০৩:৫৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ জুন ২০২৫

বৃদ্ধের রক্তের গ্রুপ ‘ও’ পজিটিভ, স্বাস্থ্যকর্মী পুশ করলেন ‘এবি’ পজিটিভ

  • আপডেট সময়: ০৬:৫৭:২২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২২ জুন ২০২৫
  • 3

ভুক্তভোগী আব্দুর রউফ


ও পজিটিভ রক্ত বদলে এবি পজিটিভ রক্ত পুশ করায় তীব্র যন্ত্রণায় মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন আব্দুর রউফ নামের এক বৃদ্ধ। তবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলছে, অসাবধানতার কারণে ল্যাব টেকনোলজিস্ট এই ভুল করেছেন।

ভুক্তভোগী আব্দুর রউফ টাঙ্গাইলের দেলদুয়ার উপজেলার কৌপাখী গ্রামের মৃত আমজাদ হোসেনের ছেলে। তিনি হাড়ের রোগসহ বেশ কয়েকটি উপসর্গ নিয়ে গত ১৮ জুন টাঙ্গাইল ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি হন। ভর্তির দিন চিকিৎসক জরুরী ভিত্তিতে তাকে শরীরে রক্ত দেওয়ার জন্য স্বজনদের জানান। এরপর স্বজনরা ওই দিনেই ও পজিটিভ রক্তের ডোনার খুঁজে হাসপাতালের ব্লাড ব্যাংকে উপস্থিত করেন। ডোনার এবং রোগীর রক্ত ক্রস ম্যাচিং করে হাসপাতালের ল্যাব টেকনোলজিস্ট জানান রোগীর রক্তের গ্রুপ এবি পজিটিভ। তাৎক্ষণিক এবি পজিটিভ রক্তের ডোনার খুঁজেন স্বজনরা। পরে একই দিন সন্ধ্যায় এবি পজিটিভ রক্তের ডোনার এনে উপস্থিত করলে ল্যাব টেকনোলজিস্ট রক্ত সংগ্রহ করেন।

সন্ধ্যার পর রোগীর শরীরে এবি পজেটিভ রক্ত পুশ করে চিকিৎসক। এর পরপরই রোগীর নানা ধরনের উপসর্গসহ তীব্র যন্ত্রণায় কাতরাতে থাকেন। ফলে তাৎক্ষণিক চিকিৎসক রক্ত দেওয়া বন্ধ করে দেন। রোগীর এমন অবস্থা দেখে চিকিৎসক টাঙ্গাইল মেডিকেল কলেজে রেফার্ড করেন। সেখানেও চিকিৎসক রোগীর হিমোগ্লোবিন কম দেখে তাৎক্ষণিক রক্ত দেওয়ার জন্য স্বজনদের রক্তের ডোনার আনতে বলেন। এবি পজিটিভ রক্তের ডোনার সেখানে উপস্থিত করলে তাদের রক্ত ক্রস ম্যাচিংয়ে দেখা যায় রোগীর ও পজিটিভ রক্ত। এ সময় রোগীর রক্তের গ্রুপের রিপোর্ট দুই ধরনের পাওয়া এবং রোগীর শরীরে ভুল রক্ত পুশ করায় রোগীর মৃত্যুর আশঙ্কায় করছেন স্বজনরা।

স্বজনরা জানান, দুইটি সরকারি হাসপাতালে নানা অনিয়মে প্রশাসনের নেই কোনো নজরদারি। ভর্তির পর হাসপাতালের দায়িত্বপ্রাপ্ত চিকিৎসকরা রোগীকে ভুল রক্তের গ্রুপ শরীরে পুশ করে। এরপর অবস্থার অবনতি হলে তাৎক্ষণিক রোগীকে টাঙ্গাইল মেডিকেল কলেজে রেফার্ড করেন তারা।

