বিবিসি’র প্রতিবেদন
বিশেষ জাতের গরু ছাগলের জন্য আলোচনায় উঠে আসা প্রতিষ্ঠান সাদিক এগ্রোর মালিক মোঃ ইমরান হোসেনের বিরুদ্ধে অর্থ পাচার সম্পর্কিত অপরাধের মাধ্যমে ১৩৩ কোটি টাকারও বেশি অর্জনের অভিযোগ এনেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ বা সিআইডি।
সংস্থাটির অর্গানাইজড ক্রাইম টিমের অতিরিক্ত উপমহাপরিদর্শক একরামুল হাবিব মঙ্গলবার এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, সংঘবদ্ধ অপরাধ চক্রের সহযোগিতায় চোরাচালান, প্রতারণা ও জালিয়াতির মাধ্যমে এ অর্থ অর্জন করেছে ইমরান হোসেন।
মানি লন্ডারিং মামলায় সোমবার ঢাকার মালিবাগ থেকে মি. হোসেনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিলো। আজ আদালত তার জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠিয়েছে।
সিআইডি জানিয়েছে, সাদিক এগ্রো লিমিটেড সংঘবদ্ধ অপরাধ চক্রের মাধ্যমে চোরাচালান, প্রতারণা ও জালিয়াতির মাধ্যমে অনুমোদনহীন ব্রাহমা জাতের গরু আমদানি ও সরকারি বিধি লঙ্ঘন করে অবৈধভাবে বিদেশে প্রায় ৮৬ লাখ টাকা পাচার করেছেন।
“তিনি প্রতারণার মাধ্যমে দেশিয় গরু ছাগলকে বিদেশি ও বংশীয় গরু বা ছাগল বলে প্রচার করে উচ্চমূল্যে তা কোরবানির পশুর হাটে বিক্রয় করে অবৈধভাবে আয় করে ১২১ কোটি টাকার বেশি বিভিন্ন ব্যাংক হিসাবের মাধ্যমে হস্তান্তর, স্থানান্তর ও রূপান্তর করেছেন,” সিআইডি দাবি করেছে।
সংস্থাটি বলছে প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে কক্সবাজার জেলার টেকনাফ ও উখিয়া সীমান্তবর্তী এলাকা দিয়ে থাইল্যান্ড ও মায়ানমার হতে চোরাচালানের মাধ্যমে গরু ও মহিষ বাংলাদেশে নিয়ে এসে তা বিক্রয়, ভুটান ও নেপাল হতে চোরাচালানের মাধ্যমে ছোট আকৃতির ভুট্টি গরু বাংলাদেশে নিয়ে এসে বিক্রয়ের অভিযোগ রয়েছে ইমরান হোসেনের বিরুদ্ধে।
ছবির উৎস,CID