ওআইসির সম্মেলনে বক্তব্য দেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা। ছবি: সংগৃহীত
ইরানে ইসরায়েলের বেআইনি ও আগ্রাসী সামরিক হামলা চালানোর নিন্দা জানিয়েছে বাংলাদেশ। এ আগ্রাসনকে আন্তর্জাতিক আইন, জাতিসংঘ সনদ ও ইরানের সার্বভৌমত্বের মারাত্মক লঙ্ঘন উল্লেখ করে ইসরায়েলকে জবাবদিহিতার আওতায় আনার দাবি জানিয়েছে ঢাকা।
তুরস্কের ইস্তানবুলে ইসলামি সহযোগিতা সংস্থার (ওআইসি) পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের ৫১তম সম্মেলনে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন এই দাবি জানান। শনিবার (২১ জুন) তিনি সম্মেলনে বক্তব্য দেন।
ওআইসির পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের দুই দিনব্যাপী সম্মেলন শনিবার শুরু হয়েছে। সকালে এ সম্মেলনের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ান। বিকেলে ইরানের ওপর ইসরায়েলি আগ্রাসন ইস্যুতে বিশেষ অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয়।
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ইসরায়েলের এ ধরনের বেপরোয়া কর্মকাণ্ড এ অঞ্চলকে অস্থিতিশীল এবং বৈশ্বিক শান্তি ও নিরাপত্তাকে বিঘ্নিত করার হুমকি সৃষ্টি করেছে। অবিলম্বে এ ধরনের উসকানি বন্ধের আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
পাশাপাশি কূটনীতি ও আন্তর্জাতিক আইনের প্রতি শ্রদ্ধার মাধ্যমে শান্তি নিশ্চিত করতে ইসরায়েলকে জবাবদিহিতার আওতায় আনতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানান তৌহিদ হোসেন।
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, আন্তর্জাতিক ন্যায়বিচার আদালত (আইসিজে) ও আইসিসির মাধ্যমে ন্যায়বিচার ও জবাবদিহিতার দাবিতে ওআইসিকে অবশ্যই ঐক্যবদ্ধ ও সোচ্চার থাকতে হবে। আমাদের সংহতিকে অবশ্যই কৌশলগত ও টেকসই পদক্ষেপে রূপান্তরিত করতে হবে।
তিনি রোহিঙ্গা সমস্যাও তুলে ধরেন। আইসিজেতে ওআইসির আইনি উদ্যোগ এবং ওআইসি টেন ইয়ার প্রোগ্রাম অব অ্যাকশনে রোহিঙ্গা ইস্যুকে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ কৌশলগত লক্ষ্য হিসেবে অন্তর্ভুক্তির জন্য ওআইসির প্রতি গভীর কৃতজ্ঞতা জানান।
রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবর্তনের জন্য মিয়ানমারের ওপর কূটনৈতিক চাপ বাড়ানোর পাশাপাশি আইসিজেতে চলমান আইনি কার্যক্রমে অর্থায়নে সহায়তা করার আহ্বান জানান পররাষ্ট্র উপদেষ্টা।
সম্মেলনের সাইডলাইনে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মালয়েশিয়ায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী দাতো সেরি উটামা হাজি মোহাম্মদ বিন হাজি হাসান, ইরাকের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফুয়াদ হোসেন, উজবেকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সাইদভ বাখতিয়র ওদিলোভিচ এবং পাকিস্তানের উপপ্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দারের সঙ্গে পৃথক বৈঠক করেন।