টাঙ্গাইল মেডিকেল কলেজে ভর্তি অন্য রোগীর স্বজনরা বলেন, ‘একজন রোগীর জন্য জরুরীভাবে কোনো ডাক্তারের প্রয়োজন হলে খুঁজে পাওয়া যায় না। আসল ডাক্তার খুঁজতে গেলে আলো জ্বালিয়েও পাওয়া যায় না। ডাক্তারের কথা জিজ্ঞেস করলে ইন্টার্নি ডাক্তাররা বলেন, আমরাই আসল ডাক্তার। গুরুত্বপূর্ণ রোগীর ক্ষেত্রে আসল ডাক্তার প্রয়োজন।’

তারা আরো বলেন, ‘একটি হাসপাতালে গ্রাম গঞ্জের অসহায় রোগী ও সঙ্গে রোগীর স্বজনরা আসেন। তারা কিন্তু আসল আর নকল বুঝতে পারে না। এখানে যদি বাহির থেকেও এসে একজন ডাক্তার চিকিৎসা দেয় সেটিও বোঝা বড় দায়।’

সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ও প্রশাসনের প্রতি জোর দাবি জানিয়ে তারা বলেন, ‘আসল ডাক্তার যেন খুঁজে পায় রোগীরা।’

লিলি নামে রোগীর স্বজন বলেন, ‘২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের চেয়ে টাঙ্গাইল মেডিকেল কলেজের অবস্থা একদম লাজুক। এত বড় ভবন দিয়ে আমাদের যদি কাজেই না আসে, তাহলে এতো বড় ভবনের দরকার নেই। আমরা তো ছোট ভবনেই এতদিন চিকিৎসা নিয়েছি। এই ছোট ভবনে যদি ভালো চিকিৎসা হয় তাহলে বড় বড় ভবনের কি দরকার। এখানে রোগীদের কোনো খোঁজখবর রাখার মত ডাক্তার-নার্স পাওয়া যায় না। যাদের পাওয়া যায় তাদের ব্যবহার ভালো না। এদের কাছে দু-একবার গেলে অথবা কোনো ধরনের ঝামেলা নিয়ে কথা হলে, এদের দাপট মনে হয় মাস্তানভাব।’

রোগীর স্বজনরা বলছেন, ‘চিকিৎসক ভুল রিপোর্টের ভিত্তিতে অসাবধানতাবশত রোগীর শরীরে রক্ত পুশ করায় সারারাত জ্বর-ঠান্ডা, ঝাকুনি উঠে রোগীর খুবই খারাপ হয়েছিল। সন্ধ্যা ফেরিয়ে রাতে মনে হয়েছিল রোগী বুঝি আর ফিরবে না। এরপরে দ্রুত মেডিকেল কলেজে রেফার্ড করেন কর্তব্যরত চিকিৎসকরা। তবে আমরা বুঝতে পারি রোগীর ভুল রক্ত পুশ করায় রোগীর বেগতি অবস্থা।’

রোগীর ছেলে উজ্জল রানা বলেন, ‘রক্তদাতা ও রোগীর রক্তের ক্রস ম্যাচিংয়ে রোগীর ও পজেটিভ না হয়ে এবি পজেটিভ বলেছেন জেনারেল হাসপাতালের ল্যাব টেকনোলজিস্ট রঞ্জু। পরে রোগীর জরুরী রক্ত প্রয়োজন হওয়ায় এবি পজিটিভ রক্তদাতা এনে ক্রস ম্যাচিং করে রোগীকে এবি পজিটিভ রক্ত পুশ করা হয়।’

তিনি আরও বলেন, ‘পুশ করার প্রায় ৪০ মিনিটের মধ্যে রোগীর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। তাৎক্ষণিক চিকিৎসক রক্ত দেওয়া বন্ধ করে দেন। এরপর ডাক্তাররা মেডিকেল কলেজে রেফার করেন। সেখানে রক্ত দেওয়া লাগবে বলে রক্তের ডোনার আনতে বলেন। ডোনার এনে ক্রস ম্যাচিংয়ে জানতে পারি আমার বাবার রক্তের গ্রুপ ও পজিটিভ রয়েছে।’

