০৪:৫৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ নভেম্বর ২০২৫

শ্বশুরকে জামাতার ফোন, ‘তোমার মেয়েকে খুন করেছি’

  • আপডেট সময়: ০৬:১০:০৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৫
  • 105

অভিযুক্ত আমিনুল ইসলাম


ভাড়া বাসায় স্ত্রীকে গলা কেটে হত্যার পরে শ্বশুরকে ফোন দিয়ে মেয়ের জামাই বলেন ‘তোমার মেয়েকে খুন করেছি।’ এরপর স্ত্রীর রক্তাক্ত মরদেহ ঘরে ফেলে রেখে পালিয়ে যান ঘাতক স্বামী। আজ বৃহস্পতিবার সকাল ১১টার দিকে গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার মাওনা ইউনিয়নের কপাটিয়াপাড়া গ্রামে এই হত্যাকাণ্ড ঘটে।

স্বামী আমিনুল ইসলাম ও তার দ্বিতীয় স্ত্রী নাদিরা ওই গ্রামের আনন্দ বাজার এলাকায় মো. কামরুজ্জামানের বাড়িতে ভাড়ায় থাকতেন। তারা স্থানীয় একটি কারখানায় চাকরি করতেন।

নিহত নাদিরা আক্তার (২৬) ময়মনসিংহ জেলার ইশ্বরগঞ্জ থানার বগাপাড়া জিগাতলা মাইজহাটি গ্রামের মো. নজরুল ইসলামের মেয়ে। অভিযুক্ত আমিনুল ইসলাম (৪০) একই এলাকার মো. ফখরুদ্দিনের ছেলে। আমিনুল এর আগেও তার প্রথম স্ত্রীকে হত্যা করে ৯ বছর সাজা ভোগ করেন।

স্থানীয়রা জানান, সকাল সাড়ে ১১টার দিকে ওই বাসায় নাদিরার রক্তাক্ত মরদেহ দেখতে পায়। পরে খবর দিলে পুলিশ এসে মরদেহ উদ্ধার করে।

নিহতের ভাই রাজীব জানান, ‘৬ বছর পূর্বে নাদিরার সাথে আমিনুলের বিয়ে হয়। তাদের মাঝে মধ্যে পারিবারিক কলহ হতো। তারা দুইজনে ওই বাড়িতে ভাড়ায় থাকতেন। পাশের একটি কারখানায় চাকরি করতেন তারা। আজ সকাল সাড়ে ১১টার দিকে আমিনুল আমার বাবার মোবাইলে ফোন করে বলেন, ‘তোমার মেয়েকে খুন করেছি। ঘরে লাশ পড়ে আছে।’

এমন খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে আমার বোনের রক্তাক্ত মরদেহ দেখতে পাই। আমার বোনকে আমিনুল গলা কেটে হত্যা করেছে। পরে মরদেহ ঘরে ফেলে রেখে পালিয়ে গেছে।

বিষয়টি নিশ্চিত করে শ্রীপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) শামীম আক্তার জানান, এক নারীকে হত্যার খবর পেয়েছি। মরদেহ উদ্ধারের পর ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়। এদিকে অভিযুক্তকে গ্রেপ্তারে অভিযানসহ পরবর্তি কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে।

উত্তরাধুনিক

Writer, Singer & Environmentalist

ভ্যাঙ্কি আংটি: ঐশ্বরিয়ার হাতের এই আংটি কখনও খোলেন না, জানেন এর পেছনের গল্প?

শ্বশুরকে জামাতার ফোন, ‘তোমার মেয়েকে খুন করেছি’

আপডেট সময়: ০৬:১০:০৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৫

অভিযুক্ত আমিনুল ইসলাম


ভাড়া বাসায় স্ত্রীকে গলা কেটে হত্যার পরে শ্বশুরকে ফোন দিয়ে মেয়ের জামাই বলেন ‘তোমার মেয়েকে খুন করেছি।’ এরপর স্ত্রীর রক্তাক্ত মরদেহ ঘরে ফেলে রেখে পালিয়ে যান ঘাতক স্বামী। আজ বৃহস্পতিবার সকাল ১১টার দিকে গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার মাওনা ইউনিয়নের কপাটিয়াপাড়া গ্রামে এই হত্যাকাণ্ড ঘটে।

স্বামী আমিনুল ইসলাম ও তার দ্বিতীয় স্ত্রী নাদিরা ওই গ্রামের আনন্দ বাজার এলাকায় মো. কামরুজ্জামানের বাড়িতে ভাড়ায় থাকতেন। তারা স্থানীয় একটি কারখানায় চাকরি করতেন।

নিহত নাদিরা আক্তার (২৬) ময়মনসিংহ জেলার ইশ্বরগঞ্জ থানার বগাপাড়া জিগাতলা মাইজহাটি গ্রামের মো. নজরুল ইসলামের মেয়ে। অভিযুক্ত আমিনুল ইসলাম (৪০) একই এলাকার মো. ফখরুদ্দিনের ছেলে। আমিনুল এর আগেও তার প্রথম স্ত্রীকে হত্যা করে ৯ বছর সাজা ভোগ করেন।

স্থানীয়রা জানান, সকাল সাড়ে ১১টার দিকে ওই বাসায় নাদিরার রক্তাক্ত মরদেহ দেখতে পায়। পরে খবর দিলে পুলিশ এসে মরদেহ উদ্ধার করে।

নিহতের ভাই রাজীব জানান, ‘৬ বছর পূর্বে নাদিরার সাথে আমিনুলের বিয়ে হয়। তাদের মাঝে মধ্যে পারিবারিক কলহ হতো। তারা দুইজনে ওই বাড়িতে ভাড়ায় থাকতেন। পাশের একটি কারখানায় চাকরি করতেন তারা। আজ সকাল সাড়ে ১১টার দিকে আমিনুল আমার বাবার মোবাইলে ফোন করে বলেন, ‘তোমার মেয়েকে খুন করেছি। ঘরে লাশ পড়ে আছে।’

এমন খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে আমার বোনের রক্তাক্ত মরদেহ দেখতে পাই। আমার বোনকে আমিনুল গলা কেটে হত্যা করেছে। পরে মরদেহ ঘরে ফেলে রেখে পালিয়ে গেছে।

বিষয়টি নিশ্চিত করে শ্রীপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) শামীম আক্তার জানান, এক নারীকে হত্যার খবর পেয়েছি। মরদেহ উদ্ধারের পর ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়। এদিকে অভিযুক্তকে গ্রেপ্তারে অভিযানসহ পরবর্তি কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে।