১১:৫৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২২ জুন ২০২৫

কুমিরে ভরা জলাভূমিতে বিমান বিধ্বস্ত, ৩৬ ঘণ্টা পর উদ্ধার আরোহীরা

  • আপডেট সময়: ০১:২২:৫৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩ মে ২০২৫
  • 20

প্রতীকী ছবি: এএফপি


আমাজনে কুমিরে ভরা জলাভূমিতে বিধ্বস্ত হওয়ার পর একটি ছোট বিমানের ছাদে ৩৬ ঘণ্টা কাটান পাঁচজন। এরপর তাদের জীবিত উদ্ধার করা হয়। স্থানীয় কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে বিবিসি শনিবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।

প্রতিবেদন অনুসারে, বলিভিয়ার আমাজোনাস অঞ্চলে শুক্রবার স্থানীয় জেলেরা ওই ছোট নিখোঁজ বিমানটি খুঁজে পান।

তারপর একটি হেলিকপ্টার পাঠিয়ে তাদের হাসপাতালে নেওয়া হয়। এর আগে বিমানটি বৃহস্পতিবার বলিভিয়ার কেন্দ্রীয় বেনি বিভাগের রাডার থেকে হারিয়ে গেলে উদ্ধার অভিযান শুরু হয়।

উদ্ধারকৃতদের মধ্যে তিনজন নারী, একটি শিশু ও ২৯ বছর বয়সী পাইলট। তাদের ‘চমৎকার অবস্থায়’ পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন বেনি বিভাগের জরুরি পরিচালনা কেন্দ্রের পরিচালক উইলসন আভিলা।

পাইলট আন্দ্রেস ভেলার্দে স্থানীয় গণমাধ্যমকে জানান, একটি ইঞ্জিন বিকলের কারণে তিনি জরুরি অবতরণ করতে বাধ্য হন। তখন বিমানটি বলিভিয়ার উত্তরাঞ্চলীয় বাউরেস শহর থেকে ত্রিনিদাদ শহরের পথে ছিল। কিন্তু বিমানটি হঠাৎ করে উচ্চতা হারাতে শুরু করে। পরে তিনি একটি উপহ্রদের কাছে একটি জলাভূমিতে নামিয়ে দেন।


আরো পড়ুন

হিমশীতল হ্রদে বিধ্বস্ত বিমানের ডানা থেকে পাইলট ও শিশুদের উদ্ধার

https://www.kalerkantho.com/online/world/2025/03/26/1497477


বিমানটির ছাদে দাঁড়িয়ে থাকা পাঁচজন ‘কুমিরে ঘেরা’ অবস্থায় ছিলেন। কুমিরগুলো তাদের মাত্র তিন মিটার দূর পর্যন্ত চলে এসেছিল। ভেলার্দের ধারণা, বিমান থেকে পড়ে যাওয়া জ্বালানির গন্ধই ওই শিকারি প্রাণীগুলোকে দূরে রাখতে সাহায্য করেছে। তারা পানিতে একটি অ্যানাকোন্ডা দেখেছেন বলেও জানান পাইলট।

এ ছাড়া উদ্ধারের অপেক্ষায় তারা এক যাত্রীর কাছে থাকা ময়দা খেয়ে বেঁচে ছিলেন।

ভেলার্দে বলেন, ‘আমরা পানি পান করতে পারিনি, কোথাও যেতেও পারিনি কুমিরদের জন্য।’

বেনি স্বাস্থ্য বিভাগের পরিচালক রুবেন তোরেস রয়টার্সকে বলেন, ‘বিমানটি নিখোঁজ হওয়ার পর অনেক জল্পনা-কল্পনা ও নানা তত্ত্ব শোনা গিয়েছিল। আমি অত্যন্ত খুশি যে শেষ পর্যন্ত সব সংস্থা একত্র হয়ে নিখোঁজদের খুঁজে বের করে তাদের প্রাণ বাঁচাতে পেরেছে।’

