আদালতে নুসরাত ফারিয়া
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় রাজধানীর ভাটারা থানায় একটি হত্যাচেষ্টা মামলায় গতকাল রবিবার গ্রেপ্তার করা হয়েছে হালের জনপ্রিয় চিত্রনায়িকা নুসরাত ফারিয়া। গ্রেপ্তারের পরদিন আজ সোমবার ঢাকার একটি আদালতে হাজির করা হয় এই অভিনেত্রীকে। তবে বিচারক জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে আগামী ২২ মে শুনানির দিন ধার্য করেন এবং কারাগারে পাঠানোর হুকুম দেন।
ফারিয়াই নন ঢাকাই সিনেমার ইতিহাসে এর আগেও একাধিক নায়িকা আইনগত জটিলতায় পড়ে জেলে কিংবা পুলিশ হেফাজতে থাকতে হয়েছে। সেই তালিকায় আছেন পরীমণি, মাহিয়া মাহি ও ময়ূরী।
শমী কায়সার
গত বছর ২৯ সেপ্টেম্বর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে অংশ নেওয়া ইশতিয়াক মাহমুদের দায়ের করা হত্যাচেষ্টা মামলায় গ্রেপ্তার হন ই-কর্মাস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ই-ক্যাব) সাবেক সভাপতি ও অভিনেত্রী শমী কায়সার। ৫ নভেম্বর দিবাগত রাতে রাজধানীর উত্তরার বাসা থেকে অভিনেত্রীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরদিন তাকে তোলা হয় আদালতে। তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে শমী কায়সারকে পাঠানো হয় কারাগারে।
পরীমণি
২০২১ সালের আগস্টে র্যাব অভিযান চালিয়ে বনানীর বাসা থেকে পরীমণিকে আটক করা হয়। তার বিরুদ্ধে মাদক আইনে মামলা হয়। প্রায় ২৭ দিন তিনি কারাবন্দি ছিলেন। জামিনে মুক্তির পর তিনি কাজে ফিরে আসেন এবং আবার আলোচনায় আসেন তার অভিনয় ও ব্যক্তিজীবন নিয়ে।
মাহিয়া মাহি
২০২৩ সালের মার্চে মাহিয়া মাহি ও তার স্বামী ফেসবুক লাইভে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ আনেন। এর জেরে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা হয়। সৌদি আরব থেকে দেশে ফিরলে বিমানবন্দরেই তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। প্রায় ১১ ঘণ্টা পুলিশের হেফাজতে থাকার পর জামিনে মুক্তি পান তিনি। ঘটনাটি মিডিয়ায় ব্যাপকভাবে আলোচিত হয়।
ময়ূরী
২০০০ দশকের গোড়ার দিকে অশ্লীলতার অভিযোগে সিনেমাপাড়ায় আলোচনার কেন্দ্রে ছিলেন নায়িকা ময়ূরী। তাকে ঘিরে একাধিক বিতর্ক থাকলেও, তার জেলে যাওয়া নিয়ে নির্ভরযোগ্য কোনো তথ্য নেই। তবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তলব ও চলচ্চিত্র সেন্সর বোর্ডের নজরদারিতে তিনি একাধিকবার ছিলেন বলে জানা যায়।