে। শকুন কখনোই জীবিত মানুষকে আক্রমণ করে না।
বিশেষজ্ঞদের মতে, মৃত পশুর মাংস শকুনের কোনো ক্ষতি করে না। কিন্তু ডাইক্লোফেনাক দেওয়া হয়েছে এমন মৃত পশুর মাংস খেলে কিডনি নষ্ট হয়ে ২-৩ দিনের মধ্যে শকুনের মৃত্যু ঘটে। এ কারণে গত তিন দশকে উপমহাদেশে ৯৭ শতাংশ শকুন মারা গেছে।
বর্তমানে শকুন বিলুপ্তি প্রায়। যা আমাদের পরিবেশের জন্য বড় হুমকি। শকুনকে বিলুপ্তির হাত থেকে রক্ষা করতে হবে। এখনই যদি পরিবেশ রক্ষায় কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ না করা হলে অচিরেই হারিয়ে যাবে প্রাকৃতিক সুইপার শকুন। জাগো নিউজ