০৫:১১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ নভেম্বর ২০২৫

ইকুয়েডরের কারাগারে প্রতিদ্বন্দ্বী গ্যাংয়ের সঙ্গে সংঘর্ষ, নিহত ১৭

  • আপডেট সময়: ১২:০৮:৫৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • 19

ছবিসূত্র: এএফপি


ইকুয়েডরের উপকূলীয় শহর এসমেরালদাসে একটি কারাগারে প্রতিদ্বন্দ্বী গ্যাংগুলোর মধ্যে সংঘর্ষে অন্তত ১৭ জন নিহত হয়েছে। দেশটির জাতীয় পুলিশ এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে।

পুলিশ জানায়, সংগঠিত অপরাধীগোষ্ঠী ‘লস টিগুয়েরোনেস’-এর নির্দেশে ‘লস লোবোস’, ‘লস চোনেরোস’ এবং টিগুয়েরোনেস গোষ্ঠীর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট নয় এমন কয়েকজন বন্দিকে হত্যার উদ্দেশ্যে এ হামলার ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষের পর কারাগারের কেন্দ্রীয় অংশে নিরাপত্তা অভিযান চালানো হয়।

তবে উদ্ধার অভিযান চলমান থাকায় মৃতের সংখ্যা আরো বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

কর্নেল উইলিয়াম ফাবিয়ান কাল্লে জানান, মাচালা কারাগারের দুটি সেল ব্লক একটি অপরাধীগোষ্ঠীর নিয়ন্ত্রণে ছিল। সেখান থেকেই হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে। প্রশ্ন থেকে যায়, বন্দিদের কিভাবে অন্য সেলে স্থানান্তর করা হলো, যেখানে একাধিক নিরাপত্তা স্তর থাকার কথা।

প্রাথমিক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, একদল বন্দি হামলার মাধ্যমে কারাগারের চাবি ছিনিয়ে নেয়। এরপর তারা বাইরের কক্ষে থাকা অন্য বন্দিদের ওপর হামলা চালায়। ইকুয়েডরের জাতীয় কারা সংস্থা এক বিবৃতিতে জানায়, ঘটনার তদন্ত চলছে এবং শিগগিরই বিস্তারিত জানানো হবে।

এদিকে ঘটনার তিন দিন আগে দেশটির এল ওরো প্রদেশের মাচালা কারাগারে আরেকটি হামলায় ১৪ জন বন্দি নিহত হয়।

সেখানে গুলিবিদ্ধ হয়ে একজন কারারক্ষীও নিহত হন।

২০২১ সাল থেকে এ পর্যন্ত ইকুয়েডরের বিভিন্ন কারাগারে সহিংসতায় ৫০০-এর বেশি বন্দি নিহত হয়েছে। দেশটিতে চলমান অভ্যন্তরীণ সশস্ত্র সংঘাত পরিস্থিতির মধ্যেই এসব ঘটনা ঘটছে। ২০২৪ সালের জানুয়ারি থেকে দেশজুড়ে সামরিক ও পুলিশ মোতায়েন সত্ত্বেও কারাগারের সহিংসতা কমছে না।

সূত্র : সিএনএন

 

 

 

উত্তরাধুনিক

Writer, Singer & Environmentalist

ভ্যাঙ্কি আংটি: ঐশ্বরিয়ার হাতের এই আংটি কখনও খোলেন না, জানেন এর পেছনের গল্প?

ইকুয়েডরের কারাগারে প্রতিদ্বন্দ্বী গ্যাংয়ের সঙ্গে সংঘর্ষ, নিহত ১৭

আপডেট সময়: ১২:০৮:৫৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫

ছবিসূত্র: এএফপি


ইকুয়েডরের উপকূলীয় শহর এসমেরালদাসে একটি কারাগারে প্রতিদ্বন্দ্বী গ্যাংগুলোর মধ্যে সংঘর্ষে অন্তত ১৭ জন নিহত হয়েছে। দেশটির জাতীয় পুলিশ এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে।

পুলিশ জানায়, সংগঠিত অপরাধীগোষ্ঠী ‘লস টিগুয়েরোনেস’-এর নির্দেশে ‘লস লোবোস’, ‘লস চোনেরোস’ এবং টিগুয়েরোনেস গোষ্ঠীর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট নয় এমন কয়েকজন বন্দিকে হত্যার উদ্দেশ্যে এ হামলার ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষের পর কারাগারের কেন্দ্রীয় অংশে নিরাপত্তা অভিযান চালানো হয়।

তবে উদ্ধার অভিযান চলমান থাকায় মৃতের সংখ্যা আরো বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

কর্নেল উইলিয়াম ফাবিয়ান কাল্লে জানান, মাচালা কারাগারের দুটি সেল ব্লক একটি অপরাধীগোষ্ঠীর নিয়ন্ত্রণে ছিল। সেখান থেকেই হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে। প্রশ্ন থেকে যায়, বন্দিদের কিভাবে অন্য সেলে স্থানান্তর করা হলো, যেখানে একাধিক নিরাপত্তা স্তর থাকার কথা।

প্রাথমিক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, একদল বন্দি হামলার মাধ্যমে কারাগারের চাবি ছিনিয়ে নেয়। এরপর তারা বাইরের কক্ষে থাকা অন্য বন্দিদের ওপর হামলা চালায়। ইকুয়েডরের জাতীয় কারা সংস্থা এক বিবৃতিতে জানায়, ঘটনার তদন্ত চলছে এবং শিগগিরই বিস্তারিত জানানো হবে।

এদিকে ঘটনার তিন দিন আগে দেশটির এল ওরো প্রদেশের মাচালা কারাগারে আরেকটি হামলায় ১৪ জন বন্দি নিহত হয়।

সেখানে গুলিবিদ্ধ হয়ে একজন কারারক্ষীও নিহত হন।

২০২১ সাল থেকে এ পর্যন্ত ইকুয়েডরের বিভিন্ন কারাগারে সহিংসতায় ৫০০-এর বেশি বন্দি নিহত হয়েছে। দেশটিতে চলমান অভ্যন্তরীণ সশস্ত্র সংঘাত পরিস্থিতির মধ্যেই এসব ঘটনা ঘটছে। ২০২৪ সালের জানুয়ারি থেকে দেশজুড়ে সামরিক ও পুলিশ মোতায়েন সত্ত্বেও কারাগারের সহিংসতা কমছে না।

সূত্র : সিএনএন