০১:২৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৩ জুন ২০২৫

বাড়িতে ২৫ ডিগ্রির নিচে এসি চালালে সরকার চিহ্নিত করবে কীভাবে?

  • আপডেট সময়: ০৫:৪৯:৩৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৪ মার্চ ২০২৫
  • 57

তারেকুজ্জামান শিমুল, বিবিসি নিউজ বাংলা, ঢাকা

বাংলাদেশে সরকারি-বেসরকারি অফিস ও বাড়িঘরে ২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্র বা এসি না চালানোর নির্দেশনা দিয়ে সম্প্রতি পরিপত্র জারি করেছে সরকার।

যারা এই নির্দেশনা অমান্য করবে, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে বিদ্যুৎ মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, যা নিয়ে বিভিন্ন মহলে আলোচনা-সমালোচনা হতে দেখা যাচ্ছে।

বিদ্যুৎ সাশ্রয়ের মাধ্যমে লোডশেডিং সহনীয় পর্যায়ে রাখতেই এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে বিবিসি বাংলাকে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান।

২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় কাজ করতে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারিদের যেন অসুবিধা না হয়, সেজন্য গরমকালে স্যুট-কোট পরিধান করে অফিসে না আসার নির্দেশনাও দেওয়া হয়েছে।

নির্দেশনাগুলো ঠিকমত মানা হচ্ছে কি-না, সে বিষয়ে বিদ্যুৎ মন্ত্রণালয় শিগগিরই নজরদারি শুরু করবে বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ উপদেষ্টা।

কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, অফিস কিংবা বাড়িঘরে কেউ যদি ২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে এসি চালান, তাহলে সরকার নজরদারি করে সেটা চিহ্নিত করবে কীভাবে?

“এটা করা কঠিন কিছু হবে না, খুব সহজ,” বিবিসি বাংলাকে বলেন মি. খান। বিবিসি বাংলার কাছে সেটা তিনি ব্যাখ্যাও করেছেন।

এদিকে, গ্রাহক যেখানে টাকা দিয়ে কিনে বিদ্যুৎ ব্যবহার করছে, সেখানে সরকার এ ধরনের ব্যবস্থা নিতে পারে কী-না, সেই প্রশ্নও উঠছে।

“সরকার পর্যাপ্ত বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে পারছে না, সেটা তাদের ব্যর্থতা। আমাকে কেন সেটার খেসারৎ দিতে হবে? আমি তো বিল পরিশোধ করেই প্রতিমাসে বিদ্যুৎ ব্যবহার করছি,” বিবিসি বাংলাকে বলছিলেন ঢাকার বেসরকারি একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের কর্ণধার খন্দকার জাহিদুল ইসলাম।

উল্লেখ্য যে, বাংলাদেশে শীতকালের তুলনায় গরমকালে সাধারণত বিদ্যুতের চাহিদা বেড়ে দ্বিগুণ হয়। এ বছর গ্রীষ্মে গ্রাহকের চাহিদা মেটাতে প্রায় ১৮ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুতের প্রয়োজন হতে পারে বলে ধারণা করছে সরকার। এই পরিমাণ বিদ্যুৎ উৎপাদনের সক্ষমতাও দেশটির রয়েছে।

কিন্তু চলমান আর্থিক ও জ্বালানি সংকটের মধ্যে চাহিদার পুরোটা বিদ্যুৎ উৎপাদন করা কঠিন হবে না বলে জানিয়েছে মন্ত্রণালয়। এ অবস্থায় বিদ্যুৎ ব্যবহারে সাশ্রয়ী হওয়ার নীতি গ্রহণ করেছে সরকার।

“এক্ষেত্রে সবাই সহযোগিতা করলে দুই থেকে তিন হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সাশ্রয় হবে। এতে রোজা ও গরমের সময় লোডশেডিং সহনীয় পর্যায়ে রাখা সম্ভব হবে,” বলেন মি. খান।

উত্তরাধুনিক

Writer, Singer & Environmentalist

বাড়িতে ২৫ ডিগ্রির নিচে এসি চালালে সরকার চিহ্নিত করবে কীভাবে?

