০৯:০২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২২ জুন ২০২৫

৯ মাসে খরচের শীর্ষে স্থানীয় সরকার, এক টাকাও খরচ হয়নি দুদকের

  • আপডেট সময়: ০৭:১০:৫৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫
  • 29

জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর কাজ রেখেই পালিয়েছে অনেক ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। এতে বন্ধ হয়ে গেছে অনেক ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের কাজ। স্থবিরতা নামে দেশের উন্নয়ন প্রকল্পের কাজে। তবে অর্থবছরের শেষ সময়ে এসে ‘দু-হাতে খরচ’ করা হচ্ছে। গত ৯ মাসে খরচের শীর্ষে রয়েছে স্থানীয় সরকার। আর মাত্র ৯ কোটি টাকা বরাদ্দের এক টাকাও খরচ হয়নি দুদকের!

জুলাই-মার্চ পর্যন্ত ৯ মাসের এডিপি বাস্তবায়নের তথ্য ওয়েবসাইটে প্রকাশ করেছে পরিকল্পনা কমিশনের বাস্তবায়ন, পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগ (আইএমইডি)।

এই তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায়, বিগত মাসগুলোর তুলনায় মার্চ মাসে কাজের গতি অনেকটাই বৃদ্ধি পায়। এরপরেও সংশোধিত এডিপির চেয়ে প্রায় ৬০-৭০ হাজার কোটি টাকা খরচ কম হওয়ার শঙ্কা রয়েছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। আর শেষ সময়ে বড় খরচের লক্ষ্যমাত্রা দুর্নীতিকে উস্কে দিতে পারে বলে শঙ্কা অর্থনীতিবিদদের।

তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায়, গত ৯ মাসে এডিপি বাস্তবায়ন হয়েছে ৩৬ দশমিক ৬৫ শতাংশ। এর চেয়ে কম এডিপি বাস্তবায়নের তথ্য সংস্থাটির ওয়েবসাইটে নাই। এদিকে ৯ মাসে ৮২ হাজার ৮৯৪ কোটি টাকা অর্থছাড় হয়েছে। যা ২০১৮-১৯ অর্থবছরের পর সর্বনিম্ন। গত অর্থবছরে ১ লাখ ৭ হাজার ৬১২ কোটি টাকা ছাড় হয়েছিল এই সময়ে। গত মার্চ মাসে অর্থছাড় হয়েছে মাত্র ১৫ হাজার ৩৩৭ কোটি টাকা। যেখানে আগের অর্থবছরের মার্চ মাসে ছাড় হয়েছিল ২২ হাজার ৯ কোটি টাকা।

আইএমইডির তথ্যমতে, চলতি অর্থবছরের আর মাত্র ৩ মাস বাকি আছে। চলতি অর্থবছরের সংশোধিত বাজেটে উন্নয়ন খাতে ২ লাখ ২৬ হাজার ১৬৪ কোটি টাকা খরচের লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে। যা মূল এডিপিতে ছিল ২ লাখ ৬৫ হাজার কোটি টাকা। সংশোধিত এডিপি অনুযায়ী চলতি অর্থবছরে আরও ১ লাখ ৪৩ হাজার ২৭০ কোটি টাকা খরচ করতে হবে। এত টাকা খরচ করা সম্ভব হবে না বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

পরিকল্পনা কমিশনের কর্মকর্তারা বলছেন, যেখানে ৯ মাসে মাত্র ৮২ হাজার কোটি টাকা খরচ হয়েছে। সেখানে বাকি তিন মাসে আর সর্বোচ্চ ৭০-৮০ হাজার টাকা খরচ হবে। বাকি টাকা পড়েই থাকবে। এদিকে শেষ সময়ে বেশি কাজ করতে গিয়ে কাজে অনিয়মের শঙ্কা থেকে যাবে।

এ বিষয়ে পরিকল্পনা বিভাগের সাবেক সচিব মামুন আল রশিদ ঢাকা মেইলকে বলেন, অনেক জায়গায় উন্নয়ন কাজ শেষ হলেও বিলগুলো দেওয়া হয়নি। আর্থিক খাতে শৃঙ্খলা ফেরাতে এসব বিল যাচাই-বাছাই করে দেওয়া হচ্ছে। যে কারণে ব্যয় কম হচ্ছে। তবে কোনো বছরই বাজেটের পুরো অর্থ ব্যয় হয় না। তবে শেষ সময়ে একসঙ্গে তাড়াহুড়া করে ব্যয় করতে গিয়ে অপচয়, দুর্নীতি হতে পারে। যা অর্থ ব্যয়ের গুণগতমান নষ্ট করতে পারে।

