
চরকির জয়জয়কার। ব্লেন্ডারস চয়েস-দ্য ডেইলি স্টার ওটিটি ও ডিজিটাল কনটেন্ট অ্যাওয়ার্ডসের চতুর্থ আসরে ক্রিটিক ও পপুলার চয়েস বিভাগে কনটেন্ট ভিত্তিক ২৩টি ক্যাটাগরির মধ্যে চরকির অরিজিনাল কনটেন্ট এবং কনটেন্ট সংশ্লিষ্ট গুণী শিল্পীরা পেয়েছেন ১৭টি পুরস্কার।
ক্রিটিক চয়েস বিভাগে সেরা সিরিজ হয়েছে মোহাম্মদ তাওকীর ইসলাম পরিচালিত চরকি অরিজিনাল সিরিজ ’সিনপাট’। আর শিহাব শাহীন পরিচালিত চরকি অরিজিনাল ফিল্ম ’কাছের মানুষ দূরে থুইয়া পেয়েছে পপুলার চয়েস বিভাগের সেরা সিনেমার পুরস্কার।
এবারের আসরে ’সিনপাট’ পায় ১২টি মনোনয়ন। যার মধ্যে সেরা সিরিজসহ (ক্রিটিক) বেস্ট ডিরেক্টর (ক্রিটিক) মোহাম্মদ তাওকীর ইসলাম, বেস্ট অ্যাক্টর (ফিমেল) জিন্নাত আরা এবং বেস্ট সাউন্ড ডিজাইনার আদীপ সিং মানকি পুরস্কৃত হয়েছেন সিনপাট–এর জন্য।
চরকি অরিজিনাল সিনেমা ‘কাছের মানুষ দূরে থুইয়া’ পপুলার চয়েসে সেরা সিনেমাসহ পেয়েছে ৪টি পুরস্কার। সিনেমাটির ’মেঘ বালিকা’ গানের জন্য বেস্ট সিঙ্গার মাহতিম সাকিব ও নন্দিতা, বেস্ট মিউজিক কম্পোজার ইমন চৌধুরী এবং বেস্ট লিরিসিস্ট হয়েছেন সাদাত হোসাইন। সিনেমাটির মনোনয়ন ছিল ১৭টি।
সেরা সিরিজ (ক্রিটিক) ও সেরা সিনেমা (পপুলার)-এর পুরস্কার অর্জনের প্রতিক্রিয়ায় এর প্রযোজক ও চরকির সিইও রেদওয়ান রনি বলেন, ’প্রতিভা সারা বাংলাদেশেই ছড়িয়ে আছে। তাদের আইডেন্টিফাই করে তুলে আনাটা চরকির অন্যতম কাজ। ”সিনপাট”–এর ক্ষেত্রে আমরা সে কাজটাই করেছি। তরুণদের এই টিমটাকে অনেক অনেক সাধুবাদ। তারা দেখিয়ে দিয়েছে, যে কোনো জায়গায় থেকেই আন্তর্জাতিক মানের কাজ করা যায়। ”কাছের মানুষ দূরে থুইয়া” নির্মাণ করেছেন শিহাব শাহীন। তিনি পরীক্ষিত নির্মাতা। জীবনের আনন্দ–বেদনা খুব সুন্দর করে তুলে আনতে পারেন। এ সিনেমার ক্ষেত্রে সেটাই হয়েছে। দর্শকরা কানেক্ট করতে পেরেছেন এবং তারা খুবই পছন্দ করেছেন কাজটি। শিহাব শাহীন ও তার টিমকেও অনেক অনেক শুভকামনা।’
৭ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় বাংলাদেশ–চায়না ফ্রেন্ডশিপ কনফারেন্স সেন্টারে হয় ব্লেন্ডারস চয়েস-দ্য ডেইলি স্টার ওটিটি ও ডিজিটাল কনটেন্ট অ্যাওয়ার্ডসের চতুর্থ আসর। এবার সেরা অভিনেতার পুরস্কার (ক্রিটিক) উঠেছে এফএস নাঈম– এর হাতে। চরকি অরিজিনাল সিরিজ ’কালপুরুষ’–এ অভিনয়ের জন্য এ পুরস্কার পান তিনি। একই সিরিজের মেকআপ আর্টিস্ট রুবামা ফাইরুজ, এডিটিং সৈয়দ মেহবুব হুসাইন ও সালেহ সোবহান অনীম এবং আর্ট ডিরেক্টর শিহাব নুরুন নবী পেয়েছেন সেরার পুরস্কার।
