শত্রুকে শেষ করতে নির্ভুল নিশানায় বরাবরই সফল মোসাদ। বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী ও রহস্যময় গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর একটি মোসাদ। ইসরায়েলের গুপ্তচর সংস্থাটি এত গোপনে কাজ করে যে, অনেক ইসরায়েলি পর্যন্ত জানে না যে এটির সদর দফতর আসলে কোথায়।
আরো পড়ুন
আগুনে পুড়ে ছাই হলিউড তারকাদের বাড়িঘর
গত ১২ জুন ইরানের সেনাপ্রধান এবং পরমাণু বিজ্ঞানীদের হত্যা পর আবারও আলোচনায় মোসাদ। এই সংস্থার কর্মকাণ্ড নিয়ে নির্মাণ হয়েছে বেশ কিছু ছবি। এবার জেনে নেওয়া যাক ইসরায়েলের গুপ্তচর সংস্থা নিয়ে নির্মিত ছবিগুলোর অজানা তথ্য।
দ্য স্পাই
মোসাদ নিয়ে সাম্প্রতিক সবচেয়ে আলোচিত নির্মাণ ‘দ্য স্পাই’। এটি অবশ্য সিনেমা নয়, এটি একটি নেটফ্লিক্স মিনিসিরিজ। যা ইসরায়েলি গুপ্তচর এলি কোহেন–এর জীবনের ওপর ভিত্তি করে নির্মিত। এতে এলির চরিত্রে অভিনয় করেছেন সাচা ব্যারন কোহেন। সিরিজটি বাস্তব ঘটনার ওপর ভিত্তি করে তৈরি এবং ১৯৬০-এর দশকে সিরিয়ায় গোপনে কাজ করা এলি কোহেনের গুপ্তচরবৃত্তির কাহিনি তুলে ধরে। ছবিটি মুক্তি পায় ২০১৯ সালে।
আরো পড়ুন
দাবানলে বিপর্যস্ত হলিউড, পেছাল অস্কার
দ্য এঞ্জেল
২০১৮ সালের আলোচিত এই ছবির গল্প মিশরীয় গুপ্তচর আশরাফ মারওয়ানকে নিয়ে গল্প এগিয়েছে। যিনি গোপনে মোসাদের জন্য কাজ করতেন। তিনি ছিলেন মিশরের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট নাসেরের জামাতা এবং একটি বড় সরকারি পদে আসীন। তাঁর সরবরাহকৃত তথ্য যুদ্ধ এড়াতে সাহায্য করেছিল।
মিউনিখ
স্টিভেন স্পিলবার্গ পরিচালিত এই চলচ্চিত্রটি ১৯৭২ সালের মিউনিখ অলিম্পিকে ইসরায়েলি অ্যাথলেটদের হত্যা এবং তার জবাবে মোসাদের প্রতিশোধ অভিযানের গল্প তুলে ধরে। ছবিটি পাঁচটি অস্কারে মনোনয়ন পায়। ছবিটি মুক্তি পায় ২০০৫ সালে।
অপারেশন ফিনালে
এই ছবিতে দেখানো হয় কীভাবে মোসাদ ১৯৬০ সালে নাৎসি যুদ্ধাপরাধী আডলফ আইখম্যানকে আর্জেন্টিনা থেকে ধরে এনে ইসরায়েলে বিচার করে।
আরো পড়ুন
একই দিনে 'ভেনম: দ্য লাস্ট ড্যান্স'-'স্মাইল ২' স্টার সিনেপ্লেক্সে
দ্য রেড সি ডাইভিং রিসোর্ট
২০১৯ সালের এই ছবিতে ক্রিস ইভানস অভিনীত এক মোসাদ এজেন্টের নেতৃত্বে ১৯৮৪-৮৫ সালে অপারেশন মোজেস ও অপারেশন জোশুয়া নামের দুটি মিশনের কথা তুলে ধরা হয়, যেখানে ইথিওপিয়ান ইহুদি শরণার্থীদের সুদানের এক পুরনো সমুদ্রতীরবর্তী রিসোর্ট থেকে গোপনে ইসরায়েলে আনা হয়।
কিদন
এটি একটি ফরাসি-ইসরায়েলি স্পাই কমেডি। হামাস নেতা মাহমুদ আল-মাবহুহকে দুবাইয়ের এক হোটেলে হত্যা করার ঘটনা ঘিরে ছবির কাহিনি। এই হত্যার পেছনে মোসাদের বিশেষ ইউনিট কিদন কাজ করেছে বলে ধারণা করা হয়।