
সংগৃহীত ছবি
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, ‘টেকসই উন্নয়ন ও বাণিজ্যনির্ভর সবুজ প্রবৃদ্ধিতে নেতৃত্ব দিতে বাংলাদেশ প্রস্তুত।’ তিনি বিভিন্ন উন্নত দেশের সঙ্গে বিস্তৃত অর্থনৈতিক অংশীদারি গড়ে তোলার ওপর জোর দেন। রপ্তানিকারক ও ভোক্তা উভয়ের স্বার্থ রক্ষায় ভারসাম্যপূর্ণ ও অংশগ্রহণমূলক বাণিজ্য আলোচনার আহ্বান জানান।
বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) রাজধানীর পান্থপথের পানি ভবনে বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার ডব্লিউটিওর নির্বাহী পরিচালক রত্নাকর অধিকারের সঙ্গে এক বৈঠকে এ কথা বলেন।
বৈঠকে বৈশ্বিক অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তার সময়ে বাংলাদেশের বাণিজ্য স্থিতিশীলতা, আঞ্চলিক সহযোগিতা জোরদার ও সবুজ শিল্প খাতে বিনিয়োগ আকর্ষণের বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়।
উপদেষ্টা রিজওয়ানা হাসান বলেন, ‘বিকল্প রপ্তানি ও পরিবহন রুট গড়ে তুলতে হবে। অর্থনৈতিক স্বায়ত্তশাসন আমাদের টিকে থাকার প্রধান উপায়।’
বৈঠকে রত্নাকর অধিকারী বলেন, ‘তৈরি পোশাকসহ প্রধান রপ্তানি খাতে বৈশ্বিক বাণিজ্যের পরিবর্তন বাংলাদেশের ওপর প্রভাব ফেলছে।
’ তিনি রপ্তানিমুখী শিল্প স্থাপনা দ্রুত তৈরি করার তাগিদ দেন।
তিনি বলেন, ‘আঞ্চলিক বাণিজ্যনীতির পরিবর্তনের সঙ্গে তাল মিলিয়ে বাণিজ্য অংশীদারি বৈচিত্র্যময় করা জরুরি।’
রত্নাকর অধিকারী বলেন, ‘বাণিজ্য ও পরিবেশনীতির সমন্বয়ের মাধ্যমে বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক জলবায়ু অর্থায়নে প্রবেশ করতে পারে।’
তিনি বলেন, ‘ইআইএফ সহায়তাপ্রাপ্ত দেশ গাম্বিয়ায় বাণিজ্য ও পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের সমন্বয়ে সবুজ পুনরুদ্ধার পরিকল্পনা ও টেকসই শিল্প উন্নয়নের বিনিয়োগ প্রস্তাব তৈরি হয়েছে ‘
বৈঠকের শেষাংশে, উভয় পক্ষ টেকসই বাণিজ্য, আঞ্চলিক সহযোগিতা এবং সবুজ শিল্পে নতুন সমাধান অনুসন্ধানে একসঙ্গে কাজ করার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন।