০৫:১৩ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ নভেম্বর ২০২৫

ভোটের জন্য জোরেশোরে প্রস্তুতি চলছে: সিইসি

  • আপডেট সময়: ১২:০৬:৫১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • 31

সংগৃহীত ছবি


প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন বলেছেন, বিদ্যমান সংবিধান ও গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) অনুযায়ী ফেব্রুয়ারির ভোটের জন্য অপেক্ষায় রয়েছি। রোজার আগে ভোটের জন্য জোরেশোরে চূড়ান্ত প্রস্তুতি চলছে, ভোটের দিনের দুই মাস আগে তফসিল ঘোষণা হবে। ভোটের আগে সব গোলমাল ঠাণ্ডা হয়ে যাবে এবং লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি করা হবে সর্বশক্তি দিয়ে।

বৃহস্পতিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) আগারগাঁওস্থ নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।

এ সময় তিনি বলেন, ‘প্রবাসী বাংলাদেশিদের অনেকের সঙ্গে কথা হলো, তারা বলছে ইসির ওপর কনফিডেন্স রি-স্টোর করেন। আমাদের ওপর অনাস্থার ভাব রয়েছে। আমাদের কর্মকাণ্ড সম্পর্কে ধারণা দিয়েছি। সুষ্ঠু, সুন্দর ও অংশগ্রহণমূলক করতে ইসির উদ্যোগ, আইন সংস্কার বিষয়ে জানিয়েছি। প্রবাসী বাংলাদেশিরা খুবই সন্তুষ্ট।’

তিনি আরো বলেন, ‘পোস্টাল ভোটিং অনেক সহজভাবে ডেলিভার করতে পারব। আশা করি, টরেন্টো, অটোয়ায় সবার আগ্রহ দেখেছি। সরকারও সহযোগিতা করছে।

প্রবাসীরা এবার ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবেন।’

বিভিন্ন দেশে প্রবাসীদের সঙ্গে আলোচনা করা গেলেও মধ্যপ্রাচ্যের প্রবাসীদের একসঙ্গে আলোচনার তাগিদও এসেছে।

এ প্রসঙ্গ টেনে সিইসি বলেন, ‘অর্ধেক প্রবাসী মধ্যপ্রাচ্যে রয়েছে। কিন্তু সবাইকে একজায়গায় এনে কথা বলা সহজ নয়। এখানে নানা ধরনের সীমাবদ্ধতা রয়েছে।

আমেরিকা, জাপান, কানাডায় সহজ হচ্ছে। কিন্তু মধ্যপ্রাচ্যে নানা কারণে একসঙ্গে এনে প্রচার কাজ সহজ হচ্ছে না।’

সিইসি বলেন, ‘কাজ দ্রুত চলছে। টার্গেট ছিল এ মাসে করে ফেলতে পারব। বিভিন্ন দল নানা অভিযোগ নিয়ে আসছে। আমাদের কিছ অতিরিক্ত ইনফরমেশন কালেক্ট করতে হচ্ছে। নিশ্চিত হতে হচ্ছে, তারা সঠিকভাবে দিয়েছে কিনা তথ্য। এ জন্য সময় লাগছে।’

তিনি জানান, ‘পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দিতে হবে। প্রাথমিকভাবে বিজ্ঞপ্তি দিলেও চূড়ান্ত নয়। কারো আপত্তি, অভিযোগ এলে তা নিষ্পত্তি করতে হবে। এরপর চূড়ান্ত হবে।’

তিনি বলেন, ‘এনসিপি শাপলা চেয়েছে, এটা নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। অথচ শপলা চেয়েছিল নাগরিক ঐক্য, তারা প্রথম চেয়েছিল। তখন আলোচনায় আনেনি। এখন কেন এত আলোচনা? নাগরিক ঐক্যকে শাপলা দিইনি আমরা। সচিব এ বিষয়ে বলেছেন, আর বলতে চাই না।’

নির্বাচনী প্রতীকের চূড়ান্ত তালিকা বুধবার জারি হয়েছে। বিকল্প প্রতীক চেয়ে আবেদনের জন্য ইসি সচিব জানালেও এনসিপি ফের শাপলা প্রতীক চেয়ে আবেদন করে।

এ বিষয়ে সিইসি বলেন, ‘চিঠি নিয়ে কমিশনে বসে সিদ্ধান্ত নেব। একা সিদ্ধান্ত নেব না। আমাদের কমিশনের সভায় আলোচনার পর পরবর্তী কাযক্রম সম্পর্কে সিদ্ধান্ত নেব। কমিশন সভার আলোচনার পর কথা হবে।’

এনসিপির প্রসঙ্গ টেনে তিনি জানান, ‘যে কোনো দল চিঠি দিতে পারে। অভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেওয়া দল এনসিপি। চিঠি দেওয়ায় অসুবিধা নেই। দল তো দেবেই। রাজনীতিবিদরা দেশের স্বার্থে সব কিছু একামোডেট করেন। চিঠি বিবেচনা করব, কী করা যায় দেখা যাক।’

উত্তরাধুনিক

Writer, Singer & Environmentalist

ভ্যাঙ্কি আংটি: ঐশ্বরিয়ার হাতের এই আংটি কখনও খোলেন না, জানেন এর পেছনের গল্প?