আপডেট সময়: ০৫:৪৯:৩৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৪ মার্চ ২০২৫

তারেকুজ্জামান শিমুল, বিবিসি নিউজ বাংলা, ঢাকা

বাংলাদেশে সরকারি-বেসরকারি অফিস ও বাড়িঘরে ২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্র বা এসি না চালানোর নির্দেশনা দিয়ে সম্প্রতি পরিপত্র জারি করেছে সরকার।

যারা এই নির্দেশনা অমান্য করবে, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে বিদ্যুৎ মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, যা নিয়ে বিভিন্ন মহলে আলোচনা-সমালোচনা হতে দেখা যাচ্ছে।

বিদ্যুৎ সাশ্রয়ের মাধ্যমে লোডশেডিং সহনীয় পর্যায়ে রাখতেই এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে বিবিসি বাংলাকে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান।

২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় কাজ করতে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারিদের যেন অসুবিধা না হয়, সেজন্য গরমকালে স্যুট-কোট পরিধান করে অফিসে না আসার নির্দেশনাও দেওয়া হয়েছে।

নির্দেশনাগুলো ঠিকমত মানা হচ্ছে কি-না, সে বিষয়ে বিদ্যুৎ মন্ত্রণালয় শিগগিরই নজরদারি শুরু করবে বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ উপদেষ্টা।

কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, অফিস কিংবা বাড়িঘরে কেউ যদি ২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে এসি চালান, তাহলে সরকার নজরদারি করে সেটা চিহ্নিত করবে কীভাবে?

“এটা করা কঠিন কিছু হবে না, খুব সহজ,” বিবিসি বাংলাকে বলেন মি. খান। বিবিসি বাংলার কাছে সেটা তিনি ব্যাখ্যাও করেছেন।

এদিকে, গ্রাহক যেখানে টাকা দিয়ে কিনে বিদ্যুৎ ব্যবহার করছে, সেখানে সরকার এ ধরনের ব্যবস্থা নিতে পারে কী-না, সেই প্রশ্নও উঠছে।

“সরকার পর্যাপ্ত বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে পারছে না, সেটা তাদের ব্যর্থতা। আমাকে কেন সেটার খেসারৎ দিতে হবে? আমি তো বিল পরিশোধ করেই প্রতিমাসে বিদ্যুৎ ব্যবহার করছি,” বিবিসি বাংলাকে বলছিলেন ঢাকার বেসরকারি একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের কর্ণধার খন্দকার জাহিদুল ইসলাম।

উল্লেখ্য যে, বাংলাদেশে শীতকালের তুলনায় গরমকালে সাধারণত বিদ্যুতের চাহিদা বেড়ে দ্বিগুণ হয়। এ বছর গ্রীষ্মে গ্রাহকের চাহিদা মেটাতে প্রায় ১৮ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুতের প্রয়োজন হতে পারে বলে ধারণা করছে সরকার। এই পরিমাণ বিদ্যুৎ উৎপাদনের সক্ষমতাও দেশটির রয়েছে।

কিন্তু চলমান আর্থিক ও জ্বালানি সংকটের মধ্যে চাহিদার পুরোটা বিদ্যুৎ উৎপাদন করা কঠিন হবে না বলে জানিয়েছে মন্ত্রণালয়। এ অবস্থায় বিদ্যুৎ ব্যবহারে সাশ্রয়ী হওয়ার নীতি গ্রহণ করেছে সরকার।

“এক্ষেত্রে সবাই সহযোগিতা করলে দুই থেকে তিন হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সাশ্রয় হবে। এতে রোজা ও গরমের সময় লোডশেডিং সহনীয় পর্যায়ে রাখা সম্ভব হবে,” বলেন মি. খান।