০৩:০০ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ নভেম্বর ২০২৫

পশ্চিম তীর দখল করলে যুক্তরাষ্ট্রের ‘সব সহায়তা’ হারাবে ইসরায়েল: ট্রাম্প

  • আপডেট সময়: ০৪:৩০:২১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৫
  • 15

ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীরকে আনুষ্ঠানিকভাবে ইসরায়েলের ভূখণ্ডে অন্তর্ভুক্ত করতে বুধবার ইসরায়েলি পার্লামেন্ট নেসেটে যে বিল পাস হয়েছে। তবে পশ্চিম তীর অধিগ্রহণ করলে ইসরায়েল যুক্তরাষ্ট্রের সব সহায়তা হারাবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

গত ১৫ অক্টোবর বিখ্যাত মার্কিন সাময়িকী টাইম ম্যাগাজিনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকার এই হুঁশিয়ারি দেন তিনি। আজ বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) সাক্ষাৎকারটি প্রচার করেছে টাইম ম্যাগাজিন।

সাক্ষাতকারে ‘ইসরায়েলি সরকারের উগ্রপন্থিরা পুরো পশ্চিমতীর অধিগ্রহণের জন্য চাপ দিচ্ছেন’— এ বিষয়ে জানতে চাইলে ট্রাম্প বলেন, ‘এটি হবে না… এটি হবে না… এটি হবে না কারণ আমি আরব দেশগুলোকে কথা দিয়েছি। আমাদের প্রতি আরবদের অনেক সমর্থন রয়েছে। ইসরায়েল পশ্চিমতীর অধিগ্রহণ করতে পারবে না কারণ আমি আরবদের কথা দিয়েছি। যদি ইসরায়েল এমন কিছু করে থাকে তাহলে যুক্তরাষ্ট্রের সব সমর্থন হারাবে তারা।’

এদিকে বুধবার ইসরায়েলি পার্লামেন্ট নেসেটে যে বিল পাস হয়েছে-সেটিকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রস্তাবিত ‘গাজা শান্তি পরিকল্পনাকে’ হুমকির মুখে ফেলবে বলে সতর্কতা উচ্চারণ করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও।

ওয়াশিংটন থেকে বুধবার ইসরায়েলের উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন রুবিও। বিমানে ওঠার আগে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় করার সময় এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, তারা (ইসরায়েল) নেসেটে একটি বিল পাস করেছে, কিন্তু প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প স্পষ্টভাবে জানিয়েছেন যে আমাদের পক্ষ থেকে এই বিলকে কোনো সমর্থন দেওয়া হবে না।

তিনি বলেন, ‘এটি এমন কিছু নয় যা আমরা এখনই সমর্থন করতে পারি কারণ আমরা মনে করি, এই বিলটিকে গাজায় শান্তি পরিকল্পনা বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে হুমকি হিসেবে বিবেচনা করছি।’

রুবিও আরও বলেন, ‘বিলটি গণতান্ত্রিক প্রকিয়াতেই আনা হয়েছে— এ নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই। গণতন্ত্রে জনগণ ভোট দেয়, পার্লামেন্টে বিল উত্থাপন হয় এবং এমপিদের ভোটের ভিত্তিতে সেই বিল পাসও হয়…তবে এই মুহূর্তে এ ধরনের গণতন্ত্রের চর্চা করা হলে তার ফলাফল হবে উল্টো।’

ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, বুধবার বিলটি উত্থাপনের পর ১২০ আসনের নেসেটে বিলটি মাত্র এক ভোটের ব্যবধানে পাস হয়। বিলটির পক্ষে ভোট পড়েছে ২৫টি, বিপক্ষে পড়ে ২৪টি। বাকি ৫১ জন ভোট দেওয়া থেকে বিরত ছিলেন।

জানা গেছে, ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু এবং তার দল লিকুদ পার্টির এমপিরা বিলটির বিরোধিতা করেছেন। তবে লিকুদ পার্টির নেৃতত্বাধীন জোট সরকারের কয়েক জন শরিক বিলটির পক্ষে ভোট দিয়েছে।

ফিলিস্তিনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় নেসেটের এই পদক্ষেপের নিন্দা জানিয়ে বলেছে, ফিলিস্তিনি ভূমির ওপর ইসরায়েলের কোনো সার্বভৌমত্ব থাকবে না।

উল্লেখ্য, ১৯৬৭ সালে আরব-ইসরায়েল যুদ্ধের সময় পশ্চিম তীর এবং পূর্ব জেরুজালেম দখলের পর ইসরায়েল প্রায় ১৬০টি বসতি নির্মাণ করেছে যেখানে ৭ লাখের মতো ইহুদি বাস করে। তাদের পাশে আনুমানিক ৩৩ লাখ ফিলিস্তিনি বাস করে।

সূত্র: টাইমস অব ইসরায়েল, বিবিসি

উত্তরাধুনিক

Writer, Singer & Environmentalist

ভ্যাঙ্কি আংটি: ঐশ্বরিয়ার হাতের এই আংটি কখনও খোলেন না, জানেন এর পেছনের গল্প?

