০২:৪৬ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১২ অগাস্ট ২০২৫

এক মাসে ৩২৪ ভুয়া তথ্য প্রচার: সিজিএসের প্রতিবেদন

  • আপডেট সময়: ০৭:২৪:০৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩০ জুলাই ২০২৫
  • 10

সংগৃহীত ছবি


চলতি বছর জুন মাসে ৩২৪টি মিথ্যা ও বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রচারের ঘটনা শনাক্ত করেছে সেন্টার ফর গভর্ন্যান্স স্টাডিজ (সিজিএস)। প্রতিষ্ঠানটির দাবি, বাংলাদেশে ভুয়া ও মিথ্যা তথ্যের ব্যবহার উদ্বেগজনক হারে বাড়ছে, যার অধিকাংশই রাজনৈতিক। রাজনৈতিক অনিশ্চয়তার প্রেক্ষাপটে জনমতকে প্রভাবিত করার একটি স্পষ্ট প্রচেষ্টার ইঙ্গিত দেয়।

বুধবার (৩০ জুলাই) সিজিএসের জুন মাসের ভুয়া তথ্য সংক্রান্ত প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

প্রতিবেদনের তথ্যমতে, প্রচারিত ওইসব ভুয়া তথ্যের মধ্যে রাজনৈতিক ভুয়া তথ্যের সংখ্যাই ছিল ২৫৩টি। ৩২৪টি ভুয়া তথ্যের মধ্যে বিনোদন-সংক্রান্ত বিভ্রান্তিমূলক তথ্যের সংখ্যা ছিল ২৪টি। এরপর ধর্মীয় ১৯টি, অনলাইন হোস্ট ১৮টি, কূটনৈতিক ৫টি, অর্থনৈতিক ৪টি এবং পরিবেশ-সংক্রান্ত ১টি ভুয়া তথ্য ছিল।

সিজিএস দাবি করে, বিভ্রান্তিকর ও মিথ্যা তথ্যের মূল লক্ষ্য ছিল রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বরা।

এর মধ্যে অন্তর্ভুক্ত আছেন দেশীয় ও আন্তর্জাতিক নেতারা। এসবের সংখ্যাই মোট ১২৪টি। মিথ্যা তথ্যের অন্যান্য লক্ষ্যগুলোর মধ্যে ছিল আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর ৪৮টি, সেলিব্রিটিদের ২৫টি, ধর্মীয়সংক্রান্ত ১৬টি, রাজনৈতিক দলের ১৩টি, সরকারি প্রতিষ্ঠান নিয়ে ১৬টি, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার নিয়ে ৬টি, বেসরকারি প্রতিষ্ঠান নিয়ে ২টি এবং ধর্মীয় ব্যক্তি নিয়ে ১টি। তবে ৭৩টি ঘটনা অনির্দিষ্ট হিসেবে শ্রেণিবদ্ধ করা হয়েছে, যেখানে ভুয়া তথ্য কোনো নির্দিষ্ট কাউকে লক্ষ্য করে করা হয়নি বরং সামগ্রিকভাবে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করার জন্য করা হয়েছে।

ভুয়া তথ্য ছড়ানোর মাধ্যম হিসেবে চিহ্নিত করা হয় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের বিভিন্ন প্ল্যাটফরমকে। ভুয়া ৩২৪টি তথ্য ছড়ানোর মধ্যে ৩১৬টি ঘটেছে ফেসবুক, ইউটিউব, টিকটক, থ্রেডস এবং এক্স (টুইটার)-এর মতো প্ল্যাটফরম থেকে। ৮টি ভুয়া তথ্য অনলাইন নিউজ পোর্টালে ছড়ানো হয়েছে।

সঠিক ডিজিটাল শিক্ষা ও গণমাধ্যম সচেতনতা বৃদ্ধির প্রয়োজনীয়তায় গুরুত্বারোপ করে বলা হয়, বাংলাদেশকে ভুয়া তথ্যরোধে ডিজিটাল সুশাসন গ্রহণ করতে হবে, বিভিন্ন ডিজিটাল প্ল্যাটফরমের মধ্যে সহযোগিতা বাড়াতে হবে এবং দেশব্যাপী গণমাধ্যম-সাক্ষরতার ওপর বিনিয়োগ করতে হবে জনগণকে সচেতন করার জন্য। সরকারি, বেসরকারি, প্রযুক্তিগত ও সামাজিক স্তরে সুসংগঠিত পদক্ষেপ ছাড়া ভুয়া তথ্যের অনিয়ন্ত্রিত প্রবাহ চলতে থাকবে, যা সাধারণ জনগণের আস্থা কমিয়ে দেবে।

ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের সুনামকে ক্ষতিগ্রস্ত করবে এবং দেশের গণতান্ত্রিক স্থিতিশীলতাকে দুর্বল করে তুলবে।

