
ছবি : ফোকাস বাংলা
পহেলা বৈশাখ অর্থই ‘পান্তা ইলিশ’। বাঙালির ঐতিহ্যবাহী পান্তা ইলিশ এখন বিলাসী খাবার। কারণ পান্তা জুটলেও মধ্যবিত্ত কিংবা নিম্নবৃত্তের পাতে এখন ইলিশের দেখা মেলা ভার। কারণ উৎসব-পার্বণে ইলিশের দাম স্বাভাবিকের তুলনায় দ্বিগুণ হয়ে যায়।
আগামীকাল সোমবার (১৪ এপ্রিল) পহেলা বৈশাখ ঘিরে রাজধানীতে চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে ইলিশ।
হঠাৎ করেই রাজধানীর বাজারগুলোতে ইলিশের দাম কেজি প্রতি ১৫০০ থেকে ২০০০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। আজ রবিবার (১৩ মার্চ) রাজধানীর কাপ্তান বাজার, কারওয়ান বাজার, মালিবাগ, শান্তিনগর, যাত্রাবাড়ীসহ বিভিন্ন বাজার ঘুরে এমন চিত্রই দেখা গেছে।
দেখা গেছে, ৭০০ গ্রাম থেকে ১ কেজি ওজনের একটি ইলিশের দাম উঠেছে মানভেদে ২ হাজার ২০০ থেকে ৩ হাজার টাকায়।
আর মাঝারি আকৃতির ইলিশের কেজি ২৮০০-৩০০০ টাকার নিচে মিলছে না। আর সবচেয়ে বড় আকৃতির ইলিশ মাছ ৩৫০০-৩৭০০ টাকা দাম চাওয়া হচ্ছে।
ইলিশ কিনতে আসা অনেকেই হতাশার সুরে বলছেন, পহেলা বৈশাখকে ঘিরে সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরে ইলিশের দাম। হঠাৎ করেই মাছটির দাম দ্বিগুন হয়েছে।
অথচ এই উৎসবে সবার আশা থাকে ইলিশ দিয়ে পান্তা খাওয়ার। কিন্তু সেই আশা এখন পূরণ হয় না। কারণ যতই দিন যাচ্ছে ততই দাম বাড়ছে মাছটির।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, বৈশাখ উপলক্ষ্যে হঠাৎ করেই ইলিশের চাহিদা বেড়ে গেছে। কিন্তু চাহিদার তুলনায় সরবরাহ কম।
কারণ, মৌসুম না থাকায় সাগরে বা নদীতে খুব বেশি ইলিশ ধরা পড়ছে না। আবার সব নিষিদ্ধ মৌসুম হওয়ার কারণে সব নদীতে জেলেরা জাল ফেলতে পারছেন না। ফলে পর্যাপ্ত মাছ পাওয়া যাচ্ছে না।
মোহাম্মদপুরের বাসিন্দা আকবর আলী বলেন, ইলিশ কিনতে এসে বিপাকে পড়েছি। কারণ যে ধারণা নিয়ে ইলিশ কিনতে এসেছিলাম তার চেয়েও দ্বিগুণ দাম চাওয়া হচ্ছে।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, নদী বা সাগর থেকে ইলিশ আহরণের পর ভোক্তা পর্যায়ে পৌঁছানোর আগে কয়েকটি হাত ঘুরে। এসময়ই মাছটির দাম বেড়ে যায়। যে ইলিশ যত বড়, তার দর তত বেশি। এছাড়া, অসাধু ব্যবসায়ীরা মজুত করেও ইলিশের দাম বাড়িয়ে দেয়। তবে সংশ্লিষ্টরা বলেছেন, ইলিশ পাচার হয় কি না, তা খতিয়ে দেখা উচিত।