০৬:৫৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ২১ জুন ২০২৫

ফের আলোচনায় মোহাম্মদপুরে প্রকাশ্যে হামলা, কিশোর গ্যাংয়ের অস্ত্রের মহড়া

  • আপডেট সময়: ০৭:০৩:৩০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৬ মে ২০২৫
  • 20

প্রতীকী ছবি


ঢাকা মহানগরীর মোহাম্মদপুর এলাকা আবারও উঠে এসেছে আলোচনায়। গেল বছরের শেষ কয়েক মাস রাতের ঘুম হারাম হয়ে গিয়েছিল এলাকাবাসীর। মাঝে সেনাবাহিনী ও পুলিশী অভিযানে কিছুটা স্বস্তি নেমে এসেছিল। কিন্তু সেই অবস্থা ঘুরে যেতে বসেছে। আবারও অস্থির হয়ে উঠেছে অপরাধ জোন হিসেবে পরিচিত মোহাম্মদপুর। আতঙ্ক ছড়াচ্ছে প্রতিনিয়ত। দফায় দফায় মারামারি, নিজেদের শক্তির জানান দিতে ধারালো অস্ত্রের মহড়া ও অগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে সামাজিক মাধ্যমে ভিডিও ছড়ানোর ঘটনায় উৎকণ্ঠা বাড়ছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরাও মোহাম্মদপুরকে নিয়ে এখন আতঙ্কে আছেন।

গত সাত দিনে যে কয়টি ঘটনা ঘটেছে তার একটিতে সাতজনকে শনাক্ত করে তাদের গ্রেফতার করেছে পুলিশ। কিন্তু বুধবার গভীর রাতে প্রকাশ্যে একই পরিবারের সাতজনকে কুপিয়ে আহত করার ঘটনায় এখনও কেউ গ্রেফতার বা আটক হয়নি বলে জানা গেছে।

কিশোর গ্যাংয়ের দুই সদস্যের গভীর রাতে সন্দেহজনক ঘোরাঘুরিতে বাধা দেন ভুক্তভোগী পরিবারের একজন। এতেই তারা চটে যায়। দলবল নিয়ে এসে প্রথমে সেই ব্যক্তিকে পরে হামলায় বাধা দিতে আসা ছয়জনকে কুপিয়ে আহত করে চলে যায় তারা। যারা হামলা করেছে তাদের সবাই উঠতি বয়সের। কিন্তু সকলের হাতেই ধারালো অস্ত্র ছিল।

যদিও পুলিশের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, এই ঘটনায় তারা কাজ করছেন। যারা কুপিয়েছে তাদের তারা খুঁজে বের করারও চেষ্টায় আছেন।

এলাকাবাসী যা বলছে

বসিলা, ঢাকা উদ্যান ও মেট্টো হাউজিংয়ের বিভিন্ন ব্যক্তির সঙ্গে কথা হয়েছে। তারা বলছেন, গেল ৫ আগস্টের পর থেকে মোহাম্মদপুর অস্থির হয়ে উঠেছে। কিশোর গ্যাংয়ের বিভিন্ন গ্রুপ নানা অপরাধ করছে। কিছুদিন চুপ থাকলেও আবারও তারা সক্রিয় হয়ে উঠেছে এবং এলাকায় ফিরেছে। গেল আগস্টে তাদের উৎপাত বাড়লে যৌথ বাহিনী অভিযান শুরু করে। সেই সময় দুইজন গোলাগুলিতে মারা যায়। এরপর শান্তই ছিল মোহাম্মদপুরের বসিলা, ঢাকা উদ্যানসহ বিভিন্ন এলাকা। দফায় দফায় অভিযানে কয়েক শতাধিক গ্রেফতারও হয়। কিন্তু তারাই এখন জামিনে বের হয়ে এসে এসব হামলা করছে বলে অভিমত তাদের।