 

উত্তরাধুনিক

Writer, Singer & Environmentalist

এক মাসে ৩২৪ ভুয়া তথ্য প্রচার: সিজিএসের প্রতিবেদন

আপডেট সময়: ০৭:২৪:০৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩০ জুলাই ২০২৫

সংগৃহীত ছবি


চলতি বছর জুন মাসে ৩২৪টি মিথ্যা ও বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রচারের ঘটনা শনাক্ত করেছে সেন্টার ফর গভর্ন্যান্স স্টাডিজ (সিজিএস)। প্রতিষ্ঠানটির দাবি, বাংলাদেশে ভুয়া ও মিথ্যা তথ্যের ব্যবহার উদ্বেগজনক হারে বাড়ছে, যার অধিকাংশই রাজনৈতিক। রাজনৈতিক অনিশ্চয়তার প্রেক্ষাপটে জনমতকে প্রভাবিত করার একটি স্পষ্ট প্রচেষ্টার ইঙ্গিত দেয়।

বুধবার (৩০ জুলাই) সিজিএসের জুন মাসের ভুয়া তথ্য সংক্রান্ত প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

প্রতিবেদনের তথ্যমতে, প্রচারিত ওইসব ভুয়া তথ্যের মধ্যে রাজনৈতিক ভুয়া তথ্যের সংখ্যাই ছিল ২৫৩টি। ৩২৪টি ভুয়া তথ্যের মধ্যে বিনোদন-সংক্রান্ত বিভ্রান্তিমূলক তথ্যের সংখ্যা ছিল ২৪টি। এরপর ধর্মীয় ১৯টি, অনলাইন হোস্ট ১৮টি, কূটনৈতিক ৫টি, অর্থনৈতিক ৪টি এবং পরিবেশ-সংক্রান্ত ১টি ভুয়া তথ্য ছিল।

সিজিএস দাবি করে, বিভ্রান্তিকর ও মিথ্যা তথ্যের মূল লক্ষ্য ছিল রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বরা।

এর মধ্যে অন্তর্ভুক্ত আছেন দেশীয় ও আন্তর্জাতিক নেতারা। এসবের সংখ্যাই মোট ১২৪টি। মিথ্যা তথ্যের অন্যান্য লক্ষ্যগুলোর মধ্যে ছিল আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর ৪৮টি, সেলিব্রিটিদের ২৫টি, ধর্মীয়সংক্রান্ত ১৬টি, রাজনৈতিক দলের ১৩টি, সরকারি প্রতিষ্ঠান নিয়ে ১৬টি, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার নিয়ে ৬টি, বেসরকারি প্রতিষ্ঠান নিয়ে ২টি এবং ধর্মীয় ব্যক্তি নিয়ে ১টি। তবে ৭৩টি ঘটনা অনির্দিষ্ট হিসেবে শ্রেণিবদ্ধ করা হয়েছে, যেখানে ভুয়া তথ্য কোনো নির্দিষ্ট কাউকে লক্ষ্য করে করা হয়নি বরং সামগ্রিকভাবে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করার জন্য করা হয়েছে।

ভুয়া তথ্য ছড়ানোর মাধ্যম হিসেবে চিহ্নিত করা হয় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের বিভিন্ন প্ল্যাটফরমকে। ভুয়া ৩২৪টি তথ্য ছড়ানোর মধ্যে ৩১৬টি ঘটেছে ফেসবুক, ইউটিউব, টিকটক, থ্রেডস এবং এক্স (টুইটার)-এর মতো প্ল্যাটফরম থেকে। ৮টি ভুয়া তথ্য অনলাইন নিউজ পোর্টালে ছড়ানো হয়েছে।

সঠিক ডিজিটাল শিক্ষা ও গণমাধ্যম সচেতনতা বৃদ্ধির প্রয়োজনীয়তায় গুরুত্বারোপ করে বলা হয়, বাংলাদেশকে ভুয়া তথ্যরোধে ডিজিটাল সুশাসন গ্রহণ করতে হবে, বিভিন্ন ডিজিটাল প্ল্যাটফরমের মধ্যে সহযোগিতা বাড়াতে হবে এবং দেশব্যাপী গণমাধ্যম-সাক্ষরতার ওপর বিনিয়োগ করতে হবে জনগণকে সচেতন করার জন্য। সরকারি, বেসরকারি, প্রযুক্তিগত ও সামাজিক স্তরে সুসংগঠিত পদক্ষেপ ছাড়া ভুয়া তথ্যের অনিয়ন্ত্রিত প্রবাহ চলতে থাকবে, যা সাধারণ জনগণের আস্থা কমিয়ে দেবে।

ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের সুনামকে ক্ষতিগ্রস্ত করবে এবং দেশের গণতান্ত্রিক স্থিতিশীলতাকে দুর্বল করে তুলবে।