০৪:৪৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১২ জুলাই ২০২৫

ইয়েমেনের শক্তিশালী আকাশ প্রতিরক্ষা ইসরায়েলের জন্য বড় ধাক্কা

  • আপডেট সময়: ১১:২৩:৫২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১০ জুলাই ২০২৫
  • 3

সংগৃহীত ছবি


ইসরায়েলি বাহিনীর যুদ্ধবিমানগুলো চরম বিপর্যয়ের মুখে পড়ে যখন তারা ইয়েমেনের শক্তিশালী আকাশ প্রতিরক্ষার মুখোমুখি হয়। সম্প্রতি ইসরায়েলের আগ্রাসনের সময় ইয়েমেনের আনসারুল্লাহ নিজস্বভাবে তৈরি আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা প্রকাশ করেছে। এই ঘটনায় ইসরায়েল ও তাদের সামরিক বিশেষজ্ঞরা এক গুরুতর ধাক্কার মুখে পড়ে।

ইয়েমেনের ইসলামি প্রতিরোধ আন্দোলন সানা সরকারকে নেতৃত্ব দেয়।

তারা বহুবার ঘোষণা করেছে যে, তারা ফিলিস্তিনি জনগণের অধিকার ও স্বার্থ রক্ষায় কোনো আপস করবে না এবং ইসরায়েলি অপরাধ ও গণহত্যার বিরুদ্ধে দৃঢ়ভাবে অবস্থান নেবে। এই প্রেক্ষাপটে, ইয়েমেনি প্রতিরোধ আন্দোলন সম্প্রতি ইসরায়েলিদের বিরুদ্ধে ক্ষেপণাস্ত্র হামলার মাধ্যমে তাদের মাঝে বড় ধরনের নিরাপত্তাহীনতা সৃষ্টি করেছে।

আনসারুল্লাহ যোদ্ধারা রেড সি এবং বাব-এল-মান্দেব প্রণালীতে ইসরায়েলি স্বার্থসংশ্লিষ্ট জাহাজ চলাচলের বিরুদ্ধে অভিযান চালাচ্ছে। তারা ইয়েমেনি প্রতিরোধের জারি করা নিয়ম লঙ্ঘনকারী জাহাজগুলোকে লক্ষ্য করছে।

এই কৌশলের অংশ হিসেবে, আনসারুল্লাহ দখলকৃত ফিলিস্তিনের দক্ষিণ বন্দরগুলো অচল করে দিয়েছে এবং ক্ষেপণাস্ত্র হামলার মাধ্যমে ইসরায়েলি গুরুত্বপূর্ণ বিমানবন্দর, বিশেষত বেন গুরিয়ন বিমানবন্দরকে সংকটে ফেলেছে।

এদিকে, ইসরায়েল পাল্টা হামলা চালিয়ে ইয়েমেনের গুরুত্বপূর্ণ বন্দর যেমন হোদায়দা বন্দর, রাস ইসা এবং হোদায়দার বিদ্যুৎকেন্দ্র লক্ষ্যবস্তু করেছে।

উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো, এই হামলা ইসরায়েলের বহু যুদ্ধবিমান দিয়ে পরিচালিত হলেও, আনসারুল্লাহ যোদ্ধারা ইসরায়েলকে একটি বড় ধাক্কা দিয়েছে।

আনসারুল্লাহর সামরিক মুখপাত্র ইয়াহিয়া সারি জানান, ইসরায়েলি যুদ্ধবিমানগুলো ইয়েমেনের আকাশসীমায় প্রবেশের চেষ্টা করলে তারা ইয়েমেনি তৈরি আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার তীব্র বাধার মুখে পড়ে।

এতে বহু যুদ্ধবিমান ভীত হয়ে আকাশসীমা ছেড়ে দখলকৃত ফিলিস্তিনে ফিরে যায়।

এই ঘটনা প্রমাণ করে যে, ইসলামি প্রতিরোধ আন্দোলন শুধুমাত্র ক্ষেপণাস্ত্র ক্ষমতা বা স্থল ও নৌবাহিনী শক্তিশালী করতেই থেমে নেই, বরং তারা আকাশ প্রতিরক্ষার ক্ষেত্রেও সক্রিয়ভাবে কাজ করছে, যাতে ইয়েমেনের আকাশ ইসরায়েলি ও তাদের মিত্রদের জন্য অনিরাপদ হয়ে ওঠে।

