সম্প্রতি ইসরায়েল ১০৪টি মানবিক সাহায্যের ট্রাক গাজা উপত্যকায় প্রবেশের অনুমতি দিয়েছে, যার বেশিরভাগই তাদের তত্ত্বাবধানে লুট করা হয়েছে বলে জানিয়েছে গাজা সরকারি মিডিয়া অফিস। এতে উপত্যকায় তীব্র মানবিক সংকটের মধ্যে ত্রাণ বিতরণ ঘিরে নতুন করে বিশৃঙ্খলা দেখা দিয়েছে।
শুক্রবার (০১ আগস্ট) মিডিয়া অফিসের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘ইসরায়েল ২৯ জুলাই থেকে ট্রাকগুলির প্রবেশের অনুমতি দিয়েছিল কিন্তু দখলদারদের ইচ্ছাকৃতভাবে এবং পদ্ধতিগতভাবে পরিচালিত নিরাপত্তা বিশৃঙ্খলার কারণে এই ত্রাণ ট্রাকগুলোর বেশিরভাগই লুটপাট করা হয়েছিল।’
গাজার কর্মকর্তাদের দাবি, ইসরায়েলের প্রাথমিক লক্ষ্য হলো ত্রাণ বিতরণে ব্যাঘাত ঘটানো এবং বেসামরিক নাগরিকদের ত্রাণ সুবিধা থেকে বঞ্চিত করা।
বিবৃতিতে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, স্বাস্থ্য, পরিষেবা এবং খাদ্য খাতে গাজার ন্যূনতম প্রয়োজনীয়তা পূরণের জন্য প্রতিদিন কমপক্ষে ৬০০ ট্রাক ত্রাণ সামগ্রী এবং জ্বালানি প্রয়োজন।
গাজায় চলমান মানবিক বিপর্যয়ের জন্য ইসরায়েল এবং তার মিত্র দেশগুলোকে দায়ী করে বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, ইসরায়েল পাঁচ মাসেরও বেশি সময় ধরে সীমান্ত ক্রসিং বন্ধ রেখেছে, যার ফলে শিশুর ফর্মুলা, ওষুধ এবং মৌলিক খাদ্য সরবরাহের প্রবেশ বন্ধ রয়েছে।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের গণহত্যা যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে অপুষ্টি ও ক্ষুধার কারণে কমপক্ষে ১৬০ জন ফিলিস্তিনি মারা গেছেন, যার মধ্যে ৯১ জন শিশুও রয়েছে।
বিবৃতিতে গাজায় আরও বেশি ত্রাণ প্রবেশের অনুমতি দেওয়ার জন্য সীমান্ত ক্রসিংগুলো অবিলম্বে এবং সম্পূর্ণরূপে খুলে দিতে ইসরায়েলে ওপর চাপ দেওয়ার জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে আহ্বান জানিয়েছে মিডিয়া অফিস।
সূত্র: আনাদোলু