০৯:৫৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ২১ জুন ২০২৫

ইসরায়েলের তেল শোধনাগারে ইরানি মিসাইলের আঘাত, নিহত ৩

  • আপডেট সময়: ০৫:০৫:২৫ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ জুন ২০২৫
  • 8

ছবিসূত্র: এএফপি


ইরানি হামলায় হাইফার বাজান তেল শোধনাগারে ভয়াবহ ক্ষতি হয়েছে। ইসরায়েলের এই তেল শোধনাগার প্রতিষ্ঠান বাজান গ্রুপ জানিয়েছে, ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় তাদের একটি বিদ্যুৎ ও স্টিম উৎপাদনকারী পাওয়ার স্টেশন গুরুতরভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, যার ফলে প্রতিষ্ঠানটির সব রিফাইনারি স্থাপনা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

গতকাল সোমবার বাজান গ্রুপ জানায়, হাইফা উপসাগরে অবস্থিত তাদের তেল শোধনাগারে ইরানি হামলায় তিনজন কর্মচারীও নিহত হয়েছেন। এ হামলার পর প্রতিষ্ঠানটির সব কার্যক্রম সম্পূর্ণভাবে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

রাতে চালানো ইরানি ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় এই তিন কর্মীর মৃত্যু হয় বলে জানানো হয়েছে।

এই হামলার ফলে পাওয়ার স্টেশনটি এতটাই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে যে বিদ্যুৎ ও স্টিম উৎপাদন সম্ভব হচ্ছে না, যা রিফাইনারি পরিচালনায় অত্যাবশ্যকীয়।

বাজান গ্রুপের পক্ষ থেকে আরো বলা হয়, ‘এই হামলার কারণে শুধু প্রাতিষ্ঠানিক ক্ষয়ক্ষতিই নয়, বরং আমরা মূল্যবান প্রাণ হারিয়েছি। এটি আমাদের জন্য গভীর শোকের সময়।

’ তারা জানিয়েছে, ইসরায়েল ইলেকট্রিক কম্পানির সঙ্গে সমন্বয় করে দ্রুত বিদ্যুৎ সরবরাহ পুনরায় চালু করার চেষ্টা চালাচ্ছে।

এই স্থাপনার কাছে অবস্থিত বৃহৎ তেল ট্যাংক এবং উচ্চ মাত্রার দূষণের কারণে দীর্ঘদিন ধরেই স্থানীয় বাসিন্দা ও পরিবেশবাদীরা রিফাইনারিটি অন্যত্র সরিয়ে নেওয়ার দাবি জানিয়ে আসছিলেন। ২০২২ সালে ইসরায়েল সরকার ঘোষণা দিয়েছিল, ২০৩০ সালের মধ্যে বাজান রিফাইনারি হাইফা উপসাগর এলাকা থেকে সরিয়ে নেওয়া হবে। সেই পরিকল্পনার অংশ হিসেবে এ বছরই বড় তেল ট্যাংক অপসারণের কাজ শুরু হওয়ার কথা ছিল।

এই হামলার পর নতুন করে নিরাপত্তা ও পরিবেশগত ঝুঁকি নিয়ে উদ্বেগ ছড়িয়ে পড়েছে স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক মহলে। উল্লেখ্য, ইসরায়েল ও ইরানের মধ্যে চলমান টানাপড়েনের মধ্যেই এই হামলার ঘটনা ঘটল, যা পুরো মধ্যপ্রাচ্যজুড়ে উত্তেজনা আরো বাড়িয়ে তুলেছে।

সূত্র: রয়টার্স, টাইমস অব ইসরায়েল

 

উত্তরাধুনিক

Writer, Singer & Environmentalist

ইসরায়েলের তেল শোধনাগারে ইরানি মিসাইলের আঘাত, নিহত ৩

আপডেট সময়: ০৫:০৫:২৫ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ জুন ২০২৫

ছবিসূত্র: এএফপি


ইরানি হামলায় হাইফার বাজান তেল শোধনাগারে ভয়াবহ ক্ষতি হয়েছে। ইসরায়েলের এই তেল শোধনাগার প্রতিষ্ঠান বাজান গ্রুপ জানিয়েছে, ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় তাদের একটি বিদ্যুৎ ও স্টিম উৎপাদনকারী পাওয়ার স্টেশন গুরুতরভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, যার ফলে প্রতিষ্ঠানটির সব রিফাইনারি স্থাপনা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

গতকাল সোমবার বাজান গ্রুপ জানায়, হাইফা উপসাগরে অবস্থিত তাদের তেল শোধনাগারে ইরানি হামলায় তিনজন কর্মচারীও নিহত হয়েছেন। এ হামলার পর প্রতিষ্ঠানটির সব কার্যক্রম সম্পূর্ণভাবে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

রাতে চালানো ইরানি ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় এই তিন কর্মীর মৃত্যু হয় বলে জানানো হয়েছে।

এই হামলার ফলে পাওয়ার স্টেশনটি এতটাই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে যে বিদ্যুৎ ও স্টিম উৎপাদন সম্ভব হচ্ছে না, যা রিফাইনারি পরিচালনায় অত্যাবশ্যকীয়।

বাজান গ্রুপের পক্ষ থেকে আরো বলা হয়, ‘এই হামলার কারণে শুধু প্রাতিষ্ঠানিক ক্ষয়ক্ষতিই নয়, বরং আমরা মূল্যবান প্রাণ হারিয়েছি। এটি আমাদের জন্য গভীর শোকের সময়।

’ তারা জানিয়েছে, ইসরায়েল ইলেকট্রিক কম্পানির সঙ্গে সমন্বয় করে দ্রুত বিদ্যুৎ সরবরাহ পুনরায় চালু করার চেষ্টা চালাচ্ছে।

এই স্থাপনার কাছে অবস্থিত বৃহৎ তেল ট্যাংক এবং উচ্চ মাত্রার দূষণের কারণে দীর্ঘদিন ধরেই স্থানীয় বাসিন্দা ও পরিবেশবাদীরা রিফাইনারিটি অন্যত্র সরিয়ে নেওয়ার দাবি জানিয়ে আসছিলেন। ২০২২ সালে ইসরায়েল সরকার ঘোষণা দিয়েছিল, ২০৩০ সালের মধ্যে বাজান রিফাইনারি হাইফা উপসাগর এলাকা থেকে সরিয়ে নেওয়া হবে। সেই পরিকল্পনার অংশ হিসেবে এ বছরই বড় তেল ট্যাংক অপসারণের কাজ শুরু হওয়ার কথা ছিল।

এই হামলার পর নতুন করে নিরাপত্তা ও পরিবেশগত ঝুঁকি নিয়ে উদ্বেগ ছড়িয়ে পড়েছে স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক মহলে। উল্লেখ্য, ইসরায়েল ও ইরানের মধ্যে চলমান টানাপড়েনের মধ্যেই এই হামলার ঘটনা ঘটল, যা পুরো মধ্যপ্রাচ্যজুড়ে উত্তেজনা আরো বাড়িয়ে তুলেছে।

সূত্র: রয়টার্স, টাইমস অব ইসরায়েল