বসিলার মেট্রো হাউজিংয়ের বাসিন্দা জামাল আহমেদ বলেন, আমরা এতদিন ভালোই ছিলাম। কিন্তু গত এক সপ্তাহ ধরে আবারও মনে আতঙ্ক ঢুকেছে। সন্ধার পর কোথাও একা যেতে ভয় লাগছে। বিশেষ করে বাসার সামনেও বের হতে ভয় লাগে। এরই মধ্যে বৃহস্পতিবার ভোরে এক ছিনতাইকারী এলাকাবাসীর গণপিটুনীতে নিহত হয়েছে। কিন্তু যারা পালিয়ে গেছে তারা যদি আবারও প্রতিশোধ নিতে আসে। এই ভয়ও আমাদের মাঝে কাজ করছে।

বৃহস্পতিবার ভোরে বসিলা সিটি হাউজিং এলাকায় কয়েকজন ছিনতাইকারী প্রকাশ্যে অস্ত্র নিয়ে ছিনতাই শুরু করে। এসময় খবর ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। পরে এলাকাবাসী জড়ো হয়ে তাদের ঘেরাও করে। শেষে তিনজনকে আটকের পর দেওয়া হয় গণপিটুনী। এতে রাকিব (২৮) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়। রাকিবের গ্রামের বাড়ি ভোলা জেলার দুলারহাট উপজেলার নুরাবাদ এলাকায়। বাকি দুজনকে পরে পুলিশে সোপর্দ করেন এলাকাবাসী।

সিটি এলাকায় খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সম্প্রতি মোহাম্মদপুরের কয়েকটি ঘটনা এলাকাবাসী জেনেছেন। এরপর তারা জড়ো হয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন এলাকায় ছিনতাইকারী ঢুকলে একযোগে সকলে বের হবেন। যাতে তারা পালিয়ে যেতে না পারে।

বুধবার রাতের ঘটনায় ভুক্তভোগীদের আত্মীয় ফারজানা আক্তার গণমাধ্যমকে জানান, জাফরাবাদ এলাকার ৩৬১/২ নম্বর তার মামার বাসায় কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা ঢোকে। তারা ডাকাত বলে চিৎকার করেন। ওই সময় সবাই মিলে চার জন ডাকাতকে আটক করেন। এর মধ্যে এক জন পালিয়ে গিয়ে ফোন করে ১০-১২ জন কিশোর গ্যাংয়ের ছেলেদের ডেকে আনে। তারা রামদা, ছুরি ও চাপাতি নিয়ে এসে আক্রমণ করে। তাদের এলোপাতাড়ি কোপে আমার ছয়জন আত্মীয় গুরুতর আহত হয়।

এর আগেও এমন ঘটনা ঘটেছে। চলতি বছরের শুরুতে গত ৩ জানুয়ারি সন্ধ্যা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত আদাবরের মেহেদীবাগ, আদাবর বাজার এলাকায় দেশি অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে মহড়া দেয় কিশোর গ্যাং সদস্যরা। এতে কয়েকজন বাধা  দেন। পরে তারা ক্ষিপ্ত হয়ে এলাকাবাসীর ওপর হামলা চালায়। এই হামলায় অংশ নেয় শতাধিক কিশোর সন্ত্রাসী। তখন পুরো এলাকায় অর্ধশতাধিক স্থানীয় বাসিন্দা আহত হন।

এছাড়াও ৫ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর মোহাম্মদপুরের রায়েরবাজার এলাকায় মাদকবিরোধী অভিযান চলাকালে পুলিশের ওপর হামলা চালায় কিশোর গ্যাংয়ের এক সদস্য। পুলিশকে চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে আহত করে। এতে চারজন আহত হন। সেই হামলার ঘটনার নেপথ্যে ছিল রায়েরবাজার বোর্ড ঘাট এলাকার কিশোর গ্যাং। এতে জড়িত ছিল ‘পাটালি গ্রুপ’ আর নেতৃত্ব দেয় ল্যাংড়া হাসান, ফরহাদ ও চিকু শাকিল।