বাস্তবায়ন, পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগের (আইএমইডি) সচিব আবুল কাশেম মো. মহিউদ্দিন বলেন, এডিপি বাস্তবায়ন হার কম হওয়ার পেছনে অনেকগুলো কারণ রয়েছে। এর মধ্যে অন্যতম হলো ঠিকমতো অর্থ ছাড় না হওয়া। কারণ, বর্তমান অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপট বিবেচনায় উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নে অর্থছাড় কমিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। পাশাপাশি জনগুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প বাস্তবায়নে জোর দেওয়া হচ্ছে।

সম্প্রতি পরিকল্পনা কমিশনের এনইসি সভায় মন্ত্রণালয় ও বিভাগগুলোর চাহিদা না থাকায় চলতি অর্থবছরের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) থেকে ৪৯ হাজার কোটি টাকা কাটছাঁট করা হয়েছে। এডিপির আকার বেশি দেখাতে থোক বরাদ্দ রাখা হয়েছে ২৬ হাজার ৬৩২ কোটি টাকা।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এবার এডিপি বাস্তবায়ন মূল এডিপির তুলনায় প্রায় এক লাখ কোটি টাকা কম হবে।

আইএমইডি সূত্র জানিয়েছে, গত ২০২৩-২৪ অর্থবছরের এডিপির তুলনায় সংশোধিত এডিপির (আরএডিপি) আকার কমেছিল ১৮ হাজার কোটি টাকা। ২০২২-২৩ অর্থবছরে এডিপি থেকে বরাদ্দ কমেছিল ১৮ হাজার ৫০০ কোটি টাকা। ২০২১-২২ অর্থবছরে কমেছিল ১৫ হাজার ৩৪৭ কোটি টাকা। এবার যে পরিমাণ সংশোধিত এডিপিতে থোক বরাদ্দ রাখা হয়েছে, আগে কখনও এত টাকা রাখা হয় নি। ২০২২-২৩ অর্থবছরে রাখা হয়েছিল মাত্র ৩ হাজার ৭০০ কোটি টাকা।

পরিকল্পনা কমিশনের কার্যক্রম বিভাগের একাধিক কর্মকর্তা জানান, বাস্তবায়ন গতি কম থাকায় সরকারি তহবিলের চাহিদাও অনেক কমেছে। সাধারণত অন্যান্য অর্থবছরের বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের সরকারি তহবিল থেকে চাহিদা অনেক বেশি থাকে।

কিন্তু চলতি অর্থবছরে এডিপিতে যে পরিমাণ সিলিং বেঁধে দেওয়া হয়েছে,  চাহিদা তার চেয়ে কম রয়েছে। তবে সরকারি বিনিয়োগ বাড়াতে চলতি অর্থবছরে চাহিদার চেয়ে বেশি বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে।

মন্ত্রণালয় ও বিভাগগুলো বৈদেশিক ঋণ ও অনুদান থেকে ৭০- ৭৫ হাজার কোটি টাকা চাহিদা দিয়েছিল। কিন্ত সরকার বৈদেশিক অর্থায়ন ব্যবহারের গুরুত্ব দেওয়ায় বরাদ্দ বাড়িয়ে ৮১ হাজার কোটি টাকার সিলিং দেওয়া হয়।

চলতি অর্থবছরের প্রথম ৯ মাসে সবচেয়ে বেশি ১৬ হাজার ৪৬৫ কোটি টাকা অর্থ খরচ করেছে স্থানীয় সরকার বিভাগ। ১৩ হাজার ৮৬৬ কোটি টাকা ব্যয় করেছে বিদ্যুৎ বিভাগ। এরপর সড়ক মহাসড়ক বিভাগ খরচ করেছে ৮ হাজার ৬ কোটি টাকা। সর্বনিম্ন এডিপি বাস্তবায়ন করেছে স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগ, মাত্র ৫২ কোটি টাকা এবং ৮১৭ কোটি টাকা খরচ করেছে স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ। চলতি অর্থ-বছরে দুদক বরাদ্দের এক টাকাও খরচ করে নি।

