
গাজা শহর সম্পূর্ণ দখলে ইসরায়েলের নতুন সামরিক অভিযানের মারাত্মক পরিণতি নিয়ে সতর্ক করেছেন জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস। তিনি বলেছেন, গাজায় ইসরায়েলের নতুন অভিযাানে অনিবার্যভাবে ব্যাপক মৃত্যু ও ধ্বংসযজ্ঞ ঘটবে। একই সঙ্গে গাজায় অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়েছেন জাতিসংঘ মহাসচিব।
বৃহস্পতিবার (২১ আগস্ট) জাপানের ইয়োকোহামা শহরে নবম টোকিও আন্তর্জাতিক আফ্রিকান উন্নয়ন সম্মেলনের ফাঁকে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
গুতেরেস বলেন, ‘গাজায় অবিলম্বে যুদ্ধবিরতিতে পৌঁছানো এবং সকল জিম্মিকে নিঃশর্ত মুক্তি দেওয়া এবং গাজা শহরের বিরুদ্ধে সামরিক অভিযান অনিবার্যভাবে যে বিশাল মৃত্যু ও ধ্বংসযজ্ঞ ঘটাবে তা এড়ানো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।’
তিনি আরও বলেন, ‘ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষের অবৈধ বসতি নির্মাণ সম্প্রসারণের সিদ্ধান্ত, যা পশ্চিম তীরকে বিভক্ত করবে, তা অবশ্যই বাতিল করতে হবে। সমস্ত বসতি নির্মাণ আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন।’
গত ৮ আগস্ট গাজা শহর দখলের নেওয়ার জন্য ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর পরিকল্পনায় অনুমোদন করেছে দেশটির নিরাপত্তা মন্ত্রিসভা। মঙ্গলবার গাজা শহর দখলের পরিকল্পনাও অনুমোদন করেছেন কাটজ। এরপরই পুরো গাজা দখলে অভিযান শুরু করে দখলদার ইসরায়েলি বাহিনী।
ইসরায়েলি সেনাবাহিনী এক বিবৃতিতে জানায়, প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাটজ ঘনবসতিপূর্ণ গাজার বিভিন্ন এলাকায় নতুন সামরিক অভিযান চালানোর অনুমোদন দিয়েছেন। এর অংশ হিসেবে গাজা সিটির চারপাশে ধাপে ধাপে ‘সুনির্দিষ্ট ও লক্ষ্যভিত্তিক’ অভিযান চালানো হবে। এরই মধ্যেই তারা গাজার সবচেয়ে বড় নগরকেন্দ্র গাজা সিটি দখলের লক্ষ্যে অভিযানের প্রথম ধাপ শুরু করেছে। এছাড়া পরিকল্পনার আওতায় ৬০ হাজার রিজার্ভ সৈন্যকে ডাকা হয়েছে।
নেতানিয়াহুর পরিকল্পনা অনুসারে, প্রায় ১০ লক্ষ ফিলিস্তিনিকে গাজার দক্ষিণে ঠেলে দেওয়া হবে এবং ভারী আক্রমণের পর শহরটি অবরোধ করা হবে এবং তারপর দখল করা হবে।
এদিকে যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স এবং ইউরোপের ২৭টি দেশের জোট ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) কঠোর সমালোচনার পাশাপাশি নেতানিয়াহুকে এই পরিকল্পনা স্থগিতের আহ্বান জানায়। কিন্তু এসব আহ্বানকে উপেক্ষা করে গাজায় ব্যাপক হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েলি বাহিনী।
সূত্র: আনাদোলু























