
ফিলিস্তিনি স্বাধীনতা সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস ও দখলদার ইসরায়েল যুদ্ধবিরতির প্রথম ধাপে সম্মত হওয়ার পর গাজার সাধারণ মানুষের মধ্যে কিছুতা স্বস্তি ফিরে এসেছে। তবে দুই বছরের ধ্বংসযজ্ঞের পর শুরু হতে যাওয়া এই যুদ্ধবিরতিতে করণীয় নিয়ে আরব ও ইউরোপীয় দেশগুলোর একটি বৈঠকের আয়োজন করেছেন ফ্রান্স।
বৃহস্পতিবার ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসে স্থানীয় সময় বিকেল ৫টায় এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। এতে যোগ দেবেন পাঁচটি গুরুত্বপূর্ণ আরব রাষ্ট্র- সৌদি আরব, কাতার, মিশর, জর্ডান এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের শীর্ষ কূটনীতিকরা।
অন্যদিকে থাকবেন ফ্রান্স, ইতালি, জার্মানি, স্পেন এবং যুক্তরাজ্যে, তুরস্ক এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিনিধিরা। তবে ইসরায়েল বা হামাসের কোনো প্রতিনিধিরা এতে যোগ দেবেন না।
ফ্রান্সের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, এই বৈঠকে শান্তি পরিকল্পনা বাস্তবায়ন এবং যুদ্ধ পরবর্তী গাজার পুনর্গঠন এবং সম্ভাব্য রাজনৈতিক সমাধানে সম্মিলিত প্রচেষ্টার একটি রোডম্যাপ তৈরির বিষয়ে আলোচনা করবেন নেতারা।
এদিকে এই বৈঠককে ‘ইসরায়েলের পিঠের পিছনে ছুরি মারার মতো’ উল্লেখ্য করে ক্ষোভ প্রকাশ জানিয়েছেন ইসরায়েলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী গিদিওন সার।
তিনি আরও বলেন, ‘ইসরায়েলের প্রতি প্রকাশ্য শত্রুতাপূর্ণ দেশগুলোকে…ইসরায়েলের বিষয় নিয়ে আলোচনা করার জন্য আমন্ত্রণ জানানো বিশেষভাবে আপত্তিকর।’
প্রসঙ্গত, আজ বৃহস্পতিবার ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকা নিয়ন্ত্রণকারী রাজনৈতিক গোষ্ঠী হামাস যুদ্ধবিরতি প্রস্তাব সংক্রান্ত চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছে। যুদ্ধবিরতির এই প্রথম দফার স্থায়িত্ব হবে ৬ সপ্তাহ। এই ছয় সপ্তাহে নিজেদের হাতে থাকা সব জিম্মিকে মুক্তি দেবে হামাস। এর পরিবর্তে ইসরায়েল গাজায় সামরিক অভিযান বন্ধ, ইসরায়েলের কারাগারে বন্দি ফিলিস্তিনিদের মুক্তি এবং গাজা থেকে পর্যায়ক্রমে সেনা প্রত্যাহার করে নেবে।
চুক্তি স্বাক্ষরের সম্ভাবনার খবর প্রকাশিত হওয়ার পর বুধবার রাতেই আনন্দ মিছিল বের করেন গাজার দক্ষিণাঞলীয় শহর খান ইউনিসের বাসিন্দারা। কিশোর তরুণরা বাঁশি-খঞ্জনি-ড্রাম বাজিয়ে, নেচে গেয়ে উল্লাস শুরু করেন। কেউ খুশিতে কাঁদছেন-হাততালি দিচ্ছেন, কেউ বাঁশি বাজাচ্ছেন, কেউ গান গাইছেন-নাচানাচি করছেন এবং চিৎকার করে বলছেন ‘আল্লাহু আকবর’।
সূত্র: বিবিসি, আলজাজিরা