উত্তরাধুনিক

Writer, Singer & Environmentalist

৯ মাসে খরচের শীর্ষে স্থানীয় সরকার, এক টাকাও খরচ হয়নি দুদকের

আপডেট সময়: ০৭:১০:৫৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫

জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর কাজ রেখেই পালিয়েছে অনেক ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। এতে বন্ধ হয়ে গেছে অনেক ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের কাজ। স্থবিরতা নামে দেশের উন্নয়ন প্রকল্পের কাজে। তবে অর্থবছরের শেষ সময়ে এসে ‘দু-হাতে খরচ’ করা হচ্ছে। গত ৯ মাসে খরচের শীর্ষে রয়েছে স্থানীয় সরকার। আর মাত্র ৯ কোটি টাকা বরাদ্দের এক টাকাও খরচ হয়নি দুদকের!

জুলাই-মার্চ পর্যন্ত ৯ মাসের এডিপি বাস্তবায়নের তথ্য ওয়েবসাইটে প্রকাশ করেছে পরিকল্পনা কমিশনের বাস্তবায়ন, পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগ (আইএমইডি)।

এই তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায়, বিগত মাসগুলোর তুলনায় মার্চ মাসে কাজের গতি অনেকটাই বৃদ্ধি পায়। এরপরেও সংশোধিত এডিপির চেয়ে প্রায় ৬০-৭০ হাজার কোটি টাকা খরচ কম হওয়ার শঙ্কা রয়েছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। আর শেষ সময়ে বড় খরচের লক্ষ্যমাত্রা দুর্নীতিকে উস্কে দিতে পারে বলে শঙ্কা অর্থনীতিবিদদের।

তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায়, গত ৯ মাসে এডিপি বাস্তবায়ন হয়েছে ৩৬ দশমিক ৬৫ শতাংশ। এর চেয়ে কম এডিপি বাস্তবায়নের তথ্য সংস্থাটির ওয়েবসাইটে নাই। এদিকে ৯ মাসে ৮২ হাজার ৮৯৪ কোটি টাকা অর্থছাড় হয়েছে। যা ২০১৮-১৯ অর্থবছরের পর সর্বনিম্ন। গত অর্থবছরে ১ লাখ ৭ হাজার ৬১২ কোটি টাকা ছাড় হয়েছিল এই সময়ে। গত মার্চ মাসে অর্থছাড় হয়েছে মাত্র ১৫ হাজার ৩৩৭ কোটি টাকা। যেখানে আগের অর্থবছরের মার্চ মাসে ছাড় হয়েছিল ২২ হাজার ৯ কোটি টাকা।

আইএমইডির তথ্যমতে, চলতি অর্থবছরের আর মাত্র ৩ মাস বাকি আছে। চলতি অর্থবছরের সংশোধিত বাজেটে উন্নয়ন খাতে ২ লাখ ২৬ হাজার ১৬৪ কোটি টাকা খরচের লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে। যা মূল এডিপিতে ছিল ২ লাখ ৬৫ হাজার কোটি টাকা। সংশোধিত এডিপি অনুযায়ী চলতি অর্থবছরে আরও ১ লাখ ৪৩ হাজার ২৭০ কোটি টাকা খরচ করতে হবে। এত টাকা খরচ করা সম্ভব হবে না বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

পরিকল্পনা কমিশনের কর্মকর্তারা বলছেন, যেখানে ৯ মাসে মাত্র ৮২ হাজার কোটি টাকা খরচ হয়েছে। সেখানে বাকি তিন মাসে আর সর্বোচ্চ ৭০-৮০ হাজার টাকা খরচ হবে। বাকি টাকা পড়েই থাকবে। এদিকে শেষ সময়ে বেশি কাজ করতে গিয়ে কাজে অনিয়মের শঙ্কা থেকে যাবে।

এ বিষয়ে পরিকল্পনা বিভাগের সাবেক সচিব মামুন আল রশিদ ঢাকা মেইলকে বলেন, অনেক জায়গায় উন্নয়ন কাজ শেষ হলেও বিলগুলো দেওয়া হয়নি। আর্থিক খাতে শৃঙ্খলা ফেরাতে এসব বিল যাচাই-বাছাই করে দেওয়া হচ্ছে। যে কারণে ব্যয় কম হচ্ছে। তবে কোনো বছরই বাজেটের পুরো অর্থ ব্যয় হয় না। তবে শেষ সময়ে একসঙ্গে তাড়াহুড়া করে ব্যয় করতে গিয়ে অপচয়, দুর্নীতি হতে পারে। যা অর্থ ব্যয়ের গুণগতমান নষ্ট করতে পারে।

