
সংগৃহীত ছবি
প্যানিক অ্যাটাক হলো হঠাৎ করে তীব্র ভয় বা উদ্বেগের অনুভূতি। যার ফলে শরীরে নানা রকম উপসর্গ দেখা দেয়—যেমন বুক ধড়ফড়, শ্বাসকষ্ট, মাথা ঘোরা ইত্যাদি। সাধারণত কোনো ভয়ের পরিস্থিতিতে বা মানসিক চাপে থাকলে এই সমস্যা দেখা দিতে পারে। এতে আক্রান্ত ব্যক্তি অনেক সময় নিজের উপর নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেন।
প্যানিক অ্যাটাকের সাধারণ লক্ষণ:
প্যানিক অ্যাটাক শুরু হওয়ার ১০ থেকে ২০ মিনিটের মধ্যে এই উপসর্গগুলো দেখা দিতে পারে। কখনও কখনও এটি এক ঘণ্টা বা তার বেশি সময়ও স্থায়ী হতে পারে।
১। হঠাৎ করে হৃদস্পন্দন বেড়ে যাওয়া, বুক ধড়ফড় করা
২।শ্বাস নিতে অসুবিধা, যেন দম আটকে যাচ্ছে
৩। মাথা ঘোরা, জ্ঞান হারানোর ভয়
৪। শরীর হঠাৎ ঠাণ্ডা বা গরম হয়ে যাওয়া
৫। শরীর কাঁপা, হাত-পায়ে ঝিনঝিন ভাব বা অসাড়তা
৬।মানসিক ভারসাম্য হারানোর মতো অনুভূতি
কী করবেন প্যানিক অ্যাটাক হলে?
১। যদি আশপাশে কেউ থাকেন, তাকে জানান বা সাহায্য চান।
২। এক জায়গায় বসে ধীরে ধীরে শ্বাস নেওয়ার চেষ্টা করুন।
৩।শান্ত থাকার চেষ্টা করুন, এবং মনে রাখুন এটি সাময়িক।
৪। যদি উপসর্গ বেশি সময় ধরে থাকে, দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
চিকিৎসা কিভাবে হয়?
প্যানিক অ্যাটাকের চিকিৎসা সাধারণত দুইভাবে হয়:
সাইকোথেরাপি:
– বিশেষ করে কগনিটিভ বিহেভিয়ার থেরাপি খুবই কার্যকর।
– এতে রোগীকে ধীরে ধীরে ভয় বা উদ্বেগের কারণের মুখোমুখি করানো হয়, যাতে মনের জোর বাড়ে।
ওষুধ:
– মানসিক ও শারীরিক অবস্থা অনুযায়ী কিছু অ্যান্টি-ডিপ্রেসেন্ট বা অ্যাংজাইটি কমানোর ওষুধ দেওয়া হয়।
– তবে চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া এই ওষুধ কখনওই খাওয়া উচিত নয়।
আরো কিছু গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ: নিয়মিত ঘুম, সুষম খাদ্য গ্রহণ, হালকা ব্যায়াম ও মেডিটেশন
এই অভ্যাসগুলো প্যানিক অ্যাটাক কমাতে ও মানসিক স্বাস্থ্যে সাহায্য করে। প্যানিক অ্যাটাক কোনো সাধারণ দুশ্চিন্তা নয়। একে অবহেলা করলে ভবিষ্যতে মানসিক জটিলতা বাড়তে পারে। তাই উপসর্গ দেখলে দেরি না করে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন। সময়মতো সঠিক চিকিৎসা নিলে পুরোপুরি সুস্থ হওয়া সম্ভব।
সূত্র: সংবাদ প্রতিদিন



























