০২:৪৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৩ অগাস্ট ২০২৫

বাংলাদেশিদের ছাড়, ভারতীয়দের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ যুক্তরাজ্যের

  • আপডেট সময়: ০৭:৩৩:৪৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১২ অগাস্ট ২০২৫
  • 2

যুক্তরাজ্যে বসবাসকারীদের মধ্যে কয়েকটি দেশের নাগরিকদের কোনো অপরাধের পরিপ্রেক্ষিতে আটক করা হলে, তাদের আপিলের আগেই নির্বাসনের নিয়ম রয়েছে। এবার সেই সব দেশের তালিকায় ভারতকে অন্তর্ভুক্ত করেছে ব্রিটিশ সরকার। এই সংক্রান্ত ১৫টি দেশের নতুন তালিকায় যুক্ত হল ভারতের নামও। তবে এই তালিকায় বাংলাদেশ বা পাকিস্তানের মতো দক্ষিণ এশিয়ান দেশের নাম নেই।

এই নীতি অনুযায়ী, কোনো ভারতীয় নাগরিক যুক্তরাজ্যে অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হলে তার আপিল শোনার আগে তাকে প্রথমে নির্বাসিত করা হবে। অর্থাৎ, তার নির্বাসন সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল করে সেই ব্যক্তি নির্বাসন বিলম্বিত করতে পারবেন না এবং তিনি যুক্তরাজ্যে থাকতে পারবেন না।

ব্রিটিশ সরকার বলছে, কারাগারে উপচে পড়া ভিড় কমানো এবং অপরাধ সম্পর্কে জনসাধারণের উদ্বেগ কমানোই এই নীতির লক্ষ্য।

নীতিমালায় বলা হয়েছে, যদি কোনো অভিবাসী কোনো অপরাধে দোষী প্রমাণিত হয় তাহলে প্রথমে তাকে নির্বাসন করা হবে। তারপর সে আপিল করতে পারবে। এই উদ্যোগের অধীনে, নির্বাসিত ব্যক্তিকে ভিডিও লিঙ্কের মাধ্যমে ভারত থেকে তাদের নির্বাসনের বিরুদ্ধে যেকোনও আপিল শুনানিতে অংশ নিতে পারবে। তবে নির্বাসনের বিষয়টি বিবেচনা করার আগে সন্ত্রাসী, খুনি এবং যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের যুক্তরাজ্যতেই তাদের সাজা ভোগ করতে হবে।

এর আগে, মানবাধিকার আইনের অধীনে নির্বাসনের বিরুদ্ধে আবেদন করে সংশ্লিষ্ট দেশের অপরাধীরা বছরের পর বছর যুক্তরাজ্যে থাকতে পারত।

নতুন আইন অনুযায়ী, দোষী সাব্যস্ত হলে প্রবাসী ভারতীয়দের যুক্তরাজ্যে পুনরায় প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। তবে নিজ দেশে ফেরার পর তাদের জেলে পাঠানো হবে নাকি মুক্তি দেওয়া হবে, তা নির্ভর করবে সংশ্লিষ্ট দেশের ওপর।

প্রসঙ্গত, এতদিন আপিলের আগেই ৮টি দেশের অপরাধীদের নির্বাসিত করতে পারত যুক্তরাজ্য। এই দেশগুলো হল- ফিনল্যান্ড, নাইজেরিয়া, এস্তোনিয়া, আলবেনিয়া, বেলিজ, মরিশাস, তানজানিয়া এবং কসোভো।

সম্প্রসারিত নতুন তালিকায়- ভারত, বুলগেরিয়া, অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, অ্যাঙ্গোলা, বতসোয়ানা, ব্রুনেই, গায়ানা, ইন্দোনেশিয়া, কেনিয়া, লাটভিয়া, লেবানন, মালয়েশিয়া, উগান্ডা এবং জাম্বিয়াসহ ১৫টি দেশকে অর্ন্তভুক্ত করা হয়েছে। এতে বর্তমানে এই তালিকায় মোট ২৩টি দেশ আছে।

২০১৪ সালে কনজারভেটিভ পার্টির শাসনামলে এই প্রকল্প প্রথম চালু হয়। ২০২৩ সালে এটি পুনরায় বাস্তবায়ন করা হয়েছে।

সূত্র: হিন্দুস্তান টাইমস

 

