ছবি: কালের কণ্ঠ

চট্টগ্রাম নগরীর ইপিজেড এলাকায় জেএমএস গার্মেন্টস লিমিটেডে বকেয়া বেতন-বোনাসের দাবিতে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন শ্রমিকরা। এতে ওই এলাকায় দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। ভোগান্তিতে পড়েন সাধারণ মানুষ।

আজ সোমবার (২৪ মার্চ) বেলা ১১টা থেকে চট্টগ্রাম নগরীর বিমানবন্দর সড়কের ফ্রিপোর্ট এলাকায় সড়কে অবস্থান নেন শ্রমিকরা।

শ্রমিকদের কয়েক ঘণ্টা রাস্তা অবরোধের কারণে আশপাশের এলাকায় তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়।

আরো পড়ুন

শিল্প এলাকায় শুক্র-শনিবার খোলা থাকবে ব্যাংক

https://www.kalerkantho.com/online/business/2025/03/24/1496641

গার্মেন্টস শ্রমিক ও স্থানীয়রা জানান, ইপিজেডের জেএমএস গার্মেন্টস লিমিটেডে কাজ না থাকায় এবং ব্যাংকিং জটিলতার কারণে আগেই লে-অফ ঘোষণা করে কর্তৃপক্ষ। লে-অফ চলাকালীন শ্রমিক, কর্মচারী ও কর্মকর্তাদেরকে বাংলাদেশ ইপিজেড শ্রম আইন ২০১৯ এর ধারা ১৫ অনুযায়ী বেতন-ভাতাদি গত ২০ মার্চ (ফেব্রুয়ারি মাসের বেতন) ব্যাংকের স্ব-স্ব হিসাব মাধ্যমে এবং যাদের ব্যাংক একাউন্ট নাই; তাদের বিকাশ একাউন্টে পরিশোধ করার কথা ছিল। কিন্তু কোনো শ্রমিক নির্দিষ্ট তারিখে বেতন পাননি।

এ ছাড়া ঈদ বোনাস ২৩ মার্চ দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু শ্রমিকরা বেতন ও বোনাস পাননি। একটি নোটিশের মাধ্যমে আগামীকাল মঙ্গলবার (২৫ মার্চ) বেতন পরিশোধ করা হবে বলে জানান মালিকপক্ষ। শ্রমিকরা এই সিদ্ধান্ত না মেনে আজ সোমবার সড়ক অবরোধ করেন।

এর আগে শনিবারও তারা সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন।

আজ সোমবার সকাল ১০টার দিকে কারখানার সামনে বেতনের দাবিতে ভিড় করেন শ্রমিকরা। কিন্তু কারাখানায় তালা ঝুলানো দেখে সড়কে ইপিজেড মোড়ে এসে বেলা ১১টার দিকে সড়ক অবরোধ করেন। সবশেষ বেলা সাড়ে পাঁচটা পর্যন্ত শ্রমিকরা সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন। ফলে বন্দর-পতেঙ্গাগামী সব গাড়ি চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে।

ফলে বিমানবন্দর সড়ক ব্যবহারকারী মানুষজনকে পায়ে হেঁটে গন্তব্যে যেতে হচ্ছে।

আরো পড়ুন

ওটিটি মাতাচ্ছে যেসব সিনেমা-সিরিজ

https://www.kalerkantho.com/online/entertainment/2025/03/24/1496638

আজ বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে চট্টগ্রাম শিল্প পুলিশের সুপার (অতিরিক্ত ডিআইজি) মোহাম্মদ সুলায়মান কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘বেতন ও বোনাসের দাবিতে একটি গার্মেন্টেসের শ্রমিকরা সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করছেন। আমরা শ্রসিকদের বোঝাচ্ছি। আশা করছি ইফতারের আগেই শ্রমিকরা সড়ক অবরোধ থেকে সরে যাবেন।’

তিনি আরো বলেন, ‘কারখানা মালিক পক্ষ লোনের জন্য ব্যাংকে আবেদন করেছে। যে ব্যাংকে আবেদন করেছে সেই ব্যাংকের চেয়ারম্যানের সঙ্গে আমরা কথা বলে বলেছি। আশা করছি মালিক পক্ষ আগামীকাল মঙ্গলবার শ্রমিকদের বেতন পরিশোধ করতে পারবেন।’