নেপথ্যে পুরোনো কিশোর গ্যাং

পুলিশ সদর দফতরের তথ্য অনুযায়ী, গত বছর সারাদেশের কিশোর গ্যাং গ্রুপগুলো নিয়ে তালিকা করেছে পুলিশ। তারা বিভিন্ন এলাকাভিত্তিক এ তালিকায় কারা কাজ করে এবং কীভাবে কাজ করে তাও উল্লেখ করেছে। তাদের মতে, সারাদেশে ২৩৭টির মতো কিশোর গ্যাং গ্রুপ রয়েছে। এসব গ্যাংয়ের আরও গ্রুপ রয়েছে। আর এসব গ্রুপে রয়েছে কমপক্ষে ২ হাজার ৩৮২ জন।

পুলিশ জানিয়েছে, সবচেয়ে বেশি ঢাকায়। বিশেষ করে ঢাকা শহরে। শুধুমাত্র ঢাকা শহরের বিভিন্ন এলাকায় ১২৭টি গ্রুপ গড়ে উঠেছে। তারাই সময়ে সময়ে ঢাকাকে অস্থির করে তুলছে।

পুলিশ প্রশাসন যা বলছে

বুধবারের ঘটনায়  ভুক্তভোগীর স্বজন ফারজানা দাবি করেছেন তারা ডাকাত ছিল। কিন্তু এটি মানতে নারাজ মোহাম্মদপুর থানা পুলিশ। থানাটির পরিদর্শক (তদন্ত) হাফিজুর রহমান জানিয়েছেন, ডাকাতির ঘটনা ঘটেনি। দুই পক্ষের মধ্যে মারামারি হয়েছে। উভয় পক্ষের মধ্যে আগে থেকে ঝামেলা ছিল।

এছাড়াও এ বিষয়ে এডিসি জুয়েল রানা বলেন, আমরা এখন পর্যন্ত ‘লও ঠেলা’ গ্রুপের ৯ জনকে গ্রেফতার করেছি। এছাড়াও অভিযান চালিয়ে ১৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। একই পরিবারের সাতজনকে কুপিয়ে আহত করার ঘটনায় কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যদের ধরতে আমরা অভিযান শুরু করেছি। আমাদের একাধিক টিম কাজ কর

 

উত্তরাধুনিক

Writer, Singer & Environmentalist

ফের আলোচনায় মোহাম্মদপুরে প্রকাশ্যে হামলা, কিশোর গ্যাংয়ের অস্ত্রের মহড়া

আপডেট সময়: ০৭:০৩:৩০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৬ মে ২০২৫

প্রতীকী ছবি


ঢাকা মহানগরীর মোহাম্মদপুর এলাকা আবারও উঠে এসেছে আলোচনায়। গেল বছরের শেষ কয়েক মাস রাতের ঘুম হারাম হয়ে গিয়েছিল এলাকাবাসীর। মাঝে সেনাবাহিনী ও পুলিশী অভিযানে কিছুটা স্বস্তি নেমে এসেছিল। কিন্তু সেই অবস্থা ঘুরে যেতে বসেছে। আবারও অস্থির হয়ে উঠেছে অপরাধ জোন হিসেবে পরিচিত মোহাম্মদপুর। আতঙ্ক ছড়াচ্ছে প্রতিনিয়ত। দফায় দফায় মারামারি, নিজেদের শক্তির জানান দিতে ধারালো অস্ত্রের মহড়া ও অগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে সামাজিক মাধ্যমে ভিডিও ছড়ানোর ঘটনায় উৎকণ্ঠা বাড়ছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরাও মোহাম্মদপুরকে নিয়ে এখন আতঙ্কে আছেন।

গত সাত দিনে যে কয়টি ঘটনা ঘটেছে তার একটিতে সাতজনকে শনাক্ত করে তাদের গ্রেফতার করেছে পুলিশ। কিন্তু বুধবার গভীর রাতে প্রকাশ্যে একই পরিবারের সাতজনকে কুপিয়ে আহত করার ঘটনায় এখনও কেউ গ্রেফতার বা আটক হয়নি বলে জানা গেছে।

