
শান্তিচুক্তির শর্ত মেনে ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে সদ্য যুদ্ধবিরতি শুরু হয়েছে। তার মধ্যেই একে অপরের বিরুদ্ধে নতুন করে শর্ত ভাঙার অভিযোগ তুলল উভয় পক্ষ।
শান্তিচুক্তির প্রথম ধাপে জিম্মিদের শেষ ৪৮ জনকে ফিরিয়ে দেওয়ার কথা ছিল হামাসের। যার মধ্যে জীবিত ২০ জনকে মুক্তি দিয়েছিল তারা। বাকি ২৮ জন মৃত বলে জানা যায়। মঙ্গলবার তাদের মধ্যে চার জনের দেহ ফেরত পাঠিয়েছিল হামাস। ফরেন্সিক পরীক্ষার পরে আজ ইসরায়েল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, তিনটি দেহ চিহ্নিত করা গেলেও, চতুর্থ দেহের নমুনা কোনও পণবন্দির সঙ্গে মেলেনি।
ফলে হামাসের বিরুদ্ধে চুক্তিভঙ্গের অভিযোগ এনেছে তারা। বাকি তিন জনের পরিচয় জানা গিয়েছে। দুই সন্তানের বাবা ৩৫ বছরের উরিয়েল বারুচ, পেশায় শিক্ষাকর্মী ২০ বছরের তামির নিমরোদি এবং ৫৩ বছরের ট্যাক্সিচালক এইতান লেভি।
এর পর বুধবারও ২ ইসরায়েলির মরদেহ হস্তান্তর করেছে হামাস। ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর নোভা সঙ্গীত উৎসবে বান্ধবীর সঙ্গে গিয়ে অপহৃত হন তারা।
এ দিন ইসরায়েল থেকে ৪৫টি মরদেহ ফেরত পাঠানো হয়েছে গাজায়। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, দেহগুলি এখনও চিহ্নিত করা যায়নি। অনেকের হাত, পা শিকলে বাঁধা। কারও কারও চোখও বাঁধা কাপড়ে। বেশ কিছু দেহে গুলির ক্ষতচিহ্ন রয়েছে। এ থেকে বুঝা যায় ইসরায়েলি বর্বতায় এসব ফিলিস্তিনি বন্দি পাণ হারিয়েছেন।
এই অবস্থায় মৃত জিম্মিদের মরদেহ দ্রুত ফেরানো না হলে গাজায় ত্রাণ ঢোকা সীমিত করে দেওয়া হবে বলে হুমকি দিয়েছে ইসরায়েল।
ফলে প্রমাদ গুনছেন গাজার মানুষ। যে কোনও মুহূর্তে ফের যুদ্ধ শুরু হতে পারে এই আশঙ্কায় ময়দা, তেলের মতো নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের দাম ফের বাড়তে শুরু করেছে।
অন্য দিকে, গাজার কিছু অংশে ফের সক্রিয় হয়ে উঠেছে হামাস। ট্রাম্প বলেছেন, গাজায় শান্তিচুক্তি দ্বিতীয় ধাপে পা রাখল। এবার হামাসকে অস্ত্রত্যাগ করতেই হবে। হামাস তা না করলে আমরা ওদের অস্ত্র ত্যাগ করাতে বাধ্য করব।























