০৬:৪৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ২১ জুন ২০২৫

কানাডায়  বাংলাদেশি হেরিটেজ মাস: উদযাপনের প্রাসঙ্গিকতা ও তাৎপর্য

  • আপডেট সময়: ০৭:২২:০৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ৯ মার্চ ২০২৫
  • 45


আতোয়ার রহমান

অন্টারিওতে মার্চ মাসকে বাংলাদেশি  হেরিটেজ বা  ঐতিহ্য মাস হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে বেশ কয়েক বছর আগে। অন্টারিও প্রভিন্সে বসবাসকারি বাংলাদেশি কানাডিয়ানদের অসংখ্য গুরুত্বপূর্ণ অবদানকে সম্মান জানিয়ে এবং তার বহু-সাংস্কৃতিক কাঠামোকে শক্তিশালী করার ক্ষেত্রে তাদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা তুলে ধরে এটি প্রতিবছর  উদযাপন করা হয়ে থাকে।
অন্টারিও একটি বৃহৎ এবং প্রাণবন্ত বাংলাদেশি সম্প্রদায়ের আবাসস্থল। প্রভিন্স জুড়ে বাংলাদেশি কানাডিয়ানরা অন্টারিওর বৈজ্ঞানিক, ক্রীড়া, সাংস্কৃতিক এবং রাজনৈতিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন এবং তারা অন্টারিও জুড়ে প্রবৃদ্ধি, সমৃদ্ধি এবং উদ্ভাবন বৃদ্ধিতে সহায়তা করে চলেছেন। বাংলাদেশি-কানাডিয়ান সম্প্রদায় বেশ শক্তিশালী, বর্তমানে আনুমানিক দেড় লাখেরও বেশি বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত মানুষ কানাডায় বাস করে। এর অধিকাংশরই আবাসস্থল অন্টারিওতে।  তারা কানাডার সমৃদ্ধি এবং কানাডার বহু-সাংস্কৃতিক কাঠামোতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে চলেছেন, যা আমাদের দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ককে আরও শক্তিশালী করে।
মার্চ মাস বাংলাদেশী সম্প্রদায়ের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ মাস। প্রতি বছর ২৬ মার্চ, বিশ্বজুড়ে বাংলাদেশিরা ১৯৭১ সালে তাদের জাতির স্বাধীনতা অর্জনের স্মরণে স্বাধীনতা দিবস উদযাপন করে। এই দিনটি প্রায়শই সঙ্গীত, কুচকাওয়াজ, মেলা এবং বাংলাদেশের ইতিহাস ও ঐতিহ্য উদযাপনের জন্য বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সমাবেশের মাধ্যমে উদযাপন করা হয়। বাংলাদেশি এই হেরিটেজ মাসটিতে টরন্টো সহ অন্টারিওর বিভিন্ন শহরে  বাংলাদেশের প্রাণবন্ত সংস্কৃতি, ইতিহাস এবং ঐতিহ্য উদযাপন করা হয়ে থাকে এবং এভাবে সে সব শহরের বৈচিত্র্যময় কাঠামোতে বাংলাদেশি সম্প্রদায়ের গুরুত্বপূর্ণ অবদানকে সম্মান জানানো হয়।
