ছবিসূত্র: সোশ্যাল মিডিয়া থেকে
মিসরে সড়ক দুর্ঘটনায় ১৯ জন নিহত হয়েছে। শ্রমিক বহনকারী একটি মিনিবাসের সঙ্গে একটি ট্রাকের সংঘর্ষে এই হতাহতের ঘটনা ঘটে। নিহতদের বেশির ভাগই কিশোরী বলে স্থানীয় কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। রাজধানী কায়রোর উত্তরে মেনুফিয়ার আশমাউন শহরের একটি আঞ্চলিক সড়কে গতকাল শুক্রবার এ ঘটনা ঘটে।
ভোরে শ্রমিকরা তখন কাজে যাচ্ছিলেন।
রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন সংবাদপত্র আখবার আল-ইয়ুম অনুসারে, শ্রমিকদের তাদের নিজ গ্রাম কাফর আল-সানাবসা থেকে কর্মক্ষেত্রে নিয়ে যাওয়ার সময় মিনিবাসের সঙ্গে ট্রাকের সংঘর্ষ হয়। রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন দৈনিক আল-আহরামে প্রকাশিত নাম এবং বয়সের তালিকা অনুসারে, বেশির ভাগ শ্রমিক কিশোরী ছিল - যাদের মধ্যে দুজন মাত্র ১৪ বছর বয়সি।
সরকারি পরিসংখ্যান অনুসারে, মিসরে প্রায় ১.৩ মিলিয়ন অপ্রাপ্তবয়স্ক শিশুশ্রমে নিযুক্ত রয়েছে এবং প্রায়ই গ্রামাঞ্চলে অতিরিক্ত যাত্রীবোঝাই মিনিবাসে কাজে যাওয়া-আসা করে থাকে।
এতে প্রায়ই সড়ক দুর্ঘটনার কবলে পড়ে।
শুক্রবারের দুর্ঘটনায় মাত্র তিনজন বেঁচে গেছেন বলে মিসরের শ্রম মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে এবং তাদের জেনারেল আশমাউন হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে। মিসরের শ্রমমন্ত্রী মোহাম্মদ জেবরান কর্তৃপক্ষকে নিহতদের পরিবারকে ২ লাখ মিসরীয় পাউন্ড (প্রায় ৪ হাজার ডলার) পর্যন্ত ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। আহতদের প্রত্যেককে ২০ হাজার মিসরীয় পাউন্ড (৪০০ ডলার) দেওয়া হবে।
মেনুফিয়া প্রাদেশিক গভর্নর ইব্রাহিম আবু লেইমন বলেছেন, দুর্ঘটনার কারণ তদন্ত করা হবে। প্রাথমিক প্রতিবেদনে দেখা যাচ্ছে, অতিরিক্ত গতি এই দুর্ঘটনার মূল কারণ হতে পারে। আবু লেইমন দেশটির পরিবহন মন্ত্রণালয়কে আঞ্চলিক সড়কে নিরাপত্তাব্যবস্থা পুনর্মূল্যায়ন করার আহ্বান জানিয়েছেন। এপ্রিল মাসে, একই রাস্তায় দুটি গাড়ির সংঘর্ষে একই পরিবারের পাঁচজন সদস্য মারা যান।
প্রতিবছর মিসরে মারাত্মক সড়ক দুর্ঘটনায় হাজার হাজার মানুষ প্রাণ হারায়।
আল-আহরামের মতে, ২০২৩ সালের অক্টোবরে কায়রো-আলেকজান্দ্রিয়া মরুভূমির রাস্তায় একটি বাস এবং বেশ কয়েকটি গাড়ির মধ্যে একটি ভয়াবহ সংঘর্ষে ৩৫ জন নিহত হন, যাদের মধ্যে কমপক্ষে ১৮ জন অগ্নিদগ্ধ হন।
সূত্র: রয়টার্স