সন্তানের জন্য দুধ কিনতে না পেরে ১৪ দিনের নবজাতক শিশুকে ২০ হাজার টাকার বিনিময়ে বিক্রি করে দিলেন এক মা। ঘটনাটি ঘটেছে সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার কাদাকাটি গ্রামে।
জানা গেছে, আশাশুনি উপজেলার কাদাকাটি গ্রামের শামীম হোসেনের চতুর্থ স্ত্রী আশামনি খাতুন (২৫)। তিনি সন্তানের সুচিকিৎসা ও দুধ কিনতে না পেরে ১৪ দিনের নবজাতক শিশু খাদিজা খাতুনকে বিশ হাজার টাকার বিনিময়ে বিক্রি করে দিয়েছেন। সম্প্রতি বিষয়টি নিয়ে এলাকায় জানাজানি হয়।
স্থানীয়রা জানান, কাদাকাটি গ্রামের সৈয়দ আলী সরদারের ছেলে শামীম হোসেন (২৮) তার স্ত্রী-সন্তানকে ফেলে রেখে হোসনেয়ারা নামের আরেক নারীকে বিয়ে করেন।
তার চতুর্থ স্ত্রী আশামনি খাতুন জানান, তার স্বামী তাদের ফেলে আরেক নারীকে বিয়ে করেন। এরপর থেকে তার নবজাতক শিশুর জন্য ঔষধ ও দুধ কিনতে দিশেহারা হয়ে পড়েন। একপর্যায়ে নিজের সন্তানকে বিক্রির সিদ্ধান্ত নেন।
এই খবরে আশাশুনি উপজেলার তেঁতুলিয়া গ্রামের চা বিক্রেতা নিঃসন্তান রবিউল-কাজল দাম্পতির কাছে নগদ ২০ হাজার টাকার বিনিময়ে লিখিতভাবে বিক্রি করেন। আমার সন্তানকে সুস্থ্যভাবে বেঁচে থাকার জন্য এই সিদ্ধান্ত নিয়েছি বলে জানান আশামনি।
শিশুটির ক্রেতা রবিউল ইসলাম ও তার স্ত্রী কাজল বলেন, আমরা কয়েকজন সাক্ষীর সামনে শর্ত দিয়ে টাকার বিনিময়ে বাচ্চাকে নিয়েছি। বাচ্চার টিকা কার্ডে পিতা-মাতার নামের স্থানে আমার স্বামী ও আমার নাম দিয়েছি। জন্ম নিবন্ধন সনদে তার নাম রাখা হয়েছে ফারিয়া জান্নাতুল। সে আমাদের পরিচয়ে পরিচিত হবে।
এ বিষয়ে আশাশুনি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সামছুল আরেফিন ঘটনাটি খোজ খবর নিয়ে দেখবেন বলে জানান।