০৩:৫৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ০৯ জুলাই ২০২৫

এখনো জঙ্গিসহ ৭০০ বন্দি পলাতক

  • আপডেট সময়: ০৮:১১:২২ অপরাহ্ন, শনিবার, ৫ জুলাই ২০২৫
  • 8

সংগৃহীত ছবি


ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানের মুখে গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর দেশের বিভিন্ন কারাগার থেকে ২ হাজার ২৪০ বন্দি পালিয়েছিলেন। তাদের মধ্যে এখনো ৭০০ বন্দি পলাতক রয়েছেন।

আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পরদিন ২০২৪ সালের ৬ আগস্ট গাজীপুরের কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কারাগার থেকে পালিয়ে যান রাসেল। আট মাস পর গত ২৬ জুন ঝিনাইদহের মহেশপুরের জলিলপুর বাজারে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশের অ্যান্টি টেররিজম ইউনিট।

আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর রাসেলের মতো পালিয়ে যাওয়া ১ হাজার ৫২০ বন্দিকে কারাগারগুলোতে ফিরিয়ে আনা সম্ভব হয়েছে। ফিরিয়ে আনাদের মধ্যে ১ হাজার ১৩০ জনের জামিন হয়েছে। এখনো ৭২১ বন্দি পলাতক। এ ছাড়া দেশের পাঁচ কারাগার থেকে খোয়া যাওয়া ২০ আগ্নেয়াস্ত্র (চায়নিজ রাইফেল ও শটগান) এখনো উদ্ধার করা যায়নি।

জানতে চাইলে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর কর্মকর্তারা বলছেন, দুর্ধর্ষ বন্দিরা বাইরে থেকে নানা ধরনের অপরাধ সংঘটিত করতে পারেন, যা আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির কারণ হতে পারে।

কারা অধিদপ্তর সূত্র জানায়, গত বছরের ৫ আগস্ট জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকার পতনের আগে ও পরে দেশের কয়েকটি কারাগারে বন্দিরা বিশৃঙ্খলা করেন। এ সময় দেশের পাঁচ কারাগারে চরম বিশৃঙ্খলা ও বিদ্রোহ করে ২ হাজার ২৪০ বন্দি পালিয়ে যান। হামলাকারীরা কারাগার থেকে ৯৪টি শটগান ও চায়নিজ রাইফেল লুট করেন।

কাশিমপুর কেন্দ্রীয় হাই সিকিউরিটি কারাগার থেকে পালিয়ে যাওয়ার সময় ছয় বন্দি মারা যান। পলাতক বন্দিদের মধ্যে জঙ্গি, মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত, যাবজ্জীবন, বিভিন্ন মেয়াদে সাজা পাওয়াসহ বিচারাধীন মামলার আসামি রয়েছেন। তাঁদের মধ্যে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ও যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি ২০৩ জন। তাঁদের বিরুদ্ধে হত্যা, ডাকাতি, সন্ত্রাসবিরোধী আইন, অস্ত্র, মাদক, ধর্ষণ, নারী নির্যাতনসহ বিভিন্ন অভিযোগে মামলা রয়েছে।

কারা অধিদপ্তরের একজন শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী পলাতক বন্দিদের খুঁজে পাচ্ছে না।

ধারণা করা হয়েছে, তারা দেশ থেকে পালিয়ে গিয়ে থাকতে পারেন।

কারাগার সূত্র জানায়, গত বছরের ৫ আগস্ট সন্ধ্যায় দুর্বৃত্তরা প্রধান ফটক ভেঙে গাজীপুরের হাই সিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারে ঢুকে পড়ে। এ সময় তারা কারাগারের ভেতর তৃতীয় তলার একটি গুদাম ভবনে আগুন লাগিয়ে দেয়। তারা বন্দিদের ফাইলপত্র নষ্ট করে। হুড়োহুড়ি করে পালাতে গিয়ে ছয় বন্দি মারা যান। ওই কারাগার থেকে ২০২ জন বন্দি পালিয়ে যান। তাদের অধিকাংশ জঙ্গিবাদের ঘটনায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনের মামলায় কারাগারে ছিলেন।

কারাগারটির জ্যেষ্ঠ কারা তত্ত্বাবধায়ক মোহাম্মদ আবদুল্লাহ-আল-মামুন বলেন, পালিয়ে যাওয়া ৬৫ বন্দিকে এখন পর্যন্ত গ্রেপ্তার করেছে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। এখনো ১৩৭ বন্দি পলাতক।

 

