ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান। সংগৃহীত ছবি

ইরানে ইসরায়েলি হামলায় বহু বেসামরিক নাগরিকের মৃত্যুর নিন্দা জানিয়ে দেশটির প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান বলেছেন, ‘ইরান চুপ থাকবে না, শত্রুকে (ইসরায়েল) তার বোকামিপূর্ণ কাজের জন্য মূল্য দিতে হবে।’

শুত্রবার (১৩ জুন) সন্ধায় জাতির উদ্দেশে দেওয়া এক ভাষণে এই হুঁশিয়ারি দিয়েছেন পেজেশকিয়ান।

ইসরায়েলের অপরাধের জন্য বৈধ ও শক্তিশালীভাবে এর প্রতিক্রিয়া জানানো হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, আজ, অন্য যেকোনো সময়ের চেয়ে ইরানি জাতির আস্থা, সহানুভূতি, ঐক্য এবং সংহতির প্রয়োজন। সৃষ্টিকর্তার ইচ্ছায় ইসরায়েলি শাসনের অপরাধের বিরুদ্ধে একটি শক্তিশালী, যুক্তিসঙ্গত এবং দৃঢ় প্রতিক্রিয়া জানানো হবে।

ইসরায়েলি হামলায় তেহরানসহ বেশ কয়েকটি শহরে শিশু ও নারীসহ বহু বেসামরিক নাগরিক, র্শীষ সামরিক কমান্ডার এবং পরমাণু বিজ্ঞানী নিহত হয়েছেন উল্লেখ করে ইরানি প্রেসিডেন্ট বলেন, এমন বর্বর হামলা সমস্ত আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন এবং অবৈধ ইহুদিবাদী শাসনব্যবস্থার অপরাধমূলক প্রকৃতিকে ইঙ্গিত  করে, যা তারা দখলদারিত্ব, আগ্রাসন এবং শিশু হত্যার ওপর গড়ে তুলেছে।

তিনি আরও বলেন, গত রাতের হামলা বিশ্ববাসীর কাছে ইরানের দীর্ঘদিনের দাবির বৈধতা প্রমাণ করেছে। বিশ্বব্যাপী এবং আঞ্চলিকভাবে শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য ইরান সর্বাত্মক চেষ্টা করেছে। তবে আগ্রাসনের প্রতিক্রিয়ায় এবং দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষার ক্ষেত্রে, তার জবাব সেভাবেই দেওয়া হবে। যেমন মরহুম ইমাম খোমেনী বলেছিলেন, যখনই কোনো সেনাপতির শক্তিশালী হাত থেকে পতাকা পড়ে যাবে, তখনই অন্য একজন সেনাপতি তা তুলে নিয়ে যুদ্ধক্ষেত্রে প্রবেশ করবে।

এর আগে শুক্রবার ভোরে ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি এবং দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র কারখানা লক্ষ করে প্রায় ২০০ যুদ্ধবিমান দিয়ে ব্যাপক হামলা শুরু করে ইসরায়েল। ইসরায়েলি বিমান হামলায় কমপক্ষে ৭৮ জন নিহত এবং ৩২৯ জন আহত হয়েছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় সংবাদমাধ্যম। নিহতদের মধ্যে দেশটির দুই শীর্ষ সামরিক কমান্ডার এবং কমপক্ষে ছয় শীর্ষ পরমাণু বিজ্ঞানীও রয়েছেন।

জবাবে ইসরায়েলের দিকে প্রায় ১০০টি ড্রোন ছোঁড়ে তেহরান। তবে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী দাবি করেছে, ইসরায়েলের দিকে ছোঁড়া সব ইরানি ড্রোন সফলভাবে ভূপাতিত করা হয়েছে।