আমাদের উচিত এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে  আমাদের সমৃদ্ধ সাহিত্য থেকে শুরু করে সুস্বাদু খাবার পর্যন্ত বিভিন্ন ক্ষেত্রে বাংলাদেশী ঐতিহ্যের সৌন্দর্য এবং স্থিতিস্থাপকতা, বৈচিত্র্যময়তা অন্যান্য সম্প্রদায়ের সামনে তুলে ধরা। মার্চ মাসে আমাদের জাতীয় জীবনের কিছু গুরুত্বপূর্ণ ঐতিহ্য যেমন ৭ই মার্চ, ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবস সাড়ম্বরে পালনের মাধ্যমে আমরা আমাদের এ ঐতিহ্য মাসটিকে আরও তাৎপর্যপূর্ণভাবে পালন করতে পারি। তাছাড়া এপ্রিলের মাঝামাঝি সময়ে রয়েছে পহেলা বৈশাখ। এই সবগুলো গুরুত্বপূর্ণ উৎসব ও ঐতিহ্যকে সামনে রেখে আমরা আরও আড়ম্বরের সাথে প্রতিবছর ঐক্যবদ্ধভাবে আমাদের ঐতিহ্য মাসটি উদযাপন করতে পারি।
আমরা আমাদের কবিতা, গান,  নাচ, নাটক উৎসব, কুচকাওয়াজ, কনসার্ট, ওয়ার্কশপ ও সেমিনার আয়োজন-এর মাধ্যমে,  আমাদের সমৃদ্ধ ইতিহাস পর্যবেক্ষণ ও প্রশংসা করার মতো অনেক কার্যক্রমের মাধ্যমে আমাদের ঐতিহ্য উদযাপন করতে একত্রিত হতে পারি। আমরা আরও বাংলাদেশি রেস্তোরাঁ চালু করতে পারি, মাসব্যাপি  খাবার মেলা আয়োজন করে আমাদের সমৃদ্ধ ঐতিহ্যবাহী খাবারগুলো যেমন  বিরিয়ানি, তেহারি, কাবাব, পিঠা ও মিষ্টির স্বাদ  ভাগাভাগি করে খেতে পারি। এতে করে বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মাধ্যে আমাদের খাবারের পরিচিতি ও সুনাম আরও বাড়বে। তাতে  নতুন নতুন  কর্মসংস্থানের সুযোগ   সৃষ্টি হবে।
কানাডায় অভিবাসন প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে সেই পঞ্চদশ শতাব্দি থেকে। কিন্তু আমাদের বাংলাদেশিদের উত্তর আমেরিকার বিশাল এ দেশটিতে আগমণ শুরু হয়েছে মুলত ১৯৭১ তথা স্বাধীনতা পরবর্তীকালে। অবশ্য কানাডায় অশ্বেতাঙ্গদের জন্য ব্যুক্তিগত পর্যায়ে অভিবাসন প্রক্রিয়া সহজ হওয়া শুরু হয় ১৯৬০ এর দশক থেকে। কানাডায় অভিবাসি হওয়া অন্যান্য অনেক সম্প্রদায়ের তুলনায় আমরা বাংলাদেশিরা অপেক্ষাকৃত নবীন হলেও প্রায় আড়াইশ বছর ধরে ব্রিটিশদের অধীন একটি উপনেবেশিক রাষ্ট্র হিসেবে ইংল্যান্ড