উত্তরাধুনিক

Writer, Singer & Environmentalist

কুমিরে ভরা জলাভূমিতে বিমান বিধ্বস্ত, ৩৬ ঘণ্টা পর উদ্ধার আরোহীরা

আপডেট সময়: ০১:২২:৫৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩ মে ২০২৫

প্রতীকী ছবি: এএফপি


আমাজনে কুমিরে ভরা জলাভূমিতে বিধ্বস্ত হওয়ার পর একটি ছোট বিমানের ছাদে ৩৬ ঘণ্টা কাটান পাঁচজন। এরপর তাদের জীবিত উদ্ধার করা হয়। স্থানীয় কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে বিবিসি শনিবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।

প্রতিবেদন অনুসারে, বলিভিয়ার আমাজোনাস অঞ্চলে শুক্রবার স্থানীয় জেলেরা ওই ছোট নিখোঁজ বিমানটি খুঁজে পান।

তারপর একটি হেলিকপ্টার পাঠিয়ে তাদের হাসপাতালে নেওয়া হয়। এর আগে বিমানটি বৃহস্পতিবার বলিভিয়ার কেন্দ্রীয় বেনি বিভাগের রাডার থেকে হারিয়ে গেলে উদ্ধার অভিযান শুরু হয়।

উদ্ধারকৃতদের মধ্যে তিনজন নারী, একটি শিশু ও ২৯ বছর বয়সী পাইলট। তাদের ‘চমৎকার অবস্থায়’ পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন বেনি বিভাগের জরুরি পরিচালনা কেন্দ্রের পরিচালক উইলসন আভিলা।

পাইলট আন্দ্রেস ভেলার্দে স্থানীয় গণমাধ্যমকে জানান, একটি ইঞ্জিন বিকলের কারণে তিনি জরুরি অবতরণ করতে বাধ্য হন। তখন বিমানটি বলিভিয়ার উত্তরাঞ্চলীয় বাউরেস শহর থেকে ত্রিনিদাদ শহরের পথে ছিল। কিন্তু বিমানটি হঠাৎ করে উচ্চতা হারাতে শুরু করে। পরে তিনি একটি উপহ্রদের কাছে একটি জলাভূমিতে নামিয়ে দেন।


আরো পড়ুন

হিমশীতল হ্রদে বিধ্বস্ত বিমানের ডানা থেকে পাইলট ও শিশুদের উদ্ধার

https://www.kalerkantho.com/online/world/2025/03/26/1497477


বিমানটির ছাদে দাঁড়িয়ে থাকা পাঁচজন ‘কুমিরে ঘেরা’ অবস্থায় ছিলেন। কুমিরগুলো তাদের মাত্র তিন মিটার দূর পর্যন্ত চলে এসেছিল। ভেলার্দের ধারণা, বিমান থেকে পড়ে যাওয়া জ্বালানির গন্ধই ওই শিকারি প্রাণীগুলোকে দূরে রাখতে সাহায্য করেছে। তারা পানিতে একটি অ্যানাকোন্ডা দেখেছেন বলেও জানান পাইলট।

এ ছাড়া উদ্ধারের অপেক্ষায় তারা এক যাত্রীর কাছে থাকা ময়দা খেয়ে বেঁচে ছিলেন।

ভেলার্দে বলেন, ‘আমরা পানি পান করতে পারিনি, কোথাও যেতেও পারিনি কুমিরদের জন্য।’

বেনি স্বাস্থ্য বিভাগের পরিচালক রুবেন তোরেস রয়টার্সকে বলেন, ‘বিমানটি নিখোঁজ হওয়ার পর অনেক জল্পনা-কল্পনা ও নানা তত্ত্ব শোনা গিয়েছিল। আমি অত্যন্ত খুশি যে শেষ পর্যন্ত সব সংস্থা একত্র হয়ে নিখোঁজদের খুঁজে বের করে তাদের প্রাণ বাঁচাতে পেরেছে।’