ভোটের জন্য জোরেশোরে প্রস্তুতি চলছে: সিইসি

আপডেট সময়: ১২:০৬:৫১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫

সংগৃহীত ছবি


প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন বলেছেন, বিদ্যমান সংবিধান ও গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) অনুযায়ী ফেব্রুয়ারির ভোটের জন্য অপেক্ষায় রয়েছি। রোজার আগে ভোটের জন্য জোরেশোরে চূড়ান্ত প্রস্তুতি চলছে, ভোটের দিনের দুই মাস আগে তফসিল ঘোষণা হবে। ভোটের আগে সব গোলমাল ঠাণ্ডা হয়ে যাবে এবং লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি করা হবে সর্বশক্তি দিয়ে।

বৃহস্পতিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) আগারগাঁওস্থ নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।

এ সময় তিনি বলেন, ‘প্রবাসী বাংলাদেশিদের অনেকের সঙ্গে কথা হলো, তারা বলছে ইসির ওপর কনফিডেন্স রি-স্টোর করেন। আমাদের ওপর অনাস্থার ভাব রয়েছে। আমাদের কর্মকাণ্ড সম্পর্কে ধারণা দিয়েছি। সুষ্ঠু, সুন্দর ও অংশগ্রহণমূলক করতে ইসির উদ্যোগ, আইন সংস্কার বিষয়ে জানিয়েছি। প্রবাসী বাংলাদেশিরা খুবই সন্তুষ্ট।’

তিনি আরো বলেন, ‘পোস্টাল ভোটিং অনেক সহজভাবে ডেলিভার করতে পারব। আশা করি, টরেন্টো, অটোয়ায় সবার আগ্রহ দেখেছি। সরকারও সহযোগিতা করছে।

প্রবাসীরা এবার ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবেন।’

বিভিন্ন দেশে প্রবাসীদের সঙ্গে আলোচনা করা গেলেও মধ্যপ্রাচ্যের প্রবাসীদের একসঙ্গে আলোচনার তাগিদও এসেছে।

এ প্রসঙ্গ টেনে সিইসি বলেন, ‘অর্ধেক প্রবাসী মধ্যপ্রাচ্যে রয়েছে। কিন্তু সবাইকে একজায়গায় এনে কথা বলা সহজ নয়। এখানে নানা ধরনের সীমাবদ্ধতা রয়েছে।

আমেরিকা, জাপান, কানাডায় সহজ হচ্ছে। কিন্তু মধ্যপ্রাচ্যে নানা কারণে একসঙ্গে এনে প্রচার কাজ সহজ হচ্ছে না।’

সিইসি বলেন, ‘কাজ দ্রুত চলছে। টার্গেট ছিল এ মাসে করে ফেলতে পারব। বিভিন্ন দল নানা অভিযোগ নিয়ে আসছে। আমাদের কিছ অতিরিক্ত ইনফরমেশন কালেক্ট করতে হচ্ছে। নিশ্চিত হতে হচ্ছে, তারা সঠিকভাবে দিয়েছে কিনা তথ্য। এ জন্য সময় লাগছে।’

তিনি জানান, ‘পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দিতে হবে। প্রাথমিকভাবে বিজ্ঞপ্তি দিলেও চূড়ান্ত নয়। কারো আপত্তি, অভিযোগ এলে তা নিষ্পত্তি করতে হবে। এরপর চূড়ান্ত হবে।’

তিনি বলেন, ‘এনসিপি শাপলা চেয়েছে, এটা নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। অথচ শপলা চেয়েছিল নাগরিক ঐক্য, তারা প্রথম চেয়েছিল। তখন আলোচনায় আনেনি। এখন কেন এত আলোচনা? নাগরিক ঐক্যকে শাপলা দিইনি আমরা। সচিব এ বিষয়ে বলেছেন, আর বলতে চাই না।’

নির্বাচনী প্রতীকের চূড়ান্ত তালিকা বুধবার জারি হয়েছে। বিকল্প প্রতীক চেয়ে আবেদনের জন্য ইসি সচিব জানালেও এনসিপি ফের শাপলা প্রতীক চেয়ে আবেদন করে।

এ বিষয়ে সিইসি বলেন, ‘চিঠি নিয়ে কমিশনে বসে সিদ্ধান্ত নেব। একা সিদ্ধান্ত নেব না। আমাদের কমিশনের সভায় আলোচনার পর পরবর্তী কাযক্রম সম্পর্কে সিদ্ধান্ত নেব। কমিশন সভার আলোচনার পর কথা হবে।’

এনসিপির প্রসঙ্গ টেনে তিনি জানান, ‘যে কোনো দল চিঠি দিতে পারে। অভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেওয়া দল এনসিপি। চিঠি দেওয়ায় অসুবিধা নেই। দল তো দেবেই। রাজনীতিবিদরা দেশের স্বার্থে সব কিছু একামোডেট করেন। চিঠি বিবেচনা করব, কী করা যায় দেখা যাক।’