কিশোর গ্যাংয়ের দুই সদস্যের গভীর রাতে সন্দেহজনক ঘোরাঘুরিতে বাধা দেন ভুক্তভোগী পরিবারের একজন। এতেই তারা চটে যায়। দলবল নিয়ে এসে প্রথমে সেই ব্যক্তিকে পরে হামলায় বাধা দিতে আসা ছয়জনকে কুপিয়ে আহত করে চলে যায় তারা। যারা হামলা করেছে তাদের সবাই উঠতি বয়সের। কিন্তু সকলের হাতেই ধারালো অস্ত্র ছিল।

যদিও পুলিশের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, এই ঘটনায় তারা কাজ করছেন। যারা কুপিয়েছে তাদের তারা খুঁজে বের করারও চেষ্টায় আছেন।

এলাকাবাসী যা বলছে

বসিলা, ঢাকা উদ্যান ও মেট্টো হাউজিংয়ের বিভিন্ন ব্যক্তির সঙ্গে কথা হয়েছে। তারা বলছেন, গেল ৫ আগস্টের পর থেকে মোহাম্মদপুর অস্থির হয়ে উঠেছে। কিশোর গ্যাংয়ের বিভিন্ন গ্রুপ নানা অপরাধ করছে। কিছুদিন চুপ থাকলেও আবারও তারা সক্রিয় হয়ে উঠেছে এবং এলাকায় ফিরেছে। গেল আগস্টে তাদের উৎপাত বাড়লে যৌথ বাহিনী অভিযান শুরু করে। সেই সময় দুইজন গোলাগুলিতে মারা যায়। এরপর শান্তই ছিল মোহাম্মদপুরের বসিলা, ঢাকা উদ্যানসহ বিভিন্ন এলাকা। দফায় দফায় অভিযানে কয়েক শতাধিক গ্রেফতারও হয়। কিন্তু তারাই এখন জামিনে বের হয়ে এসে এসব হামলা করছে বলে অভিমত তাদের।

বসিলার মেট্রো হাউজিংয়ের বাসিন্দা জামাল আহমেদ বলেন, আমরা এতদিন ভালোই ছিলাম। কিন্তু গত এক সপ্তাহ ধরে আবারও মনে আতঙ্ক ঢুকেছে। সন্ধার পর কোথাও একা যেতে ভয় লাগছে। বিশেষ করে বাসার সামনেও বের হতে ভয় লাগে। এরই মধ্যে বৃহস্পতিবার ভোরে এক ছিনতাইকারী এলাকাবাসীর গণপিটুনীতে নিহত হয়েছে। কিন্তু যারা পালিয়ে গেছে তারা যদি আবারও প্রতিশোধ নিতে আসে। এই ভয়ও আমাদের মাঝে কাজ করছে।

বৃহস্পতিবার ভোরে বসিলা সিটি হাউজিং এলাকায় কয়েকজন ছিনতাইকারী প্রকাশ্যে অস্ত্র নিয়ে ছিনতাই শুরু করে। এসময় খবর ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। পরে এলাকাবাসী জড়ো হয়ে তাদের ঘেরাও করে। শেষে তিনজনকে আটকের পর দেওয়া হয় গণপিটুনী। এতে রাকিব (২৮) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়। রাকিবের গ্রামের বাড়ি ভোলা জেলার দুলারহাট উপজেলার নুরাবাদ এলাকায়। বাকি দুজনকে পরে পুলিশে সোপর্দ করেন এলাকাবাসী।

সিটি এলাকায় খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সম্প্রতি মোহাম্মদপুরের কয়েকটি ঘটনা এলাকাবাসী জেনেছেন। এরপর তারা জড়ো হয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন এলাকায় ছিনতাইকারী ঢুকলে একযোগে সকলে বের হবেন। যাতে তারা পালিয়ে যেতে না পারে।

