০৬:৩৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৭ জুন ২০২৫

খিলক্ষেতে অস্থায়ী মণ্ডপ উচ্ছেদ: যা বললেন রেল উপদেষ্টা

  • আপডেট সময়: ০৮:৩০:৩৫ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৭ জুন ২০২৫
  • 2

রাজধানীর খিলক্ষেত এলাকায় রেলের জমিতে নির্মিত একটি অস্থায়ী পূজা মণ্ডপ সরিয়ে নেওয়া নিয়ে বিভিন্ন মাধ্যমে বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়ানোর চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছে রেল কর্তৃপক্ষ। এ বিষয়ে রেলপথ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) এক বিবৃতিতে বিস্তারিত ব্যাখ্যা প্রদান করেন।

তিনি বলেন, “গত বছর দুর্গাপূজার সময় কিছু ব্যক্তি পূর্বানুমতি ছাড়াই খিলক্ষেত এলাকায় রেলের জমিতে একটি অস্থায়ী পূজা মণ্ডপ নির্মাণ করে। পূজা শেষে মণ্ডপটি সরিয়ে নেওয়ার শর্তে তাদের পূজা অনুষ্ঠানের অনুমতি দেওয়া হয়েছিল।”

তবে পূজার আয়োজকরা প্রতিশ্রুতি সত্ত্বেও মণ্ডপ সরিয়ে নেননি। বরং সেখানে স্থায়ী মন্দির স্থাপনের চেষ্টা চালাতে থাকেন বলে অভিযোগ করেন উপদেষ্টা। তিনি বলেন, “বারবার তাদের সতর্ক করা হলেও তারা কর্ণপাত করেননি।”

রেলপথ মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়, জনসাধারণের সম্পত্তি রক্ষার স্বার্থে এবং অবৈধ দখল মুক্ত করার লক্ষ্যে সকল আইনি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে বৃহস্পতিবার অস্থায়ী মণ্ডপটি সরিয়ে ফেলা হয়।

রেল কর্তৃপক্ষ আরও জানায়, অভিযানে প্রথমে প্রায় শতাধিক দোকানপাট, রাজনৈতিক কার্যালয় ও কাঁচাবাজার সরানো হয়। সর্বশেষ সরানো হয় অস্থায়ী মন্দিরটি, যার প্রতিমা যথাযোগ্য ধর্মীয় মর্যাদার সঙ্গে বালু নদীতে বিসর্জন দেওয়া হয়।

এ প্রসঙ্গে রেল কর্তৃপক্ষ সকলকে বিভ্রান্তিকর ও উসকানিমূলক তথ্য ছড়ানো থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়েছে।

 

 

উত্তরাধুনিক

Writer, Singer & Environmentalist

খিলক্ষেতে অস্থায়ী মণ্ডপ উচ্ছেদ: যা বললেন রেল উপদেষ্টা

আপডেট সময়: ০৮:৩০:৩৫ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৭ জুন ২০২৫

রাজধানীর খিলক্ষেত এলাকায় রেলের জমিতে নির্মিত একটি অস্থায়ী পূজা মণ্ডপ সরিয়ে নেওয়া নিয়ে বিভিন্ন মাধ্যমে বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়ানোর চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছে রেল কর্তৃপক্ষ। এ বিষয়ে রেলপথ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) এক বিবৃতিতে বিস্তারিত ব্যাখ্যা প্রদান করেন।

তিনি বলেন, “গত বছর দুর্গাপূজার সময় কিছু ব্যক্তি পূর্বানুমতি ছাড়াই খিলক্ষেত এলাকায় রেলের জমিতে একটি অস্থায়ী পূজা মণ্ডপ নির্মাণ করে। পূজা শেষে মণ্ডপটি সরিয়ে নেওয়ার শর্তে তাদের পূজা অনুষ্ঠানের অনুমতি দেওয়া হয়েছিল।”

তবে পূজার আয়োজকরা প্রতিশ্রুতি সত্ত্বেও মণ্ডপ সরিয়ে নেননি। বরং সেখানে স্থায়ী মন্দির স্থাপনের চেষ্টা চালাতে থাকেন বলে অভিযোগ করেন উপদেষ্টা। তিনি বলেন, “বারবার তাদের সতর্ক করা হলেও তারা কর্ণপাত করেননি।”

রেলপথ মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়, জনসাধারণের সম্পত্তি রক্ষার স্বার্থে এবং অবৈধ দখল মুক্ত করার লক্ষ্যে সকল আইনি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে বৃহস্পতিবার অস্থায়ী মণ্ডপটি সরিয়ে ফেলা হয়।

রেল কর্তৃপক্ষ আরও জানায়, অভিযানে প্রথমে প্রায় শতাধিক দোকানপাট, রাজনৈতিক কার্যালয় ও কাঁচাবাজার সরানো হয়। সর্বশেষ সরানো হয় অস্থায়ী মন্দিরটি, যার প্রতিমা যথাযোগ্য ধর্মীয় মর্যাদার সঙ্গে বালু নদীতে বিসর্জন দেওয়া হয়।

এ প্রসঙ্গে রেল কর্তৃপক্ষ সকলকে বিভ্রান্তিকর ও উসকানিমূলক তথ্য ছড়ানো থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়েছে।