সংগৃহীত ছবি
পরিবেশ সুরক্ষা ও আইন প্রয়োগে সারা দেশে একযোগে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করেছে পরিবেশ অধিদপ্তর, স্থানীয় প্রশাসন ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনী। বাংলাদেশ পরিবেশ সংরক্ষণ আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে নারায়ণগঞ্জ, রাজবাড়ী ও শরীয়তপুর জেলায় একযোগে ৩টি মোবাইল কোর্ট অভিযান পরিচালনা করে পরিবেশ অধিদপ্তর।
অভিযানে নিষিদ্ধ পলিথিন উৎপাদন, বিক্রয়, সরবরাহ ও বাজারজাতকরণের দায়ে ১১টি মামলায় মোট ৬ লাখ ২০ হাজার ২০০ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। পাশাপাশি ৩টি প্রতিষ্ঠানের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয় এবং ১৩ হাজার ২৬ কেজি অবৈধ পলিথিন জব্দ করা হয়।
অভিযানকালে কয়েকটি সুপারশপসহ বিভিন্ন দোকান মালিক ও সাধারণ জনগণকে নিষিদ্ধ পলিথিনের ক্ষতিকর প্রভাব সম্পর্কে সতর্ক করা হয় এবং সচেতনতামূলক লিফলেট বিতরণ করা হয়। পরিবেশ অধিদপ্তর জানিয়েছে, পরিবেশ সুরক্ষায় এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।
এ ছাড়া বাগেরহাট সদর উপজেলার ফুলবাড়ীতে সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. তানভীর ইসলাম ও আদনান জুলফিকারের নেতৃত্বে শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণে নিষিদ্ধ হাইড্রোলিক হর্নবিরোধী মোবাইল কোর্ট পরিচালিত হয়। এ সময় ২টি যানবাহন থেকে ৪টি হাইড্রোলিক হর্ন পাইপ জব্দ এবং ১৫০০ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।
এতে প্রসিকিউশন দেন পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক দেলোয়ার হোসেন।
আর লালমনিরহাট সদর উপজেলার লালমনিরহাট-রংপুর মহাসড়কে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মনোনীতা দাসের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমাণ আদালতে ৬টি যানবাহনের বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে ৩ হাজার টাকা জরিমানা আদায়, ১০টি হাইড্রোলিক হর্ন জব্দ ও ধ্বংস করা হয়। এতে প্রসিকিউশন দেন পরিদর্শক মো. গোলাম আসিফ রহমান।
অন্যদিকে, ১৩ আগস্ট বান্দরবানের লামা উপজেলার ফাইতং এলাকায় হাইকোর্টের নির্দেশে যৌথ অভিযানে এলাহি ব্রিকস ম্যানু. ও সেভেন ব্রিকস ম্যানু. নামের দুটি অবৈধ ইটভাটা গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়।
একইদিন কিশোরগঞ্জে ৩টি অবৈধ ইটভাটাও উচ্ছেদ করা হয়েছে।
পরিবেশ অধিদপ্তর জানিয়েছে, অবৈধ পলিথিন, শব্দদূষণ ও পরিবেশবিধি লঙ্ঘনের বিরুদ্ধে এসব অভিযান অব্যাহত থাকবে।