এবং সেই সুত্রে কানাডার রাষ্ট্র ও সমাজের গঠন ও সমৃদ্ধিতে আমাদের অনেক অবদান রয়েছে। তাই  এখানে আমাদের এ হেরিটেজ মাস উদযাপনের প্রাসঙ্গিকতা এবং যথেষ্ট গুরুত্ব রয়েছে। এর মাধ্যমে আমরা আমাদের বাংলাদেশি কমিউনিটির  পরিচিতি ও ঐতিহ্য এই পুরো দেশটির বহুসংস্কৃতির অন্যান্য সম্প্রদায়ের সামনে সহজে তুলে ধরতে পারবো। মাসব্যাপী এই উদযাপন বাংলাদেশি কানাডিয়ান জনগণের সমৃদ্ধ সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য এবং কানাডায় তাদের অবদানকে উৎসাহিত করবে। এতে করে কানাডার মূলধারার সংস্কৃতির সঙ্গে আমাদের সাংস্কৃতিক বন্ধন তৈরি হবে।
পাশাপাশি আমাদের এমন কোন কাজ করা চলবে না,  যাতে অন্যরা আমাদের সম্পর্কে নেতিবাচক ধারণা পোষণ করতে উদ্বুদ্ধ হয়। কানাডার মুল্যবোধের সাথে তাল মিলিয়ে আমাদের নাগরিক দায়ীত্ব পালন করতে হবে। আমরা আমাদের বাড়ি-ঘর, দোকান-পাটসহ আশেপাশের রাস্তা সহ এর দুপাশের ফুটপাথগুলো, পার্কগুলো, মসজিদ, মন্দিরগুলো  পরিস্কার পরিচ্ছন্ন রাখবো।  সড়কে চলাচলের নিয়ম মেনে চলাচল করবো, বেপরোয়াভাবে গাড়ি চালাবো না, দোকানে কেনাকাটার সময় সঠিক ভাবে লাইনে দাঁড়িয়ে কেনাকাটা করবো, লাইনে দাঁড়ানো সামনের ব্যক্তিটিকে পাশ কাটিয়ে দৃষ্টিকটুভাবে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করবো না। এতে করে আমাদের ইতিহাস ঐতিহ্য বজায় রেখেও কানাডার মূল স্রোতের বিভিন্ন জনগোষ্ঠীর সঙ্গে আমাদের ইন্টারঅ্যাকশন বৃদ্ধি পাবে, তাতে পুরো কমিউনিটিই উপকৃত হবে। শুধু তাই নয়, এখানে বেড়ে ওঠা আমাদের নতুন প্রজন্মের সন্তানদের মধ্যেও আমাদের শিকড়ের সংস্কৃতির সাথে শক্তিশালী বন্ধন সৃষ্টি হবে।
আমাদের দেশে বিদ্যমান সকল সংস্কৃতি উদযাপন করে আমরা কেবল আরও সমৃদ্ধ হই। আমাদের শিকড় ভুলে না গিয়ে এবং কানাডাকে আরও বেশি ভালোবাসলে আমরা আরও শক্তিশালী কানাডিয়ান হয়ে উঠি। আমরা কানাডিয়ানরা একটি সুন্দর মোজাইক শিল্প তৈরি করি যা বিশ্বের প্রয়োজন। বাংলাদেশী কানাডিয়ানদের ইতিহাস, তাদের সংগ্রাম, বিজয় এবং কানাডার সমাজে তারা যে অমোচনীয় চিহ্ন রেখে গেছেন তা সম্পর্কে কানাডিয়ানরা জানতে পারবে। এই মাসটি উদযাপন করার সময়, আসুন আমরা বৈচিত্র্য এবং ঐক্য উদযাপনের জন্য একত্রিত হই।

