
গত দুই দশক ধরে ইরানি জ্ঞানভিত্তিক কোম্পানিগুলো উল্লেখযোগ্য প্রচেষ্টা চালিয়ে আসছে। স্মার্ট কৃষি, পণ্য পরিবহন, সামুদ্রিক মিশন, সেইসঙ্গে উদ্ধার ও ত্রাণ কার্যক্রমসহ বেসামরিক উদ্দেশে বিভিন্ন ধরনের ড্রোন ডিজাইন, নির্মাণ এবং ব্যবহারে নজরকাড়া অবদান রাখছে এসব কোম্পানি।
সামরিক, নিরাপত্তা, শিল্প, কৃষি এবং পৌর পরিষেবার ক্ষেত্রে ড্রোন সবচেয়ে বুদ্ধিমান হাতিয়ারগুলির মধ্যে অন্যতম হয়ে উঠেছে। এই প্রযুক্তিটি অপারেশন পরিচালনা, তথ্য সংগ্রহ এবং ঝুঁকি হ্রাসে বিপ্লব এনেছে। জটিল মিশনগুলিকে দূর থেকে মানুষের উপস্থিতি ছাড়াই সম্পাদন করতে সক্ষম করেছে।
তেহরান টাইমসের খবরে বলা হয়, দেশে দূর-চালিত আকাশযান প্রযুক্তির দ্রুত অগ্রগতি অর্জন করেছে। ড্রোন সামরিক হাতিয়ার থেকে পুরোপুরি রূপান্তরিত হয়েছে। এখন কৃষি, ত্রাণ বিতরণ ও উদ্ধার অভিযান, ম্যাপিং এবং পরিবেশ সুরক্ষায় মূল খেলোয়াড় হিসাবে স্বীকৃত আকাশযানটি।
বর্তমানে, ইরান কেবল ড্রোন শিল্পে স্বনির্ভর নয় বরং ড্রোন প্রযুক্তির অগ্রভাগে থাকা দেশগুলির মধ্যে রয়েছে দেশটি।
জ্ঞানভিত্তিক কোম্পানিগুলো দেশটির বিশ্ববিদ্যালয় এবং বিজ্ঞান বিষয়ক ভাইস-প্রেসিডেন্সির সহযোগিতায় কৃষিতে ব্যবহারের জন্য নির্দিষ্ট ড্রোন তৈরি করতে সক্ষম হয়েছে। এই ড্রোনগুলি আকাশ থেকে ছবি তোলার সক্ষমতা দিয়ে ডিজাইন করা হয়েছে; এগুলি ক্ষেত পর্যবেক্ষণ, কীটপতঙ্গ সনাক্তকরণ, ইনফ্রারেড বর্ণালী দিয়ে উদ্ভিদের স্বাস্থ্য পরিমাপ, সেইসাথে মাটি এবং গাছপালার তাপমাত্রা, কৃষি জমির ম্যাপিং, কীটনাশক স্প্রে করা এবং এমনকি বীজ বপন করতে সক্ষম।
এই ড্রোনগুলিতে সাধারণত মাল্টিস্পেকট্রাল ক্যামেরা, নরমালাইজড ডিফারেন্স ভেজিটেবল ইনডেক্স (এনডিভিআই) সেন্সর, সুনির্দিষ্ট জিপিএস সিস্টেম এবং তরল স্প্রে করার জন্য ট্যাঙ্ক থাকে।
কৃষিতে ড্রোন ব্যবহারের প্রধান লক্ষ্য জমির উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি, পানি এবং কীটনাশক ব্যবহার কমিয়ে আনা, মানব খরচ কমানো এবং খামার ব্যবস্থাপনায় নির্ভুলতা বাড়ানো
ইরানে বেসামরিক উদ্দেশে ড্রোন ডিজাইন এবং নির্মাণে প্রায় ২২৫টি জ্ঞান-ভিত্তিক কোম্পানি কাজ করছে। এই কোম্পানিগুলির উৎপাদন এবং পরিচালনার জন্য সরকারি লাইসেন্স রয়েছে। কৃষি খাতে, স্টার্ট-আপ এবং প্রযুক্তি কোম্পানি সহ ৫ শতাধিক জ্ঞান-ভিত্তিক কোম্পানি বিভিন্ন কৃষি খাতে কাজ করছে। এরমধ্যে ১০টিরও বেশি কোম্পানি কৃষি ড্রোন তৈরি এবং সম্পর্কিত পরিষেবা প্রদানে বিশেষজ্ঞ। সূত্র: তেহরান টাইমস