সংগৃহীত ছবি
অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা মহল থেকে আওয়ামী লীগের সব কার্যক্রম নিষিদ্ধ ঘোষণা করায় হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল ও শাহবাগে ছাত্র-জনতা আনন্দ উল্লাসে ফেটে পড়েছে। স্লোগানে স্লোগানে উত্তাল হয়ে উঠেছে পুরো শাহবাগ মোড় থেকে ইন্টারকন্টিনেন্টাল হয়ে বাংলামোটর পর্যন্ত।
শনিবার (১০ মে) অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেওয়ার পরে বিজয় উল্লাসে ফেটে পড়েন ছাত্র-জনতা।
এ সময় তারা হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল থেকে শাহবাগ মোড়ে দফায় দফায় মিছিল নিয়ে আসেন।
এরপর শাহবাগ মোড়ে সমাবেশ স্থলে যোগ দেন তারা। ছাত্র-জনতারা বলেন, তাদের পূর্ব ঘোষণা সব দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত রাজপথ ছাড়বেন না।
সরেজমিনে দেখা যায়, আওয়ামী লীগের নিষিদ্ধের ঘোষণা শোনা মাত্র আন্দোলনকারীরা আনন্দ-উল্লাস শুরু করে। তারা নিষিদ্ধ নিষিদ্ধ বলে উল্লাস করতে থাকে।
এ সময় অনেক আন্দোলনকারীকে ঈদ মোবারক বলতে শোনা যায়।
এর আগে রাত পৌনে ৯টার দিকে শাহবাগ থেকে ছোট ছোট মিছিল নিয়ে আন্দোলনকারীরা ইন্টারকন্টিনেন্টালের সামনে আসতে শুরু করে। রাত ১০টার দিকে শাহবাগ থেকে বাংলামোটর পর্যন্ত অবস্থান নেয় আন্দোলনকারীরা।
জাতীয় নাগরিক পার্টির সদস্য সচিব আখতার হোসেন বলেন, ‘আমরা দীর্ঘক্ষণ আমাদের আন্দোলন কন্টিনিউ করছি।
আমরা কী আর কিছুক্ষণ অপেক্ষা করে থাকতে পারব না? যতক্ষন পর্যন্ত আমরা আমাদের অফিশিয়াল বক্তব্য ব্যক্ত না করছি, ততক্ষণ পর্যন্ত বাংলাদেশের সকল জনতাকে রাজপথে থাকার আহ্বান জানাচ্ছি। বন্ধুগণ আমরা হাসনাত আব্দুল্লাহসহ আমরা আলোচনা করব, আমরা কথা বলব, আমরা পর্যালোচনা করব। অফিশিয়ালি আপনাদের কিছু জানানোর আগ পর্যন্ত কেউ রাজপথ ছেড়ে যাবেন না।’
জুলাই ঐক্যের সংগঠক মোসাদ্দেক ইবনে মোহাম্মদ বলেন, ‘আ. লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধের মুলা ঝুলিয়ে আমাদের থামানো যাবে না। আমাদের কথা সুস্পষ্ট, আওয়ামী লীগকে নির্বাহী আদেশে সন্ত্রাসী আইনে নিষিদ্ধ করতে হবে।
এর পর বিচারিক প্রক্রিয়ায় আবার নিষিদ্ধ করতে হবে। তারপর সাংবিধানিকভাবে নিষিদ্ধ করতে হবে। কার্যক্রম নিষিদ্ধের মুলা ঝুলিয়ে আমাদের রাজপথ থেকে সরানো যাবে না।’
ফেসবুক পোস্টে হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, ‘আপনারা কেউ রাজপথ ছাড়বেন না। সরকারের সিদ্ধান্ত নিয়ে আমরা আমাদের মতামত আনুষ্ঠানিকভাবে জানাব। সে পর্যন্ত অবস্থান ত্যাগ করবেন না।’