
সংগৃহীত ছবি
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপটি ঘনীভূত হয়ে সুস্পষ্ট লঘুচাপে পরিণত হয়েছে আজ মঙ্গলবার। আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, এটি উত্তর, উত্তর-পশ্চিম দিক বরাবর মায়ানমার-বাংলাদেশ উপকূল বরাবর অগ্রসর হতে পারে। এর প্রভাবে আগামীকাল বুধবার দেশে বৃষ্টি বাড়তে পারে। দেশের চার জেলার জন্য ভারি বর্ষণ ও পাহাড়ধসের সতর্কতাও জারি করা হয়েছে।
সমুদ্রবন্দরগুলোতে দেওয়া হয়েছে ৩ নম্বর সতর্কসংকেত।
ভারি বৃষ্টিপাতের সতর্কবার্তায় বলা হয়েছে, মায়ানমার ও বাংলাদেশের উপকূলের কাছে থাকা সুস্পষ্ট লঘুচাপের প্রভাবে আগামী বৃহস্পতিবার বিকেল ৪টা পর্যন্ত কক্সবাজার, বান্দরবান, রাঙামাটি ও চট্টগ্রাম জেলার কোথাও কোথাও ভারি (৪৪ থেকে ৮৮ মিলিমিটার) থেকে অতি ভারি (৮৯ মিলিমিটার বা বেশি) বর্ষণ হতে পারে। এতে চার জেলার পাহাড়ি এলাকার কোথাও কোথাও ভূমিধসের আশঙ্কা রয়েছে।
সুস্পষ্ট লঘুচাপটির প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর এলাকায় গভীর সঞ্চালনশীল মেঘমালা সৃষ্টি হচ্ছে।
দমকা বা ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যাওয়ার আশঙ্কায় চট্টগ্রাম, মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দর এবং কক্সবাজারকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্কসংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। উত্তর বঙ্গোপসাগরে থাকা মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারগুলোকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।
এ বিষয়ে আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ শাহানাজ সুলতানা কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘সুস্পষ্ট লঘুচাপটি এখনো সাগরেই রয়েছে, তবে স্থলভাগের কাছেই। আগামীকাল বুধবার এটি স্থলভাগে উঠতে পারে।
এর প্রভাবে দেশে বৃষ্টি বাড়তে পারে। বিশেষ করে চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারের দিকে ভালো বৃষ্টি হতে পারে।’
তবে বুধবার স্থলভাগে উঠে গেলে লঘুচাপটির প্রভাব ধীরে ধীরে কেটে যেতে পারে বলে জানিয়েছেন শাহানাজ সুলতানা। ফলে আগামী বৃহস্পতিবার থেকে আবার বৃষ্টি কমে যেতে পারে। লঘুচাপের প্রভাব কেটে যাওয়ার পর দেশের তাপমাত্রাও ধীরে ধীরে কমতে পারে বলে জানান এ আবহাওয়াবিদ।
এদিকে আজ প্রায় পুরো দেশই ছিল বৃষ্টিহীন। সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় আবহাওয়া অধিদপ্তরের ৫১টি পর্যবেক্ষণাগারের মধ্যে মাত্র দুইটিতে বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়েছে। সর্বোচ্চ ৩ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে কক্সবাজারের টেকনাফে।

