পশ্চিম তীর দখল করলে যুক্তরাষ্ট্রের ‘সব সহায়তা’ হারাবে ইসরায়েল: ট্রাম্প

আপডেট সময়: ০৪:৩০:২১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৫

ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীরকে আনুষ্ঠানিকভাবে ইসরায়েলের ভূখণ্ডে অন্তর্ভুক্ত করতে বুধবার ইসরায়েলি পার্লামেন্ট নেসেটে যে বিল পাস হয়েছে। তবে পশ্চিম তীর অধিগ্রহণ করলে ইসরায়েল যুক্তরাষ্ট্রের সব সহায়তা হারাবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

গত ১৫ অক্টোবর বিখ্যাত মার্কিন সাময়িকী টাইম ম্যাগাজিনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকার এই হুঁশিয়ারি দেন তিনি। আজ বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) সাক্ষাৎকারটি প্রচার করেছে টাইম ম্যাগাজিন।

সাক্ষাতকারে ‘ইসরায়েলি সরকারের উগ্রপন্থিরা পুরো পশ্চিমতীর অধিগ্রহণের জন্য চাপ দিচ্ছেন’— এ বিষয়ে জানতে চাইলে ট্রাম্প বলেন, ‘এটি হবে না… এটি হবে না… এটি হবে না কারণ আমি আরব দেশগুলোকে কথা দিয়েছি। আমাদের প্রতি আরবদের অনেক সমর্থন রয়েছে। ইসরায়েল পশ্চিমতীর অধিগ্রহণ করতে পারবে না কারণ আমি আরবদের কথা দিয়েছি। যদি ইসরায়েল এমন কিছু করে থাকে তাহলে যুক্তরাষ্ট্রের সব সমর্থন হারাবে তারা।’

এদিকে বুধবার ইসরায়েলি পার্লামেন্ট নেসেটে যে বিল পাস হয়েছে-সেটিকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রস্তাবিত ‘গাজা শান্তি পরিকল্পনাকে’ হুমকির মুখে ফেলবে বলে সতর্কতা উচ্চারণ করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও।

ওয়াশিংটন থেকে বুধবার ইসরায়েলের উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন রুবিও। বিমানে ওঠার আগে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় করার সময় এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, তারা (ইসরায়েল) নেসেটে একটি বিল পাস করেছে, কিন্তু প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প স্পষ্টভাবে জানিয়েছেন যে আমাদের পক্ষ থেকে এই বিলকে কোনো সমর্থন দেওয়া হবে না।

তিনি বলেন, ‘এটি এমন কিছু নয় যা আমরা এখনই সমর্থন করতে পারি কারণ আমরা মনে করি, এই বিলটিকে গাজায় শান্তি পরিকল্পনা বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে হুমকি হিসেবে বিবেচনা করছি।’

রুবিও আরও বলেন, ‘বিলটি গণতান্ত্রিক প্রকিয়াতেই আনা হয়েছে— এ নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই। গণতন্ত্রে জনগণ ভোট দেয়, পার্লামেন্টে বিল উত্থাপন হয় এবং এমপিদের ভোটের ভিত্তিতে সেই বিল পাসও হয়…তবে এই মুহূর্তে এ ধরনের গণতন্ত্রের চর্চা করা হলে তার ফলাফল হবে উল্টো।’

ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, বুধবার বিলটি উত্থাপনের পর ১২০ আসনের নেসেটে বিলটি মাত্র এক ভোটের ব্যবধানে পাস হয়। বিলটির পক্ষে ভোট পড়েছে ২৫টি, বিপক্ষে পড়ে ২৪টি। বাকি ৫১ জন ভোট দেওয়া থেকে বিরত ছিলেন।

জানা গেছে, ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু এবং তার দল লিকুদ পার্টির এমপিরা বিলটির বিরোধিতা করেছেন। তবে লিকুদ পার্টির নেৃতত্বাধীন জোট সরকারের কয়েক জন শরিক বিলটির পক্ষে ভোট দিয়েছে।

ফিলিস্তিনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় নেসেটের এই পদক্ষেপের নিন্দা জানিয়ে বলেছে, ফিলিস্তিনি ভূমির ওপর ইসরায়েলের কোনো সার্বভৌমত্ব থাকবে না।

উল্লেখ্য, ১৯৬৭ সালে আরব-ইসরায়েল যুদ্ধের সময় পশ্চিম তীর এবং পূর্ব জেরুজালেম দখলের পর ইসরায়েল প্রায় ১৬০টি বসতি নির্মাণ করেছে যেখানে ৭ লাখের মতো ইহুদি বাস করে। তাদের পাশে আনুমানিক ৩৩ লাখ ফিলিস্তিনি বাস করে।

সূত্র: টাইমস অব ইসরায়েল, বিবিসি