বুধবার রাতের ঘটনায় ভুক্তভোগীদের আত্মীয় ফারজানা আক্তার গণমাধ্যমকে জানান, জাফরাবাদ এলাকার ৩৬১/২ নম্বর তার মামার বাসায় কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা ঢোকে। তারা ডাকাত বলে চিৎকার করেন। ওই সময় সবাই মিলে চার জন ডাকাতকে আটক করেন। এর মধ্যে এক জন পালিয়ে গিয়ে ফোন করে ১০-১২ জন কিশোর গ্যাংয়ের ছেলেদের ডেকে আনে। তারা রামদা, ছুরি ও চাপাতি নিয়ে এসে আক্রমণ করে। তাদের এলোপাতাড়ি কোপে আমার ছয়জন আত্মীয় গুরুতর আহত হয়।

এর আগেও এমন ঘটনা ঘটেছে। চলতি বছরের শুরুতে গত ৩ জানুয়ারি সন্ধ্যা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত আদাবরের মেহেদীবাগ, আদাবর বাজার এলাকায় দেশি অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে মহড়া দেয় কিশোর গ্যাং সদস্যরা। এতে কয়েকজন বাধা  দেন। পরে তারা ক্ষিপ্ত হয়ে এলাকাবাসীর ওপর হামলা চালায়। এই হামলায় অংশ নেয় শতাধিক কিশোর সন্ত্রাসী। তখন পুরো এলাকায় অর্ধশতাধিক স্থানীয় বাসিন্দা আহত হন।

এছাড়াও ৫ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর মোহাম্মদপুরের রায়েরবাজার এলাকায় মাদকবিরোধী অভিযান চলাকালে পুলিশের ওপর হামলা চালায় কিশোর গ্যাংয়ের এক সদস্য। পুলিশকে চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে আহত করে। এতে চারজন আহত হন। সেই হামলার ঘটনার নেপথ্যে ছিল রায়েরবাজার বোর্ড ঘাট এলাকার কিশোর গ্যাং। এতে জড়িত ছিল ‘পাটালি গ্রুপ’ আর নেতৃত্ব দেয় ল্যাংড়া হাসান, ফরহাদ ও চিকু শাকিল।

নেপথ্যে পুরোনো কিশোর গ্যাং

পুলিশ সদর দফতরের তথ্য অনুযায়ী, গত বছর সারাদেশের কিশোর গ্যাং গ্রুপগুলো নিয়ে তালিকা করেছে পুলিশ। তারা বিভিন্ন এলাকাভিত্তিক এ তালিকায় কারা কাজ করে এবং কীভাবে কাজ করে তাও উল্লেখ করেছে। তাদের মতে, সারাদেশে ২৩৭টির মতো কিশোর গ্যাং গ্রুপ রয়েছে। এসব গ্যাংয়ের আরও গ্রুপ রয়েছে। আর এসব গ্রুপে রয়েছে কমপক্ষে ২ হাজার ৩৮২ জন।

পুলিশ জানিয়েছে, সবচেয়ে বেশি ঢাকায়। বিশেষ করে ঢাকা শহরে। শুধুমাত্র ঢাকা শহরের বিভিন্ন এলাকায় ১২৭টি গ্রুপ গড়ে উঠেছে। তারাই সময়ে সময়ে ঢাকাকে অস্থির করে তুলছে।

পুলিশ প্রশাসন যা বলছে

বুধবারের ঘটনায়  ভুক্তভোগীর স্বজন ফারজানা দাবি করেছেন তারা ডাকাত ছিল। কিন্তু এটি মানতে নারাজ মোহাম্মদপুর থানা পুলিশ। থানাটির পরিদর্শক (তদন্ত) হাফিজুর রহমান জানিয়েছেন, ডাকাতির ঘটনা ঘটেনি। দুই পক্ষের মধ্যে মারামারি হয়েছে। উভয় পক্ষের মধ্যে আগে থেকে ঝামেলা ছিল।

এছাড়াও এ বিষয়ে এডিসি জুয়েল রানা বলেন, আমরা এখন পর্যন্ত ‘লও ঠেলা’ গ্রুপের ৯ জনকে গ্রেফতার করেছি। এছাড়াও অভিযান চালিয়ে ১৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। একই পরিবারের সাতজনকে কুপিয়ে আহত করার ঘটনায় কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যদের ধরতে আমরা অভিযান শুরু করেছি। আমাদের একাধিক টিম কাজ কর