০৬:২৬ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৭ জুন ২০২৫

ভয়ে বাংলায় কথা বলছেন না পশ্চিমবঙ্গের মানুষ

  • আপডেট সময়: ০৮:২৭:২৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ জুন ২০২৫
  • 2

ছবি: টেলিগ্রাফ ইন্ডিয়া


ভারতের অন্যান্য রাজ্যে কর্মরত পশ্চিমবঙ্গের বাঙালিরা ভয়ে বাংলা ভাষায় কথা বলছেন না। কারণ, বাংলা বললেই তাদের বাংলাদেশি হিসেবে সন্দেহ করে হেনস্তা করা হচ্ছে।

বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম দ্য টেলিগ্রাফ ইন্ডিয়া।

প্রতিবেদনে পশ্চিমবঙ্গের উত্তর দিনাজপুরের বাসিন্দা মোজাহের শেখ জানিয়েছেন, উত্তর দিনাজপুরের বিভিন্ন গ্রামের প্রায় ২৫০ জন মানুষ রাজস্থানে কাজ করেন। শুধুমাত্র বাংলা ভাষায় কথা বলার পর তাদের সবাইকে পুলিশ ৯ ঘণ্টা আটকে রেখেছিল। এরপর থেকেই তারা বাংলা ভাষায় কথা বলা বন্ধ করে দিয়েছেন। বাংলার বদলে হিন্দিতে কথা বলছেন তারা।

পশ্চিমবঙ্গের এই বাসিন্দা বলেন, ‘মঙ্গলবার আমাদের আটক করা হয়। আমরা বাংলা ভাষায় কথা বলি এ কারণে আমাদের কয়েক ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। এখন থেকে আমরা নিজেদের মধ্যে হিন্দিতে কথা বলছি। বিশেষ করে আমরা যেখানে কাজ করি। যেন মানুষ বুঝতে পারে আমরা বাংলাদেশি নয়, ভারতীয়।’

মোজাহের শেখ জানিয়েছেন, অন্যদিনের মতো গত মঙ্গলবার তারা কাজে যান। ওই সময় পুলিশ এসে তাদের অম্বেকর ভবন নামে একটি কমিউনিটি হলে নিয়ে যায়। সেখানে তাদের পরিচয় দিতে বলা হয়।

মোজাহের বলেন, ‘প্রথমে তারা আমাদের কড়া রোদে দাঁড় করিয়ে রাখে। এরপর হলের ভেতর ঠেলে নিয়ে যায়।’

হামিদুর রহমান নামে একজন বলেন, ‘আমরা আমাদের পরিচয় দিই। কিন্তু পুলিশ বলতে থাকে আমরা বাংলাদেশি। কারণ, আমরা শুধু বাংলায় কথা বলি। আমরা আতঙ্কিত হয়ে পড়েছিলাম আমাদেরও আবার বাংলাদেশে পুশ-ইন করা হয় কি না।’

এই ব্যক্তি জনানা, কয়েকদিন আগে তিন বাঙালিকে আলাদা রাজ্যে আটকের পর বিএসএফের হাতে তুলে দেওয়া হয়, যাদের বাংলাদেশি বলে বাংলাদেশে পুশ-ইন করা হয়। কিন্তু পরবর্তীতে যখন জানা যায় তারা ভারতীয়, তখন তাদের ফিরিয়ে আনা হয়।

 

উত্তরাধুনিক

Writer, Singer & Environmentalist

ভয়ে বাংলায় কথা বলছেন না পশ্চিমবঙ্গের মানুষ

আপডেট সময়: ০৮:২৭:২৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ জুন ২০২৫

ছবি: টেলিগ্রাফ ইন্ডিয়া


ভারতের অন্যান্য রাজ্যে কর্মরত পশ্চিমবঙ্গের বাঙালিরা ভয়ে বাংলা ভাষায় কথা বলছেন না। কারণ, বাংলা বললেই তাদের বাংলাদেশি হিসেবে সন্দেহ করে হেনস্তা করা হচ্ছে।

বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম দ্য টেলিগ্রাফ ইন্ডিয়া।

প্রতিবেদনে পশ্চিমবঙ্গের উত্তর দিনাজপুরের বাসিন্দা মোজাহের শেখ জানিয়েছেন, উত্তর দিনাজপুরের বিভিন্ন গ্রামের প্রায় ২৫০ জন মানুষ রাজস্থানে কাজ করেন। শুধুমাত্র বাংলা ভাষায় কথা বলার পর তাদের সবাইকে পুলিশ ৯ ঘণ্টা আটকে রেখেছিল। এরপর থেকেই তারা বাংলা ভাষায় কথা বলা বন্ধ করে দিয়েছেন। বাংলার বদলে হিন্দিতে কথা বলছেন তারা।

পশ্চিমবঙ্গের এই বাসিন্দা বলেন, ‘মঙ্গলবার আমাদের আটক করা হয়। আমরা বাংলা ভাষায় কথা বলি এ কারণে আমাদের কয়েক ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। এখন থেকে আমরা নিজেদের মধ্যে হিন্দিতে কথা বলছি। বিশেষ করে আমরা যেখানে কাজ করি। যেন মানুষ বুঝতে পারে আমরা বাংলাদেশি নয়, ভারতীয়।’

মোজাহের শেখ জানিয়েছেন, অন্যদিনের মতো গত মঙ্গলবার তারা কাজে যান। ওই সময় পুলিশ এসে তাদের অম্বেকর ভবন নামে একটি কমিউনিটি হলে নিয়ে যায়। সেখানে তাদের পরিচয় দিতে বলা হয়।

মোজাহের বলেন, ‘প্রথমে তারা আমাদের কড়া রোদে দাঁড় করিয়ে রাখে। এরপর হলের ভেতর ঠেলে নিয়ে যায়।’

হামিদুর রহমান নামে একজন বলেন, ‘আমরা আমাদের পরিচয় দিই। কিন্তু পুলিশ বলতে থাকে আমরা বাংলাদেশি। কারণ, আমরা শুধু বাংলায় কথা বলি। আমরা আতঙ্কিত হয়ে পড়েছিলাম আমাদেরও আবার বাংলাদেশে পুশ-ইন করা হয় কি না।’

এই ব্যক্তি জনানা, কয়েকদিন আগে তিন বাঙালিকে আলাদা রাজ্যে আটকের পর বিএসএফের হাতে তুলে দেওয়া হয়, যাদের বাংলাদেশি বলে বাংলাদেশে পুশ-ইন করা হয়। কিন্তু পরবর্তীতে যখন জানা যায় তারা ভারতীয়, তখন তাদের ফিরিয়ে আনা হয়।