উত্তরাধুনিক

Writer, Singer & Environmentalist

কানাডায়  বাংলাদেশি হেরিটেজ মাস: উদযাপনের প্রাসঙ্গিকতা ও তাৎপর্য

আপডেট সময়: ০৭:২২:০৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ৯ মার্চ ২০২৫


আতোয়ার রহমান

অন্টারিওতে মার্চ মাসকে বাংলাদেশি  হেরিটেজ বা  ঐতিহ্য মাস হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে বেশ কয়েক বছর আগে। অন্টারিও প্রভিন্সে বসবাসকারি বাংলাদেশি কানাডিয়ানদের অসংখ্য গুরুত্বপূর্ণ অবদানকে সম্মান জানিয়ে এবং তার বহু-সাংস্কৃতিক কাঠামোকে শক্তিশালী করার ক্ষেত্রে তাদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা তুলে ধরে এটি প্রতিবছর  উদযাপন করা হয়ে থাকে।
অন্টারিও একটি বৃহৎ এবং প্রাণবন্ত বাংলাদেশি সম্প্রদায়ের আবাসস্থল। প্রভিন্স জুড়ে বাংলাদেশি কানাডিয়ানরা অন্টারিওর বৈজ্ঞানিক, ক্রীড়া, সাংস্কৃতিক এবং রাজনৈতিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন এবং তারা অন্টারিও জুড়ে প্রবৃদ্ধি, সমৃদ্ধি এবং উদ্ভাবন বৃদ্ধিতে সহায়তা করে চলেছেন। বাংলাদেশি-কানাডিয়ান সম্প্রদায় বেশ শক্তিশালী, বর্তমানে আনুমানিক দেড় লাখেরও বেশি বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত মানুষ কানাডায় বাস করে। এর অধিকাংশরই আবাসস্থল অন্টারিওতে।  তারা কানাডার সমৃদ্ধি এবং কানাডার বহু-সাংস্কৃতিক কাঠামোতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে চলেছেন, যা আমাদের দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ককে আরও শক্তিশালী করে।
মার্চ মাস বাংলাদেশী সম্প্রদায়ের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ মাস। প্রতি বছর ২৬ মার্চ, বিশ্বজুড়ে বাংলাদেশিরা ১৯৭১ সালে তাদের জাতির স্বাধীনতা অর্জনের স্মরণে স্বাধীনতা দিবস উদযাপন করে। এই দিনটি প্রায়শই সঙ্গীত, কুচকাওয়াজ, মেলা এবং বাংলাদেশের ইতিহাস ও ঐতিহ্য উদযাপনের জন্য বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সমাবেশের মাধ্যমে উদযাপন করা হয়। বাংলাদেশি এই হেরিটেজ মাসটিতে টরন্টো সহ অন্টারিওর বিভিন্ন শহরে  বাংলাদেশের প্রাণবন্ত সংস্কৃতি, ইতিহাস এবং ঐতিহ্য উদযাপন করা হয়ে থাকে এবং এভাবে সে সব শহরের বৈচিত্র্যময় কাঠামোতে বাংলাদেশি সম্প্রদায়ের গুরুত্বপূর্ণ অবদানকে সম্মান জানানো হয়।
আমাদের উচিত এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে  আমাদের সমৃদ্ধ সাহিত্য থেকে শুরু করে সুস্বাদু খাবার পর্যন্ত বিভিন্ন ক্ষেত্রে বাংলাদেশী ঐতিহ্যের সৌন্দর্য এবং স্থিতিস্থাপকতা, বৈচিত্র্যময়তা অন্যান্য সম্প্রদায়ের সামনে তুলে ধরা। মার্চ মাসে আমাদের জাতীয় জীবনের কিছু গুরুত্বপূর্ণ ঐতিহ্য যেমন ৭ই মার্চ, ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবস সাড়ম্বরে পালনের মাধ্যমে আমরা আমাদের এ ঐতিহ্য মাসটিকে আরও তাৎপর্যপূর্ণভাবে পালন করতে পারি। তাছাড়া এপ্রিলের মাঝামাঝি সময়ে রয়েছে পহেলা বৈশাখ। এই সবগুলো গুরুত্বপূর্ণ উৎসব ও ঐতিহ্যকে সামনে রেখে আমরা আরও আড়ম্বরের সাথে প্রতিবছর ঐক্যবদ্ধভাবে আমাদের ঐতিহ্য মাসটি উদযাপন করতে পারি।