বাস্তবায়ন, পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগের (আইএমইডি) সচিব আবুল কাশেম মো. মহিউদ্দিন বলেন, এডিপি বাস্তবায়ন হার কম হওয়ার পেছনে অনেকগুলো কারণ রয়েছে। এর মধ্যে অন্যতম হলো ঠিকমতো অর্থ ছাড় না হওয়া। কারণ, বর্তমান অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপট বিবেচনায় উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নে অর্থছাড় কমিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। পাশাপাশি জনগুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প বাস্তবায়নে জোর দেওয়া হচ্ছে।

সম্প্রতি পরিকল্পনা কমিশনের এনইসি সভায় মন্ত্রণালয় ও বিভাগগুলোর চাহিদা না থাকায় চলতি অর্থবছরের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) থেকে ৪৯ হাজার কোটি টাকা কাটছাঁট করা হয়েছে। এডিপির আকার বেশি দেখাতে থোক বরাদ্দ রাখা হয়েছে ২৬ হাজার ৬৩২ কোটি টাকা।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এবার এডিপি বাস্তবায়ন মূল এডিপির তুলনায় প্রায় এক লাখ কোটি টাকা কম হবে।

আইএমইডি সূত্র জানিয়েছে, গত ২০২৩-২৪ অর্থবছরের এডিপির তুলনায় সংশোধিত এডিপির (আরএডিপি) আকার কমেছিল ১৮ হাজার কোটি টাকা। ২০২২-২৩ অর্থবছরে এডিপি থেকে বরাদ্দ কমেছিল ১৮ হাজার ৫০০ কোটি টাকা। ২০২১-২২ অর্থবছরে কমেছিল ১৫ হাজার ৩৪৭ কোটি টাকা। এবার যে পরিমাণ সংশোধিত এডিপিতে থোক বরাদ্দ রাখা হয়েছে, আগে কখনও এত টাকা রাখা হয় নি। ২০২২-২৩ অর্থবছরে রাখা হয়েছিল মাত্র ৩ হাজার ৭০০ কোটি টাকা।

পরিকল্পনা কমিশনের কার্যক্রম বিভাগের একাধিক কর্মকর্তা জানান, বাস্তবায়ন গতি কম থাকায় সরকারি তহবিলের চাহিদাও অনেক কমেছে। সাধারণত অন্যান্য অর্থবছরের বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের সরকারি তহবিল থেকে চাহিদা অনেক বেশি থাকে।

কিন্তু চলতি অর্থবছরে এডিপিতে যে পরিমাণ সিলিং বেঁধে দেওয়া হয়েছে,  চাহিদা তার চেয়ে কম রয়েছে। তবে সরকারি বিনিয়োগ বাড়াতে চলতি অর্থবছরে চাহিদার চেয়ে বেশি বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে।

মন্ত্রণালয় ও বিভাগগুলো বৈদেশিক ঋণ ও অনুদান থেকে ৭০- ৭৫ হাজার কোটি টাকা চাহিদা দিয়েছিল। কিন্ত সরকার বৈদেশিক অর্থায়ন ব্যবহারের গুরুত্ব দেওয়ায় বরাদ্দ বাড়িয়ে ৮১ হাজার কোটি টাকার সিলিং দেওয়া হয়।

চলতি অর্থবছরের প্রথম ৯ মাসে সবচেয়ে বেশি ১৬ হাজার ৪৬৫ কোটি টাকা অর্থ খরচ করেছে স্থানীয় সরকার বিভাগ। ১৩ হাজার ৮৬৬ কোটি টাকা ব্যয় করেছে বিদ্যুৎ বিভাগ। এরপর সড়ক মহাসড়ক বিভাগ খরচ করেছে ৮ হাজার ৬ কোটি টাকা। সর্বনিম্ন এডিপি বাস্তবায়ন করেছে স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগ, মাত্র ৫২ কোটি টাকা এবং ৮১৭ কোটি টাকা খরচ করেছে স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ। চলতি অর্থ-বছরে দুদক বরাদ্দের এক টাকাও খরচ করে নি।