
কারিগরি ত্রুটির কারণে ভারতের ঝাড়খন্ড রাজ্যের গোড্ডায় নির্মিত আদানি গ্রুপের বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে সরবরাহ বন্ধ হওয়ায় বাংলাদেশে লোডশেডিং কিছুটা বেড়ে গেছে। শুক্রবার রাতে কেন্দ্রের দুটি ইউনিট বন্ধ হয়ে যাওয়ায় এই পরিস্থিতি হয়। সর্বশেষ গতকাল সন্ধ্যায় একটি ইউনিট চালু হয় বলে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড জানিয়েছে।
রিপোর্ট অনুযায়ী, ঝাড়খণ্ডে আদানির বিদ্যুৎকেন্দ্রে ২টি ইউনিট রয়েছে। প্রতিটি ৮০০ মেগাওয়াট করে বিদ্যুৎ উৎপাদনে সক্ষম। দু’টি ইউনিটে উৎপাদিত বিদ্যুৎ শুধুমাত্র বাংলাদেশে সরবরাহ করা হয়। বিদ্যুতের বিল না মেটানোর অভিযোগে কয়েকবার আদানির পক্ষ থেকে বিদ্যুৎ বন্ধের হুঁশিয়ারি দেয়া হয়েছিল। তবে এখন বকেয়া বিলের পরিমাণ কমে এসেছে।
কারিগরি ত্রুটির কারণে গত ৮ এপ্রিল একটি ইউনিটের বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়। শুক্রবার থেকে দ্বিতীয় ইউনিট থেকেও বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হলে এখান থেকে বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সরবরাহ পুরো বন্ধ হয়ে যায়। এর আগে গত বছর বিল বকেয়ার কারণে একবার বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করে দিয়েছিল আদানি। পরে বাংলাদেশ বকেয়া বিদ্যুতের বিল মেটাতে শুরু করলে একটি ইউনিটের বিদ্যুৎ সরবরাহ চালু করে। ফেব্রুয়ারিতে বাংলাদেশের তরফ থেকে অনুরোধ করা হয়, যাতে ঝাড়খণ্ডের কেন্দ্রের দুটি ইউনিট থেকেই বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয়। এই অনুরোধে সাড়া দিয়ে মার্চ মাস থেকে বাংলাদেশকে ২টি ইউনিট থেকেই বিদ্যুৎ দিচ্ছিল আদানি।
ওদিকে পিজিসিবি ও পিডিবি সূত্র জানিয়েছে, আদানির বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধের কারণে তৈরি ঘাটতি পূরণে তেলচালিত বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে উৎপাদন বাড়ানো হয়েছে। গ্যাসের সরবরাহ বাড়াতে পেট্রোবাংলাকে অনুরোধ করা হয়েছে। শনিবার ছুটির দিন থাকায় বিদ্যুতের চাহিদা অন্য দিনের চেয়ে কিছুটা কম ছিল। দিনে সর্বোচ্চ চাহিদা উঠে বেলা তিনটায় ১৪ হাজার মেগাওয়াট। এ সময় ৪২৮ মেগাওয়াট লোডশেডিং করা হয়। অন্য সময়ে লোডশেডিং আরো কম ছিল। আদানির দুটি ইউনিট চালু না হলে রোববার থেকে কিছুটা লোডশেডিং হতে পারে বলে পিডিবি সূত্র জানিয়েছে।