আমরা আমাদের কবিতা, গান,  নাচ, নাটক উৎসব, কুচকাওয়াজ, কনসার্ট, ওয়ার্কশপ ও সেমিনার আয়োজন-এর মাধ্যমে,  আমাদের সমৃদ্ধ ইতিহাস পর্যবেক্ষণ ও প্রশংসা করার মতো অনেক কার্যক্রমের মাধ্যমে আমাদের ঐতিহ্য উদযাপন করতে একত্রিত হতে পারি। আমরা আরও বাংলাদেশি রেস্তোরাঁ চালু করতে পারি, মাসব্যাপি  খাবার মেলা আয়োজন করে আমাদের সমৃদ্ধ ঐতিহ্যবাহী খাবারগুলো যেমন  বিরিয়ানি, তেহারি, কাবাব, পিঠা ও মিষ্টির স্বাদ  ভাগাভাগি করে খেতে পারি। এতে করে বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মাধ্যে আমাদের খাবারের পরিচিতি ও সুনাম আরও বাড়বে। তাতে  নতুন নতুন  কর্মসংস্থানের সুযোগ   সৃষ্টি হবে।
কানাডায় অভিবাসন প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে সেই পঞ্চদশ শতাব্দি থেকে। কিন্তু আমাদের বাংলাদেশিদের উত্তর আমেরিকার বিশাল এ দেশটিতে আগমণ শুরু হয়েছে মুলত ১৯৭১ তথা স্বাধীনতা পরবর্তীকালে। অবশ্য কানাডায় অশ্বেতাঙ্গদের জন্য ব্যুক্তিগত পর্যায়ে অভিবাসন প্রক্রিয়া সহজ হওয়া শুরু হয় ১৯৬০ এর দশক থেকে। কানাডায় অভিবাসি হওয়া অন্যান্য অনেক সম্প্রদায়ের তুলনায় আমরা বাংলাদেশিরা অপেক্ষাকৃত নবীন হলেও প্রায় আড়াইশ বছর ধরে ব্রিটিশদের অধীন একটি উপনেবেশিক রাষ্ট্র হিসেবে ইংল্যান্ড এবং সেই সুত্রে কানাডার রাষ্ট্র ও সমাজের গঠন ও সমৃদ্ধিতে আমাদের অনেক অবদান রয়েছে। তাই  এখানে আমাদের এ হেরিটেজ মাস উদযাপনের প্রাসঙ্গিকতা এবং যথেষ্ট গুরুত্ব রয়েছে। এর মাধ্যমে আমরা আমাদের বাংলাদেশি কমিউনিটির  পরিচিতি ও ঐতিহ্য এই পুরো দেশটির বহুসংস্কৃতির অন্যান্য সম্প্রদায়ের সামনে সহজে তুলে ধরতে পারবো। মাসব্যাপী এই উদযাপন বাংলাদেশি কানাডিয়ান জনগণের সমৃদ্ধ সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য এবং কানাডায় তাদের অবদানকে উৎসাহিত করবে। এতে করে কানাডার মূলধারার সংস্কৃতির সঙ্গে আমাদের সাংস্কৃতিক বন্ধন তৈরি হবে।
পাশাপাশি আমাদের এমন কোন কাজ করা চলবে না,  যাতে অন্যরা আমাদের সম্পর্কে নেতিবাচক ধারণা পোষণ করতে উদ্বুদ্ধ হয়। কানাডার মুল্যবোধের সাথে তাল মিলিয়ে আমাদের নাগরিক দায়ীত্ব পালন করতে হবে। আমরা আমাদের বাড়ি-ঘর, দোকান-পাটসহ আশেপাশের রাস্তা সহ এর দুপাশের ফুটপাথগুলো, পার্কগুলো, মসজিদ, মন্দিরগুলো  পরিস্কার পরিচ্ছন্ন রাখবো।  সড়কে চলাচলের নিয়ম মেনে চলাচল করবো, বেপরোয়াভাবে গাড়ি চালাবো না, দোকানে কেনাকাটার সময় সঠিক ভাবে লাইনে দাঁড়িয়ে কেনাকাটা করবো, লাইনে দাঁড়ানো সামনের ব্যক্তিটিকে পাশ কাটিয়ে দৃষ্টিকটুভাবে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করবো না। এতে করে আমাদের ইতিহাস ঐতিহ্য বজায় রেখেও কানাডার মূল স্রোতের বিভিন্ন জনগোষ্ঠীর সঙ্গে আমাদের ইন্টারঅ্যাকশন বৃদ্ধি পাবে, তাতে পুরো কমিউনিটিই উপকৃত হবে। শুধু তাই নয়, এখানে বেড়ে ওঠা আমাদের নতুন প্রজন্মের সন্তানদের মধ্যেও আমাদের শিকড়ের সংস্কৃতির সাথে শক্তিশালী বন্ধন সৃষ্টি হবে।
আমাদের দেশে বিদ্যমান সকল সংস্কৃতি উদযাপন করে আমরা কেবল আরও সমৃদ্ধ হই। আমাদের শিকড় ভুলে না গিয়ে এবং কানাডাকে আরও বেশি ভালোবাসলে আমরা আরও শক্তিশালী কানাডিয়ান হয়ে উঠি। আমরা কানাডিয়ানরা একটি সুন্দর মোজাইক শিল্প তৈরি করি যা বিশ্বের প্রয়োজন। বাংলাদেশী কানাডিয়ানদের ইতিহাস, তাদের সংগ্রাম, বিজয় এবং কানাডার সমাজে তারা যে অমোচনীয় চিহ্ন রেখে গেছেন তা সম্পর্কে কানাডিয়ানরা জানতে পারবে। এই মাসটি উদযাপন করার সময়, আসুন আমরা বৈচিত্র্য এবং ঐক্য উদযাপনের জন্য একত্রিত হই।