১২:৫৭ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ নভেম্বর ২০২৫

সুদানের সহিংসতা বন্ধে মুসলিম বিশ্বকে পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান এরদোয়ানের 

  • আপডেট সময়: ০৫:৩০:৫৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩ নভেম্বর ২০২৫
  • 7

উত্তর আফ্রিকার দেশ সুদানে চলমান ভয়াবহ সংঘাত বন্ধে মুসলিম বিশ্বকে দায়িত্ব নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ান। তিনি বলেন, ‘যার হৃদয় আছে, তিনি কখনোই এল-ফাশেরে বেসামরিক নাগরিকদের ওপর চালানো সাম্প্রতিক গণহত্যা মেনে নিতে পারবেন না। আমরা আর নীরব থাকতে পারি না।’

সোমবার ইস্তাম্বুলে মুসলিম বিশ্বের দেশগুলোর জোট ইসলামিক সহযোগিতা সংস্থার (ওআইসি) অর্থনৈতিক সম্মেলনে প্রতিনিধি সভায় অংশ নিয়ে তুর্কি প্রেসিডেন্ট।

এরদোয়ান বলেন, ‘সুদানে রক্তপাত দ্রুত বন্ধ করার সর্বোচ্চ দায়িত্ব নিঃসন্দেহে ইসলামী বিশ্বের ওপরই বর্তায়। মুসলমান হিসেবে আমাদের নিজেদের সমস্যা নিজেরাই সমাধান করতে হবে, অন্যদের কাছে সাহায্য চাওয়া উচিত নয়।’

তিনি আরও বলেন, ‘এই কঠিন সময়ে আমাদের সুদানি জনগণের পাশে দাঁড়ানো এবং মানবিক সহায়তা ও উন্নয়ন সহযোগিতা অব্যাহত রাখাই গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের অবশ্যই সুদানের ভৌগোলিক অখণ্ডতা, সার্বভৌমত্ব ও স্বাধীনতা রক্ষা করতে হবে।’

তুরস্ক বর্তমানে ৫৭ সদস্যবিশিষ্ট ওআইসির পররাষ্ট্রমন্ত্রী পরিষদের সভাপতির দায়িত্বে রয়েছে। ১৯৬৯ সালে প্রতিষ্ঠিত এই সংস্থাটি মুসলিম বিশ্বের স্বার্থ রক্ষা এবং মুসলিম সংহতি বৃদ্ধির ভূমিকা পালন করে।

এদিকে ২০২৩ সালের এপ্রিল থেকে চলমান সুদানের সংঘাতে দেশটির আধা-সামরিক বাহিনী র‌্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেসের (আরএসএফ) বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সুদানি সেনাবাহিনী পক্ষে অবস্থান নিয়েছে তুরস্ক।।

জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক সংস্থা (ইউএনএইচসিআর) জানিয়েছে, আরএসএফের যোদ্ধারা ১৮ মাসের অবরোধ শেষে সেনাবাহিনীকে কৌশলগত শহর এল-ফাশের থেকে বিতাড়িত করার পর কয়েকশ মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে৷

জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক সংস্থা (ইউএনএইচসিআর) জানিয়েছে, আরএসএফের যোদ্ধারা ১৮ মাসের অবরোধ শেষে সেনাবাহিনীকে কৌশলগত শহর এল-ফাশের থেকে বিতাড়িত করার পর কয়েকশ মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে৷ এর মধ্যে একটি হাসপাতালেই ৪৬০ জনকে হত্যা করা হয়েছে৷ এছাড়াও গত ২৬ অক্টোবর ও ৩১ অক্টোবরের মধ্যে প্রায় ৩৭ হাজার মানুষ শহরটি ছেড়ে পালিয়ে গেছেন। দারফুর অঞ্চলে সেনাবাহিনীর সর্বশেষ ঘাঁটি এল ফাশের শহরে বর্তমানে ১০ হাজারের বেশি মানুষ আটকা পড়েছেন। সেখানে নির্বিচারে হত্যা, যৌন সহিংসতা, ত্রাণকর্মীদের ওপর হামলা, লুটপাট ও অপহরণের ঘটনা ঘটছে। এছাড়া যোগাযোগ ব্যবস্থা প্রায় সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন অবস্থায় রয়েছে।

জাতিসংঘের তথ্যমতে, এই সংঘাতে এখন পর্যন্ত কয়েক ১০ হাজার মানুষ নিহত এবং প্রায় ১ কোটি ২০ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছেন; যা বিশ্বের সবচেয়ে বড় বাস্তুচ্যুতি ও ক্ষুধা সঙ্কটে পরিণত হয়েছে।

সূত্র: আল আরাবিয়া

উত্তরাধুনিক

Writer, Singer & Environmentalist

ভ্যাঙ্কি আংটি: ঐশ্বরিয়ার হাতের এই আংটি কখনও খোলেন না, জানেন এর পেছনের গল্প?