উজ্জল রানা বলেন, ‘এ অবস্থায় রোগীর রক্তের গ্রুপ নিয়ে চিন্তায় পড়ি আমরা। এরপর নিশ্চিত হওয়ার জন্য মেডিনোভা হসপিটাল, এশিয়া ক্লিনিক, আল মোহনা হসপিটাল ও ক্লিনিকসহ আরো কয়েকটি ক্লিনিকে পরীক্ষা করা হলে সেখানে ও পজিটিভ রিপোর্ট দেয়। তবে ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতাল এবং মেডিনোভা ক্লিনিকে এবি পজেটিভ রিপোর্ট দেয়।’

ও পজিটিভ রক্তদাতা শামীম বলেন, ‘ও পজেটিভ রক্ত দেওয়ার জন্য ছুটে এসেছিলাম। ল্যাব টেকনোলজিস্ট রঞ্জু রোগীর সঙ্গে ক্রস ম্যাচিং করে বলেন রোগীর রক্তের গ্রুপ এবি পজিটিভ।’

মেডিনোভা ক্লিনিকের ল্যাব টেকনোলজিস্ট খায়রুজ্জামান বলেন, ‘আমি রক্তের গ্রুপ আবারো পরীক্ষা করে দেখবো। আসলে বিষয়টা কি সেটা পরে জানাবো।’

তবে এরপর থেকে তার সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।

২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের টেকনোলজিস্ট রঞ্জু বলেন, ‘আমি বারবার পরীক্ষা করেছি। রক্তের গ্রুপ এবি পজিটিভ এসেছে।’

টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. সাদেকুর রহমান বলেন, ‘আমাদের ভুলের দায় এড়ানো সম্ভব নয়। শুধুমাত্র একজন ব্যক্তির কারণে একটি প্রতিষ্ঠান বা হাসপাতালের দুর্নাম হতে পারে না। এটি সম্পূর্ণ টেকনোলজিস্টের ভুল। এর দায় টেকনোলজিস্টকেই নিতে হবে।’

উত্তরাধুনিক

Writer, Singer & Environmentalist

বৃদ্ধের রক্তের গ্রুপ ‘ও’ পজিটিভ, স্বাস্থ্যকর্মী পুশ করলেন ‘এবি’ পজিটিভ

আপডেট সময়: ০৬:৫৭:২২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২২ জুন ২০২৫

ভুক্তভোগী আব্দুর রউফ


ও পজিটিভ রক্ত বদলে এবি পজিটিভ রক্ত পুশ করায় তীব্র যন্ত্রণায় মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন আব্দুর রউফ নামের এক বৃদ্ধ। তবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলছে, অসাবধানতার কারণে ল্যাব টেকনোলজিস্ট এই ভুল করেছেন।

ভুক্তভোগী আব্দুর রউফ টাঙ্গাইলের দেলদুয়ার উপজেলার কৌপাখী গ্রামের মৃত আমজাদ হোসেনের ছেলে। তিনি হাড়ের রোগসহ বেশ কয়েকটি উপসর্গ নিয়ে গত ১৮ জুন টাঙ্গাইল ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি হন। ভর্তির দিন চিকিৎসক জরুরী ভিত্তিতে তাকে শরীরে রক্ত দেওয়ার জন্য স্বজনদের জানান। এরপর স্বজনরা ওই দিনেই ও পজিটিভ রক্তের ডোনার খুঁজে হাসপাতালের ব্লাড ব্যাংকে উপস্থিত করেন। ডোনার এবং রোগীর রক্ত ক্রস ম্যাচিং করে হাসপাতালের ল্যাব টেকনোলজিস্ট জানান রোগীর রক্তের গ্রুপ এবি পজিটিভ। তাৎক্ষণিক এবি পজিটিভ রক্তের ডোনার খুঁজেন স্বজনরা। পরে একই দিন সন্ধ্যায় এবি পজিটিভ রক্তের ডোনার এনে উপস্থিত করলে ল্যাব টেকনোলজিস্ট রক্ত সংগ্রহ করেন।