উত্তরাধুনিক

Writer, Singer & Environmentalist

বাংলাদেশিদের ছাড়, ভারতীয়দের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ যুক্তরাজ্যের

আপডেট সময়: ০৭:৩৩:৪৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১২ অগাস্ট ২০২৫

যুক্তরাজ্যে বসবাসকারীদের মধ্যে কয়েকটি দেশের নাগরিকদের কোনো অপরাধের পরিপ্রেক্ষিতে আটক করা হলে, তাদের আপিলের আগেই নির্বাসনের নিয়ম রয়েছে। এবার সেই সব দেশের তালিকায় ভারতকে অন্তর্ভুক্ত করেছে ব্রিটিশ সরকার। এই সংক্রান্ত ১৫টি দেশের নতুন তালিকায় যুক্ত হল ভারতের নামও। তবে এই তালিকায় বাংলাদেশ বা পাকিস্তানের মতো দক্ষিণ এশিয়ান দেশের নাম নেই।

এই নীতি অনুযায়ী, কোনো ভারতীয় নাগরিক যুক্তরাজ্যে অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হলে তার আপিল শোনার আগে তাকে প্রথমে নির্বাসিত করা হবে। অর্থাৎ, তার নির্বাসন সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল করে সেই ব্যক্তি নির্বাসন বিলম্বিত করতে পারবেন না এবং তিনি যুক্তরাজ্যে থাকতে পারবেন না।

ব্রিটিশ সরকার বলছে, কারাগারে উপচে পড়া ভিড় কমানো এবং অপরাধ সম্পর্কে জনসাধারণের উদ্বেগ কমানোই এই নীতির লক্ষ্য।

নীতিমালায় বলা হয়েছে, যদি কোনো অভিবাসী কোনো অপরাধে দোষী প্রমাণিত হয় তাহলে প্রথমে তাকে নির্বাসন করা হবে। তারপর সে আপিল করতে পারবে। এই উদ্যোগের অধীনে, নির্বাসিত ব্যক্তিকে ভিডিও লিঙ্কের মাধ্যমে ভারত থেকে তাদের নির্বাসনের বিরুদ্ধে যেকোনও আপিল শুনানিতে অংশ নিতে পারবে। তবে নির্বাসনের বিষয়টি বিবেচনা করার আগে সন্ত্রাসী, খুনি এবং যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের যুক্তরাজ্যতেই তাদের সাজা ভোগ করতে হবে।

এর আগে, মানবাধিকার আইনের অধীনে নির্বাসনের বিরুদ্ধে আবেদন করে সংশ্লিষ্ট দেশের অপরাধীরা বছরের পর বছর যুক্তরাজ্যে থাকতে পারত।

নতুন আইন অনুযায়ী, দোষী সাব্যস্ত হলে প্রবাসী ভারতীয়দের যুক্তরাজ্যে পুনরায় প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। তবে নিজ দেশে ফেরার পর তাদের জেলে পাঠানো হবে নাকি মুক্তি দেওয়া হবে, তা নির্ভর করবে সংশ্লিষ্ট দেশের ওপর।

প্রসঙ্গত, এতদিন আপিলের আগেই ৮টি দেশের অপরাধীদের নির্বাসিত করতে পারত যুক্তরাজ্য। এই দেশগুলো হল- ফিনল্যান্ড, নাইজেরিয়া, এস্তোনিয়া, আলবেনিয়া, বেলিজ, মরিশাস, তানজানিয়া এবং কসোভো।

সম্প্রসারিত নতুন তালিকায়- ভারত, বুলগেরিয়া, অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, অ্যাঙ্গোলা, বতসোয়ানা, ব্রুনেই, গায়ানা, ইন্দোনেশিয়া, কেনিয়া, লাটভিয়া, লেবানন, মালয়েশিয়া, উগান্ডা এবং জাম্বিয়াসহ ১৫টি দেশকে অর্ন্তভুক্ত করা হয়েছে। এতে বর্তমানে এই তালিকায় মোট ২৩টি দেশ আছে।

২০১৪ সালে কনজারভেটিভ পার্টির শাসনামলে এই প্রকল্প প্রথম চালু হয়। ২০২৩ সালে এটি পুনরায় বাস্তবায়ন করা হয়েছে।

সূত্র: হিন্দুস্তান টাইমস