সুদানের সহিংসতা বন্ধে মুসলিম বিশ্বকে পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান এরদোয়ানের 

আপডেট সময়: ০৫:৩০:৫৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩ নভেম্বর ২০২৫

উত্তর আফ্রিকার দেশ সুদানে চলমান ভয়াবহ সংঘাত বন্ধে মুসলিম বিশ্বকে দায়িত্ব নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ান। তিনি বলেন, ‘যার হৃদয় আছে, তিনি কখনোই এল-ফাশেরে বেসামরিক নাগরিকদের ওপর চালানো সাম্প্রতিক গণহত্যা মেনে নিতে পারবেন না। আমরা আর নীরব থাকতে পারি না।’

সোমবার ইস্তাম্বুলে মুসলিম বিশ্বের দেশগুলোর জোট ইসলামিক সহযোগিতা সংস্থার (ওআইসি) অর্থনৈতিক সম্মেলনে প্রতিনিধি সভায় অংশ নিয়ে তুর্কি প্রেসিডেন্ট।

এরদোয়ান বলেন, ‘সুদানে রক্তপাত দ্রুত বন্ধ করার সর্বোচ্চ দায়িত্ব নিঃসন্দেহে ইসলামী বিশ্বের ওপরই বর্তায়। মুসলমান হিসেবে আমাদের নিজেদের সমস্যা নিজেরাই সমাধান করতে হবে, অন্যদের কাছে সাহায্য চাওয়া উচিত নয়।’

তিনি আরও বলেন, ‘এই কঠিন সময়ে আমাদের সুদানি জনগণের পাশে দাঁড়ানো এবং মানবিক সহায়তা ও উন্নয়ন সহযোগিতা অব্যাহত রাখাই গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের অবশ্যই সুদানের ভৌগোলিক অখণ্ডতা, সার্বভৌমত্ব ও স্বাধীনতা রক্ষা করতে হবে।’

তুরস্ক বর্তমানে ৫৭ সদস্যবিশিষ্ট ওআইসির পররাষ্ট্রমন্ত্রী পরিষদের সভাপতির দায়িত্বে রয়েছে। ১৯৬৯ সালে প্রতিষ্ঠিত এই সংস্থাটি মুসলিম বিশ্বের স্বার্থ রক্ষা এবং মুসলিম সংহতি বৃদ্ধির ভূমিকা পালন করে।

এদিকে ২০২৩ সালের এপ্রিল থেকে চলমান সুদানের সংঘাতে দেশটির আধা-সামরিক বাহিনী র‌্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেসের (আরএসএফ) বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সুদানি সেনাবাহিনী পক্ষে অবস্থান নিয়েছে তুরস্ক।।

জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক সংস্থা (ইউএনএইচসিআর) জানিয়েছে, আরএসএফের যোদ্ধারা ১৮ মাসের অবরোধ শেষে সেনাবাহিনীকে কৌশলগত শহর এল-ফাশের থেকে বিতাড়িত করার পর কয়েকশ মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে৷

জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক সংস্থা (ইউএনএইচসিআর) জানিয়েছে, আরএসএফের যোদ্ধারা ১৮ মাসের অবরোধ শেষে সেনাবাহিনীকে কৌশলগত শহর এল-ফাশের থেকে বিতাড়িত করার পর কয়েকশ মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে৷ এর মধ্যে একটি হাসপাতালেই ৪৬০ জনকে হত্যা করা হয়েছে৷ এছাড়াও গত ২৬ অক্টোবর ও ৩১ অক্টোবরের মধ্যে প্রায় ৩৭ হাজার মানুষ শহরটি ছেড়ে পালিয়ে গেছেন। দারফুর অঞ্চলে সেনাবাহিনীর সর্বশেষ ঘাঁটি এল ফাশের শহরে বর্তমানে ১০ হাজারের বেশি মানুষ আটকা পড়েছেন। সেখানে নির্বিচারে হত্যা, যৌন সহিংসতা, ত্রাণকর্মীদের ওপর হামলা, লুটপাট ও অপহরণের ঘটনা ঘটছে। এছাড়া যোগাযোগ ব্যবস্থা প্রায় সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন অবস্থায় রয়েছে।

জাতিসংঘের তথ্যমতে, এই সংঘাতে এখন পর্যন্ত কয়েক ১০ হাজার মানুষ নিহত এবং প্রায় ১ কোটি ২০ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছেন; যা বিশ্বের সবচেয়ে বড় বাস্তুচ্যুতি ও ক্ষুধা সঙ্কটে পরিণত হয়েছে।

সূত্র: আল আরাবিয়া