সন্ধ্যার পর রোগীর শরীরে এবি পজেটিভ রক্ত পুশ করে চিকিৎসক। এর পরপরই রোগীর নানা ধরনের উপসর্গসহ তীব্র যন্ত্রণায় কাতরাতে থাকেন। ফলে তাৎক্ষণিক চিকিৎসক রক্ত দেওয়া বন্ধ করে দেন। রোগীর এমন অবস্থা দেখে চিকিৎসক টাঙ্গাইল মেডিকেল কলেজে রেফার্ড করেন। সেখানেও চিকিৎসক রোগীর হিমোগ্লোবিন কম দেখে তাৎক্ষণিক রক্ত দেওয়ার জন্য স্বজনদের রক্তের ডোনার আনতে বলেন। এবি পজিটিভ রক্তের ডোনার সেখানে উপস্থিত করলে তাদের রক্ত ক্রস ম্যাচিংয়ে দেখা যায় রোগীর ও পজিটিভ রক্ত। এ সময় রোগীর রক্তের গ্রুপের রিপোর্ট দুই ধরনের পাওয়া এবং রোগীর শরীরে ভুল রক্ত পুশ করায় রোগীর মৃত্যুর আশঙ্কায় করছেন স্বজনরা।

স্বজনরা জানান, দুইটি সরকারি হাসপাতালে নানা অনিয়মে প্রশাসনের নেই কোনো নজরদারি। ভর্তির পর হাসপাতালের দায়িত্বপ্রাপ্ত চিকিৎসকরা রোগীকে ভুল রক্তের গ্রুপ শরীরে পুশ করে। এরপর অবস্থার অবনতি হলে তাৎক্ষণিক রোগীকে টাঙ্গাইল মেডিকেল কলেজে রেফার্ড করেন তারা।

টাঙ্গাইল মেডিকেল কলেজে ভর্তি অন্য রোগীর স্বজনরা বলেন, ‘একজন রোগীর জন্য জরুরীভাবে কোনো ডাক্তারের প্রয়োজন হলে খুঁজে পাওয়া যায় না। আসল ডাক্তার খুঁজতে গেলে আলো জ্বালিয়েও পাওয়া যায় না। ডাক্তারের কথা জিজ্ঞেস করলে ইন্টার্নি ডাক্তাররা বলেন, আমরাই আসল ডাক্তার। গুরুত্বপূর্ণ রোগীর ক্ষেত্রে আসল ডাক্তার প্রয়োজন।’

তারা আরো বলেন, ‘একটি হাসপাতালে গ্রাম গঞ্জের অসহায় রোগী ও সঙ্গে রোগীর স্বজনরা আসেন। তারা কিন্তু আসল আর নকল বুঝতে পারে না। এখানে যদি বাহির থেকেও এসে একজন ডাক্তার চিকিৎসা দেয় সেটিও বোঝা বড় দায়।’

সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ও প্রশাসনের প্রতি জোর দাবি জানিয়ে তারা বলেন, ‘আসল ডাক্তার যেন খুঁজে পায় রোগীরা।’

লিলি নামে রোগীর স্বজন বলেন, ‘২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের চেয়ে টাঙ্গাইল মেডিকেল কলেজের অবস্থা একদম লাজুক। এত বড় ভবন দিয়ে আমাদের যদি কাজেই না আসে, তাহলে এতো বড় ভবনের দরকার নেই। আমরা তো ছোট ভবনেই এতদিন চিকিৎসা নিয়েছি। এই ছোট ভবনে যদি ভালো চিকিৎসা হয় তাহলে বড় বড় ভবনের কি দরকার। এখানে রোগীদের কোনো খোঁজখবর রাখার মত ডাক্তার-নার্স পাওয়া যায় না। যাদের পাওয়া যায় তাদের ব্যবহার ভালো না। এদের কাছে দু-একবার গেলে অথবা কোনো ধরনের ঝামেলা নিয়ে কথা হলে, এদের দাপট মনে হয় মাস্তানভাব।’