উত্তরাধুনিক

Writer, Singer & Environmentalist

২৪ ঘণ্টার জন্য আবহাওয়া অধিদপ্তরের সতর্কবার্তা

এখনো জঙ্গিসহ ৭০০ বন্দি পলাতক

আপডেট সময়: ০৮:১১:২২ অপরাহ্ন, শনিবার, ৫ জুলাই ২০২৫

সংগৃহীত ছবি


ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানের মুখে গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর দেশের বিভিন্ন কারাগার থেকে ২ হাজার ২৪০ বন্দি পালিয়েছিলেন। তাদের মধ্যে এখনো ৭০০ বন্দি পলাতক রয়েছেন।

আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পরদিন ২০২৪ সালের ৬ আগস্ট গাজীপুরের কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কারাগার থেকে পালিয়ে যান রাসেল। আট মাস পর গত ২৬ জুন ঝিনাইদহের মহেশপুরের জলিলপুর বাজারে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশের অ্যান্টি টেররিজম ইউনিট।

আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর রাসেলের মতো পালিয়ে যাওয়া ১ হাজার ৫২০ বন্দিকে কারাগারগুলোতে ফিরিয়ে আনা সম্ভব হয়েছে। ফিরিয়ে আনাদের মধ্যে ১ হাজার ১৩০ জনের জামিন হয়েছে। এখনো ৭২১ বন্দি পলাতক। এ ছাড়া দেশের পাঁচ কারাগার থেকে খোয়া যাওয়া ২০ আগ্নেয়াস্ত্র (চায়নিজ রাইফেল ও শটগান) এখনো উদ্ধার করা যায়নি।

জানতে চাইলে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর কর্মকর্তারা বলছেন, দুর্ধর্ষ বন্দিরা বাইরে থেকে নানা ধরনের অপরাধ সংঘটিত করতে পারেন, যা আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির কারণ হতে পারে।

কারা অধিদপ্তর সূত্র জানায়, গত বছরের ৫ আগস্ট জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকার পতনের আগে ও পরে দেশের কয়েকটি কারাগারে বন্দিরা বিশৃঙ্খলা করেন। এ সময় দেশের পাঁচ কারাগারে চরম বিশৃঙ্খলা ও বিদ্রোহ করে ২ হাজার ২৪০ বন্দি পালিয়ে যান। হামলাকারীরা কারাগার থেকে ৯৪টি শটগান ও চায়নিজ রাইফেল লুট করেন।

কাশিমপুর কেন্দ্রীয় হাই সিকিউরিটি কারাগার থেকে পালিয়ে যাওয়ার সময় ছয় বন্দি মারা যান। পলাতক বন্দিদের মধ্যে জঙ্গি, মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত, যাবজ্জীবন, বিভিন্ন মেয়াদে সাজা পাওয়াসহ বিচারাধীন মামলার আসামি রয়েছেন। তাঁদের মধ্যে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ও যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি ২০৩ জন। তাঁদের বিরুদ্ধে হত্যা, ডাকাতি, সন্ত্রাসবিরোধী আইন, অস্ত্র, মাদক, ধর্ষণ, নারী নির্যাতনসহ বিভিন্ন অভিযোগে মামলা রয়েছে।

কারা অধিদপ্তরের একজন শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী পলাতক বন্দিদের খুঁজে পাচ্ছে না।

ধারণা করা হয়েছে, তারা দেশ থেকে পালিয়ে গিয়ে থাকতে পারেন।

কারাগার সূত্র জানায়, গত বছরের ৫ আগস্ট সন্ধ্যায় দুর্বৃত্তরা প্রধান ফটক ভেঙে গাজীপুরের হাই সিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারে ঢুকে পড়ে। এ সময় তারা কারাগারের ভেতর তৃতীয় তলার একটি গুদাম ভবনে আগুন লাগিয়ে দেয়। তারা বন্দিদের ফাইলপত্র নষ্ট করে। হুড়োহুড়ি করে পালাতে গিয়ে ছয় বন্দি মারা যান। ওই কারাগার থেকে ২০২ জন বন্দি পালিয়ে যান। তাদের অধিকাংশ জঙ্গিবাদের ঘটনায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনের মামলায় কারাগারে ছিলেন।

কারাগারটির জ্যেষ্ঠ কারা তত্ত্বাবধায়ক মোহাম্মদ আবদুল্লাহ-আল-মামুন বলেন, পালিয়ে যাওয়া ৬৫ বন্দিকে এখন পর্যন্ত গ্রেপ্তার করেছে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। এখনো ১৩৭ বন্দি পলাতক।