চরকি অরিজিনাল সিরিজ ’আধুনিক বাংলা হোটেল’–এ অভিনয়ের জন্য পপুলার চয়েসে সেরা অভিনেতার পুরস্কার পেয়েছেন মোশাররফ করিম। পুরস্কার হাতে নিয়ে তিনি বলেন, ’গল্প শুনে এত ভালো লেগেছিল যে কোনো কিছু চিন্তা না করে কাজটি শুরু করে দেই। সিরিজটি করার পর্যাপ্ত টাকাও ছিল না। পরে এর সঙ্গে যুক্ত হয় চরকি। মুক্তির পর দর্শকরা অনেক পছন্দ করেন কাজটি। ধন্যবাদ দর্শকদের।’
’আধুনিক বাংলা হোটেল’ সিরিজের জন্য বেস্ট ব্যাকগ্রাউন্ড স্কোর–এর পুরস্কার উঠেছে জাহিদ নিরব– এর হাতে। নিজের প্রথম সিরিজেই সেরা চিত্রনাট্যকার (ক্রিটিক)–এর পুরস্কার জিতে নিয়েছেন কাজী আসাদ। সিরিজটির পরিচালকও তিনি।
চরকি অরিজিনাল সিরিজ ’টিকিট’ এর জন্য বেস্ট কস্টিউম ডিজাইনারের (ক্রিটিক) পুরস্কার জিতেছেন জান্নাত মৌরি। চরকি অরিজিনাল ফিল্ম ’ফরগেট মি নট’ এর জন্য বেস্ট সিনেমাটোগ্রাফারের (ক্রিটিক) পুরস্কার পেয়েছেন ইশতিয়াক হোসেন।
২০২৪ সালে প্রকাশ পাওয়া কনটেন্ট নির্মাতা, প্ল্যাটফর্ম এবং এসব কনটেন্টের সঙ্গে যুক্ত গুণী মানুষদের স্বীকৃতি দিতেই অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে ব্লেন্ডারস চয়েস-দ্য ডেইলি স্টার ওটিটি ও ডিজিটাল কনটেন্ট অ্যাওয়ার্ডস। এবারের আসরে মোট ২৭টি বিভাগে পুরস্কার দেয়া হয়। ঢাকাই সিনেমার সুপারস্টার শাকিব খানকে তার ক্যারিয়ারের ২৫ বছর পূর্তি উপলক্ষে জানানো হয় বিশেষ সম্মাননা। আর ’উৎসব’ সিনেমার সাফল্যকে সম্মান জানিয়ে দেওয়া হয় স্পেশাল মেনশন অ্যাওয়ার্ড। ’উৎসব’ সিনেমার সহ–প্রযোজক হিসেবে আছে চরকি।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন ইস্পাহানি গ্রুপের পরিচালক মির্জা আহমেদ ইস্পাহানি এবং দ্য ডেইলি স্টারের সম্পাদক ও প্রকাশক মাহফুজ আনাম। আয়োজনে উপস্থিত ছিলেন ইস্পাহানি গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মির্জা শাকির ইস্পাহানি, পরিচালক ইমাদ ইস্পাহানি, জাহিদা ইস্পাহানি ও ইস্পাহানি টি লিমিটেডের পরিচালক আখতার মাতিন চৌধুরী। উপস্থিত ছিলেন তেহসিন চৌধুরী ইস্পাহানি । তারা বিজয়ীদের অভিনন্দন জানান এবং বাংলাদেশের বিনোদন খাত ভবিষ্যতে আরও উচ্চতায় পৌঁছাবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
অনুষ্ঠানটি আরও প্রাণবন্ত হয়ে ওঠে উপস্থাপক ও পারফর্মারদের অংশগ্রহণে। তারকাদের আগমনের সময় লালগালিচায় প্রিয়ন্তী উর্বি ও পার্থ শেখের অভ্যর্থনা বাড়তি মাত্রা যোগ করে। অনুষ্ঠানের প্রথম পর্ব সঞ্চালনা করেন নাজিবা বাসার ও ইরফান সাজ্জাদ এবং দ্বিতীয় পর্ব উপস্থাপনা করেন রাফসান সাবাব ও আফসান আরা বিন্দু।
চমকপ্রদ পরিবেশনায় মঞ্চ আলোকিত করে রাখেন তারকারা। পারসা ইভানা ও আলিফিয়া স্কোয়াডের নৃত্য পরিবেশনায় শুরু হওয়া জমকালো আয়োজন সবাইকে প্রাণবন্ত করে তোলে। এরপর মন্দিরা চক্রবর্তী ও সাবিলা নূর তাদের মনোমুগ্ধকর নৃত্যে মোহিত করেন দর্শকদের। সঙ্গে ছিল জেফারের পরিবেশনা।























