০১:৩১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২২ জুন ২০২৫

ইরানে ইসরায়েলের হামলা নিয়ে যা বলছে আরব দেশগুলো

  • আপডেট সময়: ০৯:৫৩:৫৮ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৩ জুন ২০২৫
  • 8

ছবি : এএফপি

ইরানে ইসরায়েলের সাম্প্রতিক হামলার ঘটনায় কড়া ভাষায় নিন্দা জানিয়েছে একাধিক আরব দেশ। এরমধ্যে সৌদি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে ইসরায়েলের এ হামলাকে ‘জঘন্য ও নিন্দনীয়’ বলে উল্লেখ করেছে। সৌদির পাশাপাশি সংযুক্ত আরব আমিরাত, কাতার, ওমান, লেবাননসহ বেশ কয়েকটি দেশ ইসরায়েলের বিপক্ষে নিজেদের অবস্থানের কথা জানিয়েছে।

সৌদি আরব নিজেদের বিবৃতিতে বলেছে, ‘রাজতন্ত্র এই বর্বর হামলার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছে।

একইসঙ্গে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় ও জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছে, তারা যেন এই আগ্রাসন থামাতে এগিয়ে আসে।’

প্রসঙ্গত, দীর্ঘদিন ধরে ধর্মীয় বিভাজনের কারণে সৌদি আরব ও ইরানের মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতা থাকলেও সাম্প্রতিক সময়ে উভয় দেশের সম্পর্কে দৃশ্যমান উন্নতি হয়েছে।

এদিকে ২০২০ সালে ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করেছিল সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই)। কিন্তু এবারের হামলা নিয়ে তাদের অবস্থান একেবারেই স্পষ্ট।

আমিরাতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ‘আমরা অত্যন্ত কঠোর ভাষায় এই হামলার নিন্দা জানাচ্ছি।’

এদিকে কাতার হামলাটিকে ‘ইরানের সার্বভৌমত্ব ও নিরাপত্তার ওপর সরাসরি আঘাত’ বলে উল্লেখ করেছে।

যুক্তরাষ্ট্র ও ইরানের মধ্যে চলমান আলোচনা পরিচালনায় মধ্যস্থতাকারী ওমান বলেছে, ‘এই হামলা বেপরোয়া এবং পরমাণু আলোচনার এক সংবেদনশীল সময়েই এটি করা হয়েছে।’

মধ্যপ্রাচ্যে যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে বড় সামরিক ঘাঁটি রয়েছে কাতারে, আর আবুধাবির কাছে রয়েছে হাজারো মার্কিন সেনা।

ফলে যুক্তরাষ্ট্রের মিত্র হিসেবে কাতার ও আমিরাত—দুই দেশই ইরানের সম্ভাব্য প্রতিশোধের ঝুঁকিতে রয়েছে।

নিজ দেশে ইরানের প্রভাব কমানোর চেষ্টা চালিয়ে যাওয়া লেবাননের প্রধানমন্ত্রী নাওয়াফ সালাম এই হামলাকে ‘গুরুতর ইসরায়েলি আগ্রাসন’ হিসেবে উল্লেখ করে তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, ‘এই হামলা আন্তর্জাতিক আইন ও ইরানের সার্বভৌমত্বের চরম লঙ্ঘন। এর পরিণতি শুধু মধ্যপ্রাচ্য নয়, বিশ্ব শান্তির জন্যও হুমকি হয়ে দাঁড়াতে পারে।’

ইসরায়েলের এ হামলা শুধু ইরান নয়, গোটা অঞ্চলের স্থিতিশীলতার ওপর বড় ধরনের প্রভাব ফেলতে পারে।

প্রতিবেশী আরব দেশগুলোর কড়া প্রতিক্রিয়া ও উদ্বেগই তা স্পষ্ট করে তুলছে।

 

উত্তরাধুনিক

Writer, Singer & Environmentalist

ইরানে ইসরায়েলের হামলা নিয়ে যা বলছে আরব দেশগুলো

আপডেট সময়: ০৯:৫৩:৫৮ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৩ জুন ২০২৫

ছবি : এএফপি

ইরানে ইসরায়েলের সাম্প্রতিক হামলার ঘটনায় কড়া ভাষায় নিন্দা জানিয়েছে একাধিক আরব দেশ। এরমধ্যে সৌদি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে ইসরায়েলের এ হামলাকে ‘জঘন্য ও নিন্দনীয়’ বলে উল্লেখ করেছে। সৌদির পাশাপাশি সংযুক্ত আরব আমিরাত, কাতার, ওমান, লেবাননসহ বেশ কয়েকটি দেশ ইসরায়েলের বিপক্ষে নিজেদের অবস্থানের কথা জানিয়েছে।

সৌদি আরব নিজেদের বিবৃতিতে বলেছে, ‘রাজতন্ত্র এই বর্বর হামলার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছে।

একইসঙ্গে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় ও জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছে, তারা যেন এই আগ্রাসন থামাতে এগিয়ে আসে।’

প্রসঙ্গত, দীর্ঘদিন ধরে ধর্মীয় বিভাজনের কারণে সৌদি আরব ও ইরানের মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতা থাকলেও সাম্প্রতিক সময়ে উভয় দেশের সম্পর্কে দৃশ্যমান উন্নতি হয়েছে।

এদিকে ২০২০ সালে ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করেছিল সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই)। কিন্তু এবারের হামলা নিয়ে তাদের অবস্থান একেবারেই স্পষ্ট।

আমিরাতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ‘আমরা অত্যন্ত কঠোর ভাষায় এই হামলার নিন্দা জানাচ্ছি।’

এদিকে কাতার হামলাটিকে ‘ইরানের সার্বভৌমত্ব ও নিরাপত্তার ওপর সরাসরি আঘাত’ বলে উল্লেখ করেছে।

যুক্তরাষ্ট্র ও ইরানের মধ্যে চলমান আলোচনা পরিচালনায় মধ্যস্থতাকারী ওমান বলেছে, ‘এই হামলা বেপরোয়া এবং পরমাণু আলোচনার এক সংবেদনশীল সময়েই এটি করা হয়েছে।’

মধ্যপ্রাচ্যে যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে বড় সামরিক ঘাঁটি রয়েছে কাতারে, আর আবুধাবির কাছে রয়েছে হাজারো মার্কিন সেনা।

ফলে যুক্তরাষ্ট্রের মিত্র হিসেবে কাতার ও আমিরাত—দুই দেশই ইরানের সম্ভাব্য প্রতিশোধের ঝুঁকিতে রয়েছে।

নিজ দেশে ইরানের প্রভাব কমানোর চেষ্টা চালিয়ে যাওয়া লেবাননের প্রধানমন্ত্রী নাওয়াফ সালাম এই হামলাকে ‘গুরুতর ইসরায়েলি আগ্রাসন’ হিসেবে উল্লেখ করে তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, ‘এই হামলা আন্তর্জাতিক আইন ও ইরানের সার্বভৌমত্বের চরম লঙ্ঘন। এর পরিণতি শুধু মধ্যপ্রাচ্য নয়, বিশ্ব শান্তির জন্যও হুমকি হয়ে দাঁড়াতে পারে।’

ইসরায়েলের এ হামলা শুধু ইরান নয়, গোটা অঞ্চলের স্থিতিশীলতার ওপর বড় ধরনের প্রভাব ফেলতে পারে।

প্রতিবেশী আরব দেশগুলোর কড়া প্রতিক্রিয়া ও উদ্বেগই তা স্পষ্ট করে তুলছে।