টপ অ্যান্ড টি-টোয়েন্টি সিরিজের সেমিফাইনালে ওঠার দৌড়ে আজ ছিল বাংলাদেশ ‘এ’ দলের জন্য বাঁচা-মরার লড়াই। প্রথম পাঁচ ম্যাচে দুটি জয় পাওয়া নুরুল হাসান সোহানের দলের সামনে সমীকরণ ছিল কঠিন—শুধু জয় নয়, তাকাতে হতো নেট রানরেটের দিকেও।
কিন্তু কোনো লক্ষ্যই পূরণ করতে পারেনি বাংলাদেশ। অ্যাডিলেড স্ট্রাইকার্স একাডেমির কাছে ৭ উইকেটে হেরে গ্রুপ পর্ব থেকেই বিদায় নিতে হয়েছে সোহানদের।
ডারউইনের মাঠে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশ ‘এ’ দল নির্ধারিত ২০ ওভারে ৪ উইকেটে তোলে ১৭৫ রান। শুরুতে দলকে ভালো সূচনা এনে দেন জিশান আলম। ৩৮ বলে ৫০ রানের ইনিংস খেলে দলকে এগিয়ে নেন তরুণ এই ওপেনার।
তবে তার সঙ্গী নাঈম শেখ ও সাইফ হাসান ছন্দ খুঁজে পাননি। ১৭ বলে ১৫ রান করে নাঈম ফিরলে তার পথেই হেঁটেছেন সাইফ, ১৯ বলে করেছেন মাত্র ১৫ রান। মাঝের এই মন্থর ব্যাটিং দলের গতি কিছুটা কমিয়ে দেয়।
তবে শেষের দিকে আফিফ হোসেন ও ইয়াসির আলির ঝড়ো ব্যাটিং রানের গতি ফেরায়। আফিফ ২৩ বলে ৪৯ রান করে অপরাজিত থাকেন, আর ইয়াসির ১৫ বলে করেন অপরাজিত ২৫ রান। এই দুজনের ব্যাটেই শেষ ৫ ওভারে আসে ৭০ রান, যা দলকে এনে দেয় লড়াকু পুঁজি।
১৭৬ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরু থেকেই বাংলাদেশি বোলারদের কোনো সুযোগই দেননি অ্যাডিলেডের ওপেনাররা। ম্যাকেঞ্জি হার্ভি ও জ্যাক উইন্টার প্রথম উইকেট জুটিতে গড়েন ১০০ রানের জুটি।
হার্ভি ছিলেন একেবারেই বিধ্বংসী রূপে—মাত্র ৫৩ বলে ১০২ রান করে অপরাজিত থাকেন তিনি। তাঁর ইনিংসে ছিল ছয়টি ছক্কা ও আটটি চার। উইন্টার করেছেন ৩৫ বলে ৩৫ রান। শেষ দিকে হ্যারি মেন্নাতি ১৪ বলে ২৫ রান করে জয় নিশ্চিত করেন।
বাংলাদেশের বোলারদের পক্ষে একমাত্র সাইফ কিছুটা লড়াই করেছেন, ২৮ রানে নেন ২ উইকেট। তবে বাকি বোলাররা ছিলেন অনুজ্জ্বল।
এই হারের ফলে টপ অ্যান্ড টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টের গ্রুপ পর্ব থেকেই বিদায় নিতে হলো বাংলাদেশ ‘এ’ দলকে। দুর্দান্ত শুরু, জিশান-আফিফদের ব্যাটিং ঝলক—সবই শেষ পর্যন্ত বিফলে গেল বোলিং ব্যর্থতায়। জয় না পাওয়া তো আছেই, নেট রানরেটের সমীকরণে তো যাওয়ার সুযোগই থাকল না।
এদিনের হারের মধ্য দিয়ে আবারও স্পষ্ট হয়ে উঠল—টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে শুধু রান তুললেই হবে না, বোলারদেরও দিতে হবে জয়ের ভিত। এই জায়গাতেই পিছিয়ে পড়ল বাংলাদেশ।