ছবি : কালের কণ্ঠ
দিনাজপুর সদর উপজেলায় মুঠোফোন চোর সন্দেহে এক শিশুকে মারধরের পর বস্তাবন্দি করে নদীতে ফেলে দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। বুধবার (১৪ মে) দুপুর ১টার দিকে সদর উপজেলার ৫ নম্বর শশরা ইউনিয়নের সাহেবগঞ্জ হাটের পশ্চিমে গাবুড়া নদীর ঘাট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে পুলিশ অভিযুক্ত দুজনকে আটক করেছে।
আরো পড়ুন
সিলেটে আওয়ামী লীগ নেতাকে গণপিটুনি
https://www.kalerkantho.com/online/country-news/2025/05/14/1517605
মারধরের শিকার শিশুটির নাম সাজেদুর রহমান (১৩)।
সে পড়ালেখার পাশাপাশি রাজমিস্ত্রির জোগালির কাজ করে। আটক ব্যক্তিরা হলেন খাদিমুল ইসলাম (৩৮) ও নুর হাবীব নয়ন (২০)।
স্থানীয় সূত্র জানায়, দুপুর ১টার দিকে গাবুড়া নদীর পারে দুই ব্যক্তিকে একটি শিশুকে মারধর করতে দেখা যায়। পরে শিশুটিকে একটি চটের বস্তায় ঢুকিয়ে মুখ বন্ধ করে নদীতে ফেলে দেওয়া হয়।
এক নারী ঘটনাটি দেখতে পেয়ে চিত্কার করলে লোকজন এসে শিশুটিকে উদ্ধার করে। এ সময় ওই দুই যুবককে এলাকাবাসী মারধর করে। ৯৯৯-এ ফোন পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে ওই দুই যুবককে আটক এবং শিশু সাজেদুরকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।
শিশুটির বাবা হাফেজুর রহমান জানান, গত শনিবার সন্ধ্যায় কমলপুর বাজারের একটি মুদি দোকান থেকে নুর হাবীবের একটি স্মার্টফোন হারিয়ে যায়।
ওই সময় তার ছেলে ওই দোকানে গিয়েছিল। এ কারণে ছেলেকে সন্দেহ করা হয়। কিন্তু সে বিষয়টি অস্বীকার করে। আজ সকাল ১১টায় তার ছেলে টেম্পোতে করে কাজের উদ্দেশ্যে যাচ্ছিল। এ সময় বাড়ি থেকে প্রায় দুই কিলোমিটার দূরে ছালাপুকুর এলাকায় নয়ন ও তার চাচা খাদিমুল তার ছেলের পথ রোধ করেন।
পরে তার ছেলেকে টেম্পো থেকে নামিয়ে মোটরসাইকেলে তুলে নদীর ঘাটে নেওয়া হয়।
এ বিষয়ে দিনাজপুর কোতোয়ালি থানার ওসি মতিউর রহমান বলেন, ‘মুঠোফোন চুরির সন্দেহে শিশুটিকে মারধর করে নদীতে ফেলে দেওয়া হয়েছিল। স্থানীয় বাসিন্দারা দেখতে পেয়ে তাকে উদ্ধার করেছে। বর্তমানে শিশুটি সুস্থ আছে। এই ঘটনায় মামলা করা হয়েছে।’