রোগীর স্বজনরা বলছেন, ‘চিকিৎসক ভুল রিপোর্টের ভিত্তিতে অসাবধানতাবশত রোগীর শরীরে রক্ত পুশ করায় সারারাত জ্বর-ঠান্ডা, ঝাকুনি উঠে রোগীর খুবই খারাপ হয়েছিল। সন্ধ্যা ফেরিয়ে রাতে মনে হয়েছিল রোগী বুঝি আর ফিরবে না। এরপরে দ্রুত মেডিকেল কলেজে রেফার্ড করেন কর্তব্যরত চিকিৎসকরা। তবে আমরা বুঝতে পারি রোগীর ভুল রক্ত পুশ করায় রোগীর বেগতি অবস্থা।’

রোগীর ছেলে উজ্জল রানা বলেন, ‘রক্তদাতা ও রোগীর রক্তের ক্রস ম্যাচিংয়ে রোগীর ও পজেটিভ না হয়ে এবি পজেটিভ বলেছেন জেনারেল হাসপাতালের ল্যাব টেকনোলজিস্ট রঞ্জু। পরে রোগীর জরুরী রক্ত প্রয়োজন হওয়ায় এবি পজিটিভ রক্তদাতা এনে ক্রস ম্যাচিং করে রোগীকে এবি পজিটিভ রক্ত পুশ করা হয়।’

তিনি আরও বলেন, ‘পুশ করার প্রায় ৪০ মিনিটের মধ্যে রোগীর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। তাৎক্ষণিক চিকিৎসক রক্ত দেওয়া বন্ধ করে দেন। এরপর ডাক্তাররা মেডিকেল কলেজে রেফার করেন। সেখানে রক্ত দেওয়া লাগবে বলে রক্তের ডোনার আনতে বলেন। ডোনার এনে ক্রস ম্যাচিংয়ে জানতে পারি আমার বাবার রক্তের গ্রুপ ও পজিটিভ রয়েছে।’

উজ্জল রানা বলেন, ‘এ অবস্থায় রোগীর রক্তের গ্রুপ নিয়ে চিন্তায় পড়ি আমরা। এরপর নিশ্চিত হওয়ার জন্য মেডিনোভা হসপিটাল, এশিয়া ক্লিনিক, আল মোহনা হসপিটাল ও ক্লিনিকসহ আরো কয়েকটি ক্লিনিকে পরীক্ষা করা হলে সেখানে ও পজিটিভ রিপোর্ট দেয়। তবে ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতাল এবং মেডিনোভা ক্লিনিকে এবি পজেটিভ রিপোর্ট দেয়।’

ও পজিটিভ রক্তদাতা শামীম বলেন, ‘ও পজেটিভ রক্ত দেওয়ার জন্য ছুটে এসেছিলাম। ল্যাব টেকনোলজিস্ট রঞ্জু রোগীর সঙ্গে ক্রস ম্যাচিং করে বলেন রোগীর রক্তের গ্রুপ এবি পজিটিভ।’

মেডিনোভা ক্লিনিকের ল্যাব টেকনোলজিস্ট খায়রুজ্জামান বলেন, ‘আমি রক্তের গ্রুপ আবারো পরীক্ষা করে দেখবো। আসলে বিষয়টা কি সেটা পরে জানাবো।’

তবে এরপর থেকে তার সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।

২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের টেকনোলজিস্ট রঞ্জু বলেন, ‘আমি বারবার পরীক্ষা করেছি। রক্তের গ্রুপ এবি পজিটিভ এসেছে।’

টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. সাদেকুর রহমান বলেন, ‘আমাদের ভুলের দায় এড়ানো সম্ভব নয়। শুধুমাত্র একজন ব্যক্তির কারণে একটি প্রতিষ্ঠান বা হাসপাতালের দুর্নাম হতে পারে না। এটি সম্পূর্ণ টেকনোলজিস্টের ভুল। এর দায় টেকনোলজিস্টকেই নিতে হবে।’