
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিশেষ মধ্যপ্রাচ্য দূত স্টিভ উইটকফ
ইরানে ব্যাপক হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। শুক্রবার (১৩ জুন) মধ্যরাতের এই হামলায় দেশটির বিপ্লবী বাহিনীর প্রধান কমান্ডার মেজর জেনারেল হোসেইন সালামিসহ অনেকে প্রাণ হারিয়েছেন। এখন ইরানের প্রতিশোধমূলক হামলার আশঙ্কায় মধ্যপ্রাচ্যজুড়ে আতঙ্ক বিরাজ করছে। এই হামলার ঠিক আগে আগে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিশেষ মধ্যপ্রাচ্য দূত স্টিভ উইটকফ সতর্ক করেছেন,
‘ইসরায়েল যদি ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলোর ওপর আক্রমণ চালায়, তবে তা বিপজ্জনক পরিণতির সৃষ্টি করতে পারে।’
মার্কিন গণমাধ্যম অক্সিয়োসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, উইটকফ এই বিষয়ে মার্কিন সিনেট রিপাবলিকানদের জানিয়ে দেন যে, ইরানের প্রতিক্রিয়া একটি ব্যাপক প্রাণহানির ঘটনা ঘটাতে পারে। সিক্রেট ব্রিফিংয়ে, উইটকফ এ কথা বলেন এবং বলেন যে, ইরান প্রতিশোধ হিসেবে যে ধরনের আক্রমণ চালাতে পারে, তা ইসরায়েলের নিরাপত্তা ব্যবস্থার জন্য অত্যন্ত চ্যালেঞ্জিং হতে পারে। দেশটির প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা মারাত্মক ক্ষতির শিকার হতে পারে।
উইটকফ আরও বলেন যে, যদি ইরান পারমাণবিক আলোচনা ব্যর্থ হওয়ার পর ইসরায়েল আক্রমণ চালায়, তাহলে সেটি পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত করে তুলবে। উইটকফ জানান, ইসরায়েলি সামরিক হামলা এমন এক বিকল্প হিসেবে সামনে আসছে, যেটি এখন সবার পক্ষে অনুধাবন করা হচ্ছে।
ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের হুমকি
উইটকফ ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচি নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেন, ইরান বর্তমানে প্রতি মাসে প্রায় ৫০টি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র তৈরি করছে, এবং তাদের লক্ষ্য ইসরায়েলের রক্ষা ব্যবস্থার তুলনায় আরও বেশি ক্ষেপণাস্ত্র প্রস্তুত করা। এমন পরিস্থিতিতে, ইসরায়েলের বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ব্যাপক আক্রমণে হতাশ হতে পারে, যা আরও প্রাণহানি এবং ধ্বংসের কারণ হতে পারে।
উইটকফ বর্তমানে ওমানে অবস্থান করছেন, যেখানে মার্কিন-ইরানি আলোচনা আরও এক দফা অব্যাহত থাকবে। এই আলোচনা ইরানের পারমাণবিক কার্যক্রম সীমিত করার জন্য একটি চুক্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে চালানো হচ্ছে। তবে, ইরান এবং ইসরায়েল পরিস্থিতি প্রতিনিয়ত আরও উত্তপ্ত হয়ে উঠছে, যা ভবিষ্যতে আরও সংঘর্ষের সম্ভাবনা তৈরি করছে।