ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকা সম্পূর্ণ দখলের নেওয়ার প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর পরিকল্পনার অংশ হিসেবে গত তিনদিনে মধ্য গাজার জেইতুন এলাকার ৩০০ টিরও বেশি বাড়ি ধ্বংস করে দিয়েছে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী।
গাজার সিভিল ডিফেন্সের মুখপাত্র মাহমুদ বাসাল বলেছেন, ইসরায়েলি সেনাবাহিনী জেইতুনে বেসামরিক আবাসিক ভবনগুলোকে লক্ষ্য করে ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছে। বিশেষ করে পাঁচ তলা বা তার বেশি উচু ভবন লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে তারা এবং তাদের ব্যবহৃত শক্তিশালী বিস্ফোরকের কারণে এসব ভবনের আশেপাশের কাঠামোগুলোও ধ্বংস হয়ে গেছে।
তিনি উল্লেখ করেন, ইসরায়েলি বাহিনী কোনো পূর্ব সতর্কতা ছাড়াই এই ধ্বংসযজ্ঞ চালায়, এমনকি বেশকিছু ভবনের ভেতরে বাসিন্দারা থাকার পরও সেগুলোতে বোমা হামলা করা হয়, যার ফলে হতাহতের ঘটনা ঘটে। তবে তীব্র বোমাবর্ষণের ফলে উদ্ধারকারী দল তাদের কাছে পৌঁছাতে পারেনি।
প্রসঙ্গত, প্রায় দুই বছর ধরে ইসরায়েলি বর্বরোচিত হামলায় গাজার হাসপাতাল, স্কুল, শরণার্থী শিবির, মসজিদ, গির্জাসহ হাজার হাজার আবাসিক ভবন ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়ে গেছে, যা গত ৭৫ বছরে ফিলিস্তিনিদের জন্য সবচেয়ে মারাত্মক পরিস্থিতি হিসেবে চিহ্নিত করেছে।
জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক সংস্থা ইউএনআরডব্লিউএ জানিয়েছে, ইসরায়েলের চলমান হামলায় গাজা উপত্যকার ৯২ শতাংশ বাড়িঘর ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে।
গত ১৯ মে ইউএনআরডব্লিউএর অঙ্গসংগঠন প্রটেকশন ক্লাস্টার এক প্রতিবেদনে জানায়, গাজার ৯২ শতাংশ বাড়িঘর ক্ষতিগ্রস্ত বা পুরোপুরি গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। এতে গাজার পরিবারগুলো এক অকল্পনীয় ধ্বংসযজ্ঞের শিকার। অসংখ্য মানুষ বহুবার বাস্তুচ্যুত হয়েছে এবং সেখানে আশ্রয়কেন্দ্রের তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে। সংস্থাটি ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে ইসরায়েলের অবরোধ প্রত্যাহারের দাবি পুনর্ব্যক্ত করেছে।
সূত্র: আনাদোলু