এর আগেও পশ্চিমা গোয়েন্দা সংস্থাগুলো তাদের রিপোর্টে জানায়, ইয়েমেনিরা ভূগর্ভস্থ সুড়ঙ্গগুলোতে উন্নত অস্ত্র তৈরি করছে এবং তারা সম্পূর্ণ স্বনির্ভর। ফলে ইয়েমেনের এই নতুন চমক ইসরায়েলি দখলদারদের জন্য এমন এক সংকেত, যা বলে দেয় — অঞ্চলটিতে ইসরায়েলের কার্যক্ষমতা দিন দিন সীমিত হয়ে আসছে এবং তারা ক্রমাগত চাপে পড়ছে প্রতিরোধ অক্ষের কাছে। বৃহত্তর দৃষ্টিকোণ থেকে এটা ভবিষ্যতের রাজনৈতিক ও কৌশলগত সমীকরণ নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।


আরো পড়ুন

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে ৭ কিমি দীর্ঘ যানজট, ভোগান্তিতে যাত্রীরা

https://www.kalerkantho.com/online/country-news/2025/07/10/1544365


এই অঞ্চলের ঘটনাবলি ও চলমান পরিস্থিতি প্রমাণ করে, সামরিক শক্তি ও অস্ত্রশস্ত্র আজকের সময়ের অপরিহার্য উপাদান। যেকোনো দুর্বলতা এখানে বড় ধরনের ক্ষতির কারণ হতে পারে। ইয়েমেনের সাম্প্রতিক সক্ষমতা এবং প্রতিরোধের দৃঢ়তা স্পষ্ট করে দেয় যে, প্রতিরোধ অক্ষের হাতে এখনো অনেক শক্তিশালী ‘কার্ড’ রয়েছে যা এখনো খেলা হয়নি।

সূত্র: মেহের নিউজ

উত্তরাধুনিক

Writer, Singer & Environmentalist

ইয়েমেনের শক্তিশালী আকাশ প্রতিরক্ষা ইসরায়েলের জন্য বড় ধাক্কা

আপডেট সময়: ১১:২৩:৫২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১০ জুলাই ২০২৫

সংগৃহীত ছবি


ইসরায়েলি বাহিনীর যুদ্ধবিমানগুলো চরম বিপর্যয়ের মুখে পড়ে যখন তারা ইয়েমেনের শক্তিশালী আকাশ প্রতিরক্ষার মুখোমুখি হয়। সম্প্রতি ইসরায়েলের আগ্রাসনের সময় ইয়েমেনের আনসারুল্লাহ নিজস্বভাবে তৈরি আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা প্রকাশ করেছে। এই ঘটনায় ইসরায়েল ও তাদের সামরিক বিশেষজ্ঞরা এক গুরুতর ধাক্কার মুখে পড়ে।

ইয়েমেনের ইসলামি প্রতিরোধ আন্দোলন সানা সরকারকে নেতৃত্ব দেয়।

তারা বহুবার ঘোষণা করেছে যে, তারা ফিলিস্তিনি জনগণের অধিকার ও স্বার্থ রক্ষায় কোনো আপস করবে না এবং ইসরায়েলি অপরাধ ও গণহত্যার বিরুদ্ধে দৃঢ়ভাবে অবস্থান নেবে। এই প্রেক্ষাপটে, ইয়েমেনি প্রতিরোধ আন্দোলন সম্প্রতি ইসরায়েলিদের বিরুদ্ধে ক্ষেপণাস্ত্র হামলার মাধ্যমে তাদের মাঝে বড় ধরনের নিরাপত্তাহীনতা সৃষ্টি করেছে।

আনসারুল্লাহ যোদ্ধারা রেড সি এবং বাব-এল-মান্দেব প্রণালীতে ইসরায়েলি স্বার্থসংশ্লিষ্ট জাহাজ চলাচলের বিরুদ্ধে অভিযান চালাচ্ছে। তারা ইয়েমেনি প্রতিরোধের জারি করা নিয়ম লঙ্ঘনকারী জাহাজগুলোকে লক্ষ্য করছে।

