০৪:৪৫ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১২ অগাস্ট ২০২৫

আ. লীগের কেন্দ্রীয় অফিস দখল, চলছে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার কাজ

  • আপডেট সময়: ০৪:০৯:১২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৪ জুলাই ২০২৫
  • 14

সংগৃহীত ছবি


‘আন্তর্জাতিক ফ্যাসিজম ও গণহত্যা গবেষণা ইনস্টিটিউট’ নামে দুটি ব্যানার টাঙিয়ে গুলিস্তানে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করার কাজ শুরু হয়েছে। প্রায় এক বছর পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে থাকার পর গতকাল বুধবার থেকে ১০ তলা এই ভবন পরিষ্কার করা শুরু হয়।

আজ বৃহস্পতিবার দেখা যায়, ভবনের তৃতীয় তলায় জমে থাকা ইটের খোয়া ও ময়লা-আবর্জনার স্তূপ পরিষ্কার করা হচ্ছে। দোতলায় জমে থাকা আবর্জনা ইতিমধ্যে পরিষ্কার করা হয়েছে।

এর আগে গতকাল সকাল থেকেই নিচতলা পরিষ্কার করা হয়। ১০ থেকে ১২ জন ব্যক্তি ভবনটি পরিষ্কারের কাজ করছেন। তারা বলেছেন, পুরো ভবন তারা পরিষ্কার করবেন। ভবনটির সামনে প্লাস্টিকের চেয়ারে বেশ কয়েকজন ব্যক্তিকে বসে থাকতে দেখা গেছে।


আরো পড়ুন

হত্যা মামলায় কারাগারে সাবেক প্রধান বিচারপতি এ বি এম খায়রুল হক

https://www.kalerkantho.com/online/Court/2025/07/24/1551893


আওয়ামী লীগের কার্যালয়ের সামনে ‘আন্তর্জাতিক ফ্যাসিজম ও গণহত্যা গবেষণা ইনস্টিটিউট’ নামের ব্যানার টানানোর বিষয়ে জানতে চাইলে সেখানে অবস্থানরত ব্যক্তিরা সাংবাদিকদের বলেন, পুরো ভবনটি পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করার পর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে যারা যুক্ত ছিলেন, তাদের হাতে তুলে দেওয়া হবে। এই ভবনে গত বছরের জুলাই-আগস্টের অভ্যুত্থানে আহত ব্যক্তিদের অফিস, শহীদ পরিবারের অফিস করা হবে।

ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে সরকারি জমি দখল করে এই ভবনটি তৈরি করা হয়েছিল, এমন দাবি করে তারা আরো বলেন, পুরো ভবনের কোন তলায় কী হবে, তা ছাত্র-জনতা ঠিক করে নেবে। সেখানে অবস্থানরত ব্যক্তিদের কেউ নিজেদের নাম-পরিচয় প্রকাশ করতে রাজি হননি।

এদিকে আন্তর্জাতিক ফ্যাসিজম ও গণহত্যা গবেষণা ইনস্টিটিউট নামের এই প্রতিষ্ঠান কে তৈরি করেছে, এর সঙ্গে কারা যুক্ত, কিভাবে এই নাম এসেছে—সেসব প্রশ্নে ওই ব্যক্তিরা কিছু বলতে রাজি হননি।

গুলিস্তান এলাকায় ১০ তলাবিশিষ্ট আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়টি ২০১৮ সালের ২৩ জুন উদ্বোধন করেছিলেন দলের সভাপতি ও তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ১০ কোটি টাকা ব্যয়ে সেখানে দৃষ্টিনন্দন ভবন নির্মাণ করা হয়েছিল। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে গত বছরের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর ভবনটিতে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়েছিল। এরপর আগস্ট মাসজুড়ে চলে লুটপাট।

 

উত্তরাধুনিক

Writer, Singer & Environmentalist

আ. লীগের কেন্দ্রীয় অফিস দখল, চলছে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার কাজ

আপডেট সময়: ০৪:০৯:১২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৪ জুলাই ২০২৫

সংগৃহীত ছবি


‘আন্তর্জাতিক ফ্যাসিজম ও গণহত্যা গবেষণা ইনস্টিটিউট’ নামে দুটি ব্যানার টাঙিয়ে গুলিস্তানে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করার কাজ শুরু হয়েছে। প্রায় এক বছর পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে থাকার পর গতকাল বুধবার থেকে ১০ তলা এই ভবন পরিষ্কার করা শুরু হয়।

আজ বৃহস্পতিবার দেখা যায়, ভবনের তৃতীয় তলায় জমে থাকা ইটের খোয়া ও ময়লা-আবর্জনার স্তূপ পরিষ্কার করা হচ্ছে। দোতলায় জমে থাকা আবর্জনা ইতিমধ্যে পরিষ্কার করা হয়েছে।

এর আগে গতকাল সকাল থেকেই নিচতলা পরিষ্কার করা হয়। ১০ থেকে ১২ জন ব্যক্তি ভবনটি পরিষ্কারের কাজ করছেন। তারা বলেছেন, পুরো ভবন তারা পরিষ্কার করবেন। ভবনটির সামনে প্লাস্টিকের চেয়ারে বেশ কয়েকজন ব্যক্তিকে বসে থাকতে দেখা গেছে।


আরো পড়ুন

হত্যা মামলায় কারাগারে সাবেক প্রধান বিচারপতি এ বি এম খায়রুল হক

https://www.kalerkantho.com/online/Court/2025/07/24/1551893


আওয়ামী লীগের কার্যালয়ের সামনে ‘আন্তর্জাতিক ফ্যাসিজম ও গণহত্যা গবেষণা ইনস্টিটিউট’ নামের ব্যানার টানানোর বিষয়ে জানতে চাইলে সেখানে অবস্থানরত ব্যক্তিরা সাংবাদিকদের বলেন, পুরো ভবনটি পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করার পর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে যারা যুক্ত ছিলেন, তাদের হাতে তুলে দেওয়া হবে। এই ভবনে গত বছরের জুলাই-আগস্টের অভ্যুত্থানে আহত ব্যক্তিদের অফিস, শহীদ পরিবারের অফিস করা হবে।

ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে সরকারি জমি দখল করে এই ভবনটি তৈরি করা হয়েছিল, এমন দাবি করে তারা আরো বলেন, পুরো ভবনের কোন তলায় কী হবে, তা ছাত্র-জনতা ঠিক করে নেবে। সেখানে অবস্থানরত ব্যক্তিদের কেউ নিজেদের নাম-পরিচয় প্রকাশ করতে রাজি হননি।

এদিকে আন্তর্জাতিক ফ্যাসিজম ও গণহত্যা গবেষণা ইনস্টিটিউট নামের এই প্রতিষ্ঠান কে তৈরি করেছে, এর সঙ্গে কারা যুক্ত, কিভাবে এই নাম এসেছে—সেসব প্রশ্নে ওই ব্যক্তিরা কিছু বলতে রাজি হননি।

গুলিস্তান এলাকায় ১০ তলাবিশিষ্ট আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়টি ২০১৮ সালের ২৩ জুন উদ্বোধন করেছিলেন দলের সভাপতি ও তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ১০ কোটি টাকা ব্যয়ে সেখানে দৃষ্টিনন্দন ভবন নির্মাণ করা হয়েছিল। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে গত বছরের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর ভবনটিতে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়েছিল। এরপর আগস্ট মাসজুড়ে চলে লুটপাট।