দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ু সক্রিয় থাকায় এবং উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপ এবং দেশের উপকূলীয় অঞ্চলে ভারি থেকে অতিভারি বৃষ্টিপাতজনিত কারণে ঢাকা, চট্টগ্রাম, খুলনা ও বরিশাল অঞ্চলের কোথাও কোথাও অস্থায়ীভাবে জলাবদ্ধতা তৈরি হয়েছে। ফলে মাঠে বিদ্যমান বিভিন্ন ফসল (আউশ, আমন বীজতলা, বোনা আমন, পাট, শাকসবজি, ফলবাগান, পান, তরমুজ ইত্যাদি) পানিতে নিমজ্জিত হয়েছে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের পরিচালক সম্প্রসারণ উইং স্বাক্ষরিত প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, কুমিল্লা, চাঁদপুর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, নোয়াখালী, ফেনী, লক্ষ্মীপুর, খাগড়াছড়ি, পাবনা, খুলনা, বাগেরহাট, সাতক্ষীরা, নড়াইল, বরিশাল, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, পটুয়াখালি, বরগুনা, ভোলা ও শরীয়তপুরে মোট ৭২ হাজার ৭৬ হেক্টর জমির বিভিন্ন ফসল প্রাথমিকভাবে পানিতে নিমজ্জিত হয়েছে।
আউশ ৪৪ হাজার ৬৬২ হেক্টর, আমন বীজতলা ১৪ হাজার ৩৯৩ হেক্টর, পাট ১৩৫ হেক্টর, শাকসবজি ৯ হাজার ৬৭৩ হেক্টর, কলা ১১৪ হেক্টর, পেঁপে ২৯৩ হেক্টর, পান ৩৮৭ হেক্টর, বোনা আমন আবাদ ২৯৭ হেক্টর, মরিচ ১০৪ হেক্টর, গ্রীষ্মকালীন তরমুজ ২৮১ হেক্টরসহ মোট ৭২ হাজার ৭৬ হেক্টর জমির বিভিন্ন ফসল প্রাথমিকভাবে পানিতে নিমজ্জিত হয়েছে।
কুমিল্লা জেলার ১১ হাজার ৫৯০ হেক্টর জমির বিভিন্ন ফসল (আউশ, আমন, শাকসবজি, মরিচ, আখ) পানিতে নিমজ্জিত হয়েছে। নোয়াখালী জেলার ৭ হাজার ৮০৬ হেক্টর জমির বিভিন্ন ফসল (আউশ, আমন, শাকসবজি, মরিচ, তরমুজ) পানিতে নিমজ্জিত হয়েছে। ফেনী জেলার ১ হাজার ৬৫৫ হেক্টর জমির বিভিন্ন ফসল (আউশ, আমন, শাকসবজি, মরিচ) পানিতে নিমজ্জিত হয়েছে।
বৃষ্টিপাত হ্রাস পাওয়ায় ফসলসমূহের নিমজ্জিত থাকার হার ক্রমান্বয়ে কমছ।