এই কৌশলের অংশ হিসেবে, আনসারুল্লাহ দখলকৃত ফিলিস্তিনের দক্ষিণ বন্দরগুলো অচল করে দিয়েছে এবং ক্ষেপণাস্ত্র হামলার মাধ্যমে ইসরায়েলি গুরুত্বপূর্ণ বিমানবন্দর, বিশেষত বেন গুরিয়ন বিমানবন্দরকে সংকটে ফেলেছে।

এদিকে, ইসরায়েল পাল্টা হামলা চালিয়ে ইয়েমেনের গুরুত্বপূর্ণ বন্দর যেমন হোদায়দা বন্দর, রাস ইসা এবং হোদায়দার বিদ্যুৎকেন্দ্র লক্ষ্যবস্তু করেছে।

উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো, এই হামলা ইসরায়েলের বহু যুদ্ধবিমান দিয়ে পরিচালিত হলেও, আনসারুল্লাহ যোদ্ধারা ইসরায়েলকে একটি বড় ধাক্কা দিয়েছে।

আনসারুল্লাহর সামরিক মুখপাত্র ইয়াহিয়া সারি জানান, ইসরায়েলি যুদ্ধবিমানগুলো ইয়েমেনের আকাশসীমায় প্রবেশের চেষ্টা করলে তারা ইয়েমেনি তৈরি আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার তীব্র বাধার মুখে পড়ে।

এতে বহু যুদ্ধবিমান ভীত হয়ে আকাশসীমা ছেড়ে দখলকৃত ফিলিস্তিনে ফিরে যায়।

এই ঘটনা প্রমাণ করে যে, ইসলামি প্রতিরোধ আন্দোলন শুধুমাত্র ক্ষেপণাস্ত্র ক্ষমতা বা স্থল ও নৌবাহিনী শক্তিশালী করতেই থেমে নেই, বরং তারা আকাশ প্রতিরক্ষার ক্ষেত্রেও সক্রিয়ভাবে কাজ করছে, যাতে ইয়েমেনের আকাশ ইসরায়েলি ও তাদের মিত্রদের জন্য অনিরাপদ হয়ে ওঠে।

এর আগেও পশ্চিমা গোয়েন্দা সংস্থাগুলো তাদের রিপোর্টে জানায়, ইয়েমেনিরা ভূগর্ভস্থ সুড়ঙ্গগুলোতে উন্নত অস্ত্র তৈরি করছে এবং তারা সম্পূর্ণ স্বনির্ভর। ফলে ইয়েমেনের এই নতুন চমক ইসরায়েলি দখলদারদের জন্য এমন এক সংকেত, যা বলে দেয় — অঞ্চলটিতে ইসরায়েলের কার্যক্ষমতা দিন দিন সীমিত হয়ে আসছে এবং তারা ক্রমাগত চাপে পড়ছে প্রতিরোধ অক্ষের কাছে। বৃহত্তর দৃষ্টিকোণ থেকে এটা ভবিষ্যতের রাজনৈতিক ও কৌশলগত সমীকরণ নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।


আরো পড়ুন

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে ৭ কিমি দীর্ঘ যানজট, ভোগান্তিতে যাত্রীরা

https://www.kalerkantho.com/online/country-news/2025/07/10/1544365


এই অঞ্চলের ঘটনাবলি ও চলমান পরিস্থিতি প্রমাণ করে, সামরিক শক্তি ও অস্ত্রশস্ত্র আজকের সময়ের অপরিহার্য উপাদান। যেকোনো দুর্বলতা এখানে বড় ধরনের ক্ষতির কারণ হতে পারে। ইয়েমেনের সাম্প্রতিক সক্ষমতা এবং প্রতিরোধের দৃঢ়তা স্পষ্ট করে দেয় যে, প্রতিরোধ অক্ষের হাতে এখনো অনেক শক্তিশালী ‘কার্ড’ রয়েছে যা এখনো খেলা হয়নি